বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অল্পের জন্য ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে আন্তঃনগর ট্রেন। রেল লাইনের পাশে থাকা বস্তির দুই শিশু রেল পুলিশকে রাতেই খবর দেয়ায় পরে আরেকটি ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। বগুড়া রেলস্টেশনের ১ নং লাইনের প্রায় দেড় ফুটেরও বেশি ভেঙ্গে যাওয়ায় এই পরিসিস্থতি সৃস্টি হয়। এঘটনায় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ১নং লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। নিয়মিত নজরদারীর অভাবে জীর্ন রেললাইনের ওই অংশ ট্রেনের চাপে ভেঙ্গে পড়ে বলে রেল সংশ্লিস্টারই জানিয়েছেন। রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, পুরাতন হয়ে ক্ষয়ে যাওয়ার কারণে লাইন ভেঙ্গে যায়।
সংশ্লিস্টরা জানায়, রাত ১২ টা ৫ মিনিটে রংপুর থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনটি বগুড়া স্টেশনে পৌঁছে ১২ টা ৮ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে চলে যায়। এসময় স্টেশনের প্রায় ১শ গজ পশ্চিমে লাইনের প্রায় দেড় ফুট অংশ ভেঙ্গে দেবে যায় এবং ট্রেনের পিছন অংশ ত্যাগ করার সময় পুরোটাই ভেঙ্গে স্থানচ্যুত হয়। এসময় রেললাইনের পাশে থাকা বস্তির বাসিন্দা রাশেদা বেগমের চোখে বিষয়টি ধরা পড়ে। তিনি জানান, ট্রেনের পিছনের অংশ ওই স্থান অতিক্রম করার সময় প্রচন্ড শব্দ হওয়ার সঙ্গে দুলছিলো। তার দুই ছেলে ভোলা(১৬) ও শুকুর(১৪) মায়ের ডাকে বাইরে এসে লাইনের ভাঙ্গা অংশ দেখে ভয়াবহতা বুঝতে পারে। তারা মা রাশেদাকে ওই স্থানে পাহারা রেখে মামা শাহিনের সঙ্গে দৌড়ে স্টেশনে এসে নিরাপত্তাবাহিনীকে খবর দেয়। বগুড়া স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু জানান, বস্তির অপরিচিত লোক রাতে দায়িত্বরত সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুল মান্নানকে খবর দেয়। এর পরের ট্রেন ছিলো ভোরে। ঢাকা থেকে লালমনিরহাট আন্তঃনগর ট্রেন। বগুড়া স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছে ৫টা ৭ মিনিটে। আর ৫টা ১০ মিনিটে দু নম্বর লাইন হয়ে পার করানো হয়। রেল সংশ্লিস্টরা জানান, লাইন ভেঙ্গে পড়ে থাকার বিষয়টি জানা না গেলে ভোরের ট্রেনটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়তো। সঠিক সময়ে খবর পাওয়ায় আরেকটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়েছে। স্টেশন মাস্টার আরো জানান, রাতে রেল লাইন ভাঙ্গলেও এটির কাজ শুরু করা হয় সকালে। সকাল ১০টার দিকে ২ নং লাইন দিয়ে করতোয়া এক্সপ্রেস পার হওয়ার সময় ৯ নং পয়েন্টের নোজ বাঁকা হয়ে যাওয়ায় ২ নং লাইনও ঝুকির মধ্যে পড়ে। বগুড়া রেল স্টেশন মাস্টার জানিয়েছেন, তাদের লাইন বুধবার ১২টা ১০ মিনিটে মেরামত সম্পন্ন হয়। লাইন ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়ে রেলের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, লাইন পুরাতন হওয়ার কারণে সেটি ভেঙ্গে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলওয়ে বগুড়া সেকশনের আওতায় ৭২ কিলোমিটার লাইন রয়েছে। প্রতি ৬ কিলোমিটারকে একটি গ্যাং ধরা হয়। লাইন নজরদারীর জন্য প্রতি ৬ কিলোমিটারে কি ম্যান, মেট ওয়েম্যানসহ ১০ জন থাকে। বগুড়া গ্যাং এর ৬ কিলোমিটারে ৯ জন রয়েছে। কি ম্যান না থাকায় ওয়েম্যান কি ম্যাানের দায়িত্ব পালন করছে। রেলের সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুর রহমানের দাবি অনুযায়ি তাদের দায়িত্ব সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সুত্র জানায় এই জনবল প্রতিদিন লাইন পরীক্ষা করার কথা। তবে উপ সহকারী(ওয়ে) কার্যালয়ের বিপরীত পার্শে^ই রেললাইন দীর্ঘদিন ধরে ক্ষয়ে যাওয়া অবস্থায় থাকার পড়েও তা ধরা পড়েনি।
বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২
বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অল্পের জন্য ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে আন্তঃনগর ট্রেন। রেল লাইনের পাশে থাকা বস্তির দুই শিশু রেল পুলিশকে রাতেই খবর দেয়ায় পরে আরেকটি ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। বগুড়া রেলস্টেশনের ১ নং লাইনের প্রায় দেড় ফুটেরও বেশি ভেঙ্গে যাওয়ায় এই পরিসিস্থতি সৃস্টি হয়। এঘটনায় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ১নং লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। নিয়মিত নজরদারীর অভাবে জীর্ন রেললাইনের ওই অংশ ট্রেনের চাপে ভেঙ্গে পড়ে বলে রেল সংশ্লিস্টারই জানিয়েছেন। রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, পুরাতন হয়ে ক্ষয়ে যাওয়ার কারণে লাইন ভেঙ্গে যায়।
সংশ্লিস্টরা জানায়, রাত ১২ টা ৫ মিনিটে রংপুর থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনটি বগুড়া স্টেশনে পৌঁছে ১২ টা ৮ মিনিটে স্টেশন ছেড়ে চলে যায়। এসময় স্টেশনের প্রায় ১শ গজ পশ্চিমে লাইনের প্রায় দেড় ফুট অংশ ভেঙ্গে দেবে যায় এবং ট্রেনের পিছন অংশ ত্যাগ করার সময় পুরোটাই ভেঙ্গে স্থানচ্যুত হয়। এসময় রেললাইনের পাশে থাকা বস্তির বাসিন্দা রাশেদা বেগমের চোখে বিষয়টি ধরা পড়ে। তিনি জানান, ট্রেনের পিছনের অংশ ওই স্থান অতিক্রম করার সময় প্রচন্ড শব্দ হওয়ার সঙ্গে দুলছিলো। তার দুই ছেলে ভোলা(১৬) ও শুকুর(১৪) মায়ের ডাকে বাইরে এসে লাইনের ভাঙ্গা অংশ দেখে ভয়াবহতা বুঝতে পারে। তারা মা রাশেদাকে ওই স্থানে পাহারা রেখে মামা শাহিনের সঙ্গে দৌড়ে স্টেশনে এসে নিরাপত্তাবাহিনীকে খবর দেয়। বগুড়া স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু জানান, বস্তির অপরিচিত লোক রাতে দায়িত্বরত সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুল মান্নানকে খবর দেয়। এর পরের ট্রেন ছিলো ভোরে। ঢাকা থেকে লালমনিরহাট আন্তঃনগর ট্রেন। বগুড়া স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছে ৫টা ৭ মিনিটে। আর ৫টা ১০ মিনিটে দু নম্বর লাইন হয়ে পার করানো হয়। রেল সংশ্লিস্টরা জানান, লাইন ভেঙ্গে পড়ে থাকার বিষয়টি জানা না গেলে ভোরের ট্রেনটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়তো। সঠিক সময়ে খবর পাওয়ায় আরেকটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়েছে। স্টেশন মাস্টার আরো জানান, রাতে রেল লাইন ভাঙ্গলেও এটির কাজ শুরু করা হয় সকালে। সকাল ১০টার দিকে ২ নং লাইন দিয়ে করতোয়া এক্সপ্রেস পার হওয়ার সময় ৯ নং পয়েন্টের নোজ বাঁকা হয়ে যাওয়ায় ২ নং লাইনও ঝুকির মধ্যে পড়ে। বগুড়া রেল স্টেশন মাস্টার জানিয়েছেন, তাদের লাইন বুধবার ১২টা ১০ মিনিটে মেরামত সম্পন্ন হয়। লাইন ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়ে রেলের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, লাইন পুরাতন হওয়ার কারণে সেটি ভেঙ্গে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলওয়ে বগুড়া সেকশনের আওতায় ৭২ কিলোমিটার লাইন রয়েছে। প্রতি ৬ কিলোমিটারকে একটি গ্যাং ধরা হয়। লাইন নজরদারীর জন্য প্রতি ৬ কিলোমিটারে কি ম্যান, মেট ওয়েম্যানসহ ১০ জন থাকে। বগুড়া গ্যাং এর ৬ কিলোমিটারে ৯ জন রয়েছে। কি ম্যান না থাকায় ওয়েম্যান কি ম্যাানের দায়িত্ব পালন করছে। রেলের সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুর রহমানের দাবি অনুযায়ি তাদের দায়িত্ব সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সুত্র জানায় এই জনবল প্রতিদিন লাইন পরীক্ষা করার কথা। তবে উপ সহকারী(ওয়ে) কার্যালয়ের বিপরীত পার্শে^ই রেললাইন দীর্ঘদিন ধরে ক্ষয়ে যাওয়া অবস্থায় থাকার পড়েও তা ধরা পড়েনি।