রাজশাহীতে ৪টি বিদেশি রিভলবার, ৩টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগজিন ও বোমা তৈরীর সরঞ্জাম ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ তিন শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী
গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ৫।
আজ শুক্রবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে মহানগরীর কাটাখালী থানার কাপাশিয়া পাহাড়পুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব-৫ এর রাজশাহীর সিপিএসসি মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
পরে বেলা সাড়ে ১১টায় র্যাব-৫ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক (সিইও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কাটাখালীর কাপাশিয়ার পাহাড়পুর এলাকার মো. আব্দুল মতিনের ছেলে মো. আতিকুর রহমান ওরফে আতিক (৩৫), তার সহযোগী নগরীর চরকাজলা এলাকার মো. ঝড়ু মিয়ার ছেলে মো. শাহীন আলী (২৫) এবং নগরীর ধরমপুর পূর্বপাড়া এলাকার মো. নেকছার আলীর ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (২৬)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, র্যাব-৫ এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজশাহীতে একটি বড় অস্ত্রের চালান সীমান্তবর্তী চর এলাকা হতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এসেছে। এ তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে র্যাব-৫ এর সিপিএসসি টিম তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।
‘এর ধারাবাহিকতায় সিপিএসসির একটি চৌকস দল কাপাশিয়া পাহাড়পুর এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী দলের সক্রীয় সদস্য আতিকের বাড়ীতে অপারেশন পরিচালনা করে এবং সন্ত্রাসী আতিককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আতিক অবৈধ অস্ত্রগুলো তার মুরগীর খামারের পার্শ্বে একটি ছোট ঘরে রেখেছিল। উক্ত ঘরটির ভিতর দিক দিয়ে কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা ৪টি বিদেশি রিভলবার, ৩টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগজিন, ৮ রাউন্ড তাজা গুলি, ৪ রাউন্ড গুলির খোসা, এক কেজি ১০০ গ্রাম গান পাউডার, বোমা বা ককটেল তৈরীর কাজে ব্যবহারের জন্য ৭৫০ গ্রাম ছোট ছোট পাথর, স্পীন্টার হিসেবে ব্যবহৃত লোহার বল ও তারকাটা, ২টি মোবাইল ও ৪টি সিমকার্ড অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্যগুলো বের করে নিয়ে আসে। এসময় ককটেল ও বোমা তৈরীর বিভিন্ন উপকরণ র্যাবের হাতে হস্তান্তর করে।’
ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, আসামীরা সীমান্তবর্তী অজ্ঞাত স্থান হতে মোঃ তানজিম (২৭) ও মোঃ আব্দুর রহিম (২৮)‘দ্বয়ের মাধ্যমে অস্ত্র-গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি সংগ্রহ করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঐ সকল চক্রের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিদেরকে এসকল অস্ত্র সরবরাহ করত। এদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রাজশাহী তথা বাংলাদেশের শান্ত-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করা।
সাম্প্রতিককালে উত্তরবঙ্গে এটিই অবৈধ অস্ত্রের সবচেয়ে বড় চালান যা র্যাব কর্তৃক আটক করা হয়েছে। এরা এলাকার চিহ্নিত শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী। আসামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানায় মামলা রুজুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানা গেছে।
শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২
রাজশাহীতে ৪টি বিদেশি রিভলবার, ৩টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগজিন ও বোমা তৈরীর সরঞ্জাম ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ তিন শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী
গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ৫।
আজ শুক্রবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে মহানগরীর কাটাখালী থানার কাপাশিয়া পাহাড়পুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব-৫ এর রাজশাহীর সিপিএসসি মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
পরে বেলা সাড়ে ১১টায় র্যাব-৫ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক (সিইও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কাটাখালীর কাপাশিয়ার পাহাড়পুর এলাকার মো. আব্দুল মতিনের ছেলে মো. আতিকুর রহমান ওরফে আতিক (৩৫), তার সহযোগী নগরীর চরকাজলা এলাকার মো. ঝড়ু মিয়ার ছেলে মো. শাহীন আলী (২৫) এবং নগরীর ধরমপুর পূর্বপাড়া এলাকার মো. নেকছার আলীর ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (২৬)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, র্যাব-৫ এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজশাহীতে একটি বড় অস্ত্রের চালান সীমান্তবর্তী চর এলাকা হতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এসেছে। এ তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে র্যাব-৫ এর সিপিএসসি টিম তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।
‘এর ধারাবাহিকতায় সিপিএসসির একটি চৌকস দল কাপাশিয়া পাহাড়পুর এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী দলের সক্রীয় সদস্য আতিকের বাড়ীতে অপারেশন পরিচালনা করে এবং সন্ত্রাসী আতিককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আতিক অবৈধ অস্ত্রগুলো তার মুরগীর খামারের পার্শ্বে একটি ছোট ঘরে রেখেছিল। উক্ত ঘরটির ভিতর দিক দিয়ে কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা ৪টি বিদেশি রিভলবার, ৩টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগজিন, ৮ রাউন্ড তাজা গুলি, ৪ রাউন্ড গুলির খোসা, এক কেজি ১০০ গ্রাম গান পাউডার, বোমা বা ককটেল তৈরীর কাজে ব্যবহারের জন্য ৭৫০ গ্রাম ছোট ছোট পাথর, স্পীন্টার হিসেবে ব্যবহৃত লোহার বল ও তারকাটা, ২টি মোবাইল ও ৪টি সিমকার্ড অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্যগুলো বের করে নিয়ে আসে। এসময় ককটেল ও বোমা তৈরীর বিভিন্ন উপকরণ র্যাবের হাতে হস্তান্তর করে।’
ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, আসামীরা সীমান্তবর্তী অজ্ঞাত স্থান হতে মোঃ তানজিম (২৭) ও মোঃ আব্দুর রহিম (২৮)‘দ্বয়ের মাধ্যমে অস্ত্র-গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি সংগ্রহ করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঐ সকল চক্রের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিদেরকে এসকল অস্ত্র সরবরাহ করত। এদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রাজশাহী তথা বাংলাদেশের শান্ত-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করা।
সাম্প্রতিককালে উত্তরবঙ্গে এটিই অবৈধ অস্ত্রের সবচেয়ে বড় চালান যা র্যাব কর্তৃক আটক করা হয়েছে। এরা এলাকার চিহ্নিত শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী। আসামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানায় মামলা রুজুর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানা গেছে।