রংপুরে ভাঙচুর-লুটপাট
রংপুর নগরীর অভিজাত ধাপ জেল রোড এলাকায় প্রায় ৩২ বছর ধরে দখল ভোগ করে আসা জমিতে নির্মাণ করা ভবন ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান ও আরও এক পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নাজনীন নাহার খানম বাদী হয়ে রংপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১০ আসামিকে করে মামলা করেন। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে আদালতে স্ব শরীরে হাজির হবার জন্য সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। রংপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এফ এম আহসানুল হক এ আদেশ প্রদান করেন। মামলা নম্বর সিআর ১১৯৮/২২ ধারা দন্ড বিধি আইনের ১৪৩/৩৪১/৪২৭/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩০৭ /৩৭৯/৫০৬/১৯৪ দন্ড বিধি।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, রংপুর নগরীর ধাপ জেএল রোড এলাকায় অবস্থিত মামলার বাদী নাজনীন নাহার বেগম মামলার আরজিতে অভিযোগ করেন প্রায় ৩২ বছর ধরে ৭ দশমিক ৭৯ শতাংম জমিতে রংপুর সিটি করপোরেশনের অনুমোদন নিয়ে প্রথম অংশ ৬ তলা ও দ্বিতীয় অংশে ৬ তলা ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে উভয় অংশে তৃতীয় তলা ভবন নির্মাণ করেন। বর্তমানে ভবনের নীচতলায় ওষুধের দোকান, ইলেক্ট্রনিক্স দোকান ও দ্বিতীয় তলায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভাড়া দিয়ে তৃতীয় তলায় বাদিনী নিজে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছেন। গত ৪ নভেম্বর তারিখে বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান, কর্মকর্তা আহসানুজ্জামানসহ অন্যান্য আসামিরা তৃতীয় তলা ভবনের প্রধান গেট জোর করে ঠেলিয়া বাড়িতে প্রবেশ করে তারা জানায় ওই বাড়ি কেনার জন্য বায়না দলিল সম্পাদন করেছেন বলে দাবি করেন। বাদী নাজনীন নাহার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানায় তারা কোন জমি বিক্রি করার উদ্দেশে বায়না করে নাই এ কথা বলার সাথে সাথে আসামি আহসান খানের হুকুমে অন্যান্য আসামিরা বাদিনীর পরিবারের ওপর চড়াও হয় এবং সকলকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে আসামি আহসান খান বাদিনীর গলা চেপে ধরে শ্বাস ধরে হত্যার চেষ্টা করলে তাদের চিৎকারে সাক্ষীরা এসে তাকে রক্ষা করে। এ সময় আসামিরা সোনার গহনা ছিনিয়ে নেয় এবং লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। তারা বাদিনী ও তার স্বজনদের হুমকি দেয় এই জমি তারা কেনার জন্য বায়না দলিল রেজিস্টারি করেছে এ জায়গা ছেড়ে দিয়ে অনত্র চলে না গেলে বাড়ির সকলকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় বাদী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। পরে পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে ধাপ পুলিশ ফাঁড়ি ও মেট্রোপলিটান কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। পরে বাদিনীর জবানবন্দি গ্রহন করে ১০ আসামির বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে তাদের আদালতে হাজির হবার জন্য সমন জারির আদেশ দেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা আহসান খানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করে বলেন ওই জমি তারা কয়েকজন মিলে ক্রয় করার জন্য বায়না দলিল সম্পাদন করেছেন সেই সাথে জমির মালিক নাজনীন নাহার নয় বলেও দাবি করেন।
রংপুরে ভাঙচুর-লুটপাট
রোববার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২২
রংপুর নগরীর অভিজাত ধাপ জেল রোড এলাকায় প্রায় ৩২ বছর ধরে দখল ভোগ করে আসা জমিতে নির্মাণ করা ভবন ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান ও আরও এক পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নাজনীন নাহার খানম বাদী হয়ে রংপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১০ আসামিকে করে মামলা করেন। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে আদালতে স্ব শরীরে হাজির হবার জন্য সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। রংপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এফ এম আহসানুল হক এ আদেশ প্রদান করেন। মামলা নম্বর সিআর ১১৯৮/২২ ধারা দন্ড বিধি আইনের ১৪৩/৩৪১/৪২৭/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩০৭ /৩৭৯/৫০৬/১৯৪ দন্ড বিধি।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, রংপুর নগরীর ধাপ জেএল রোড এলাকায় অবস্থিত মামলার বাদী নাজনীন নাহার বেগম মামলার আরজিতে অভিযোগ করেন প্রায় ৩২ বছর ধরে ৭ দশমিক ৭৯ শতাংম জমিতে রংপুর সিটি করপোরেশনের অনুমোদন নিয়ে প্রথম অংশ ৬ তলা ও দ্বিতীয় অংশে ৬ তলা ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে উভয় অংশে তৃতীয় তলা ভবন নির্মাণ করেন। বর্তমানে ভবনের নীচতলায় ওষুধের দোকান, ইলেক্ট্রনিক্স দোকান ও দ্বিতীয় তলায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভাড়া দিয়ে তৃতীয় তলায় বাদিনী নিজে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছেন। গত ৪ নভেম্বর তারিখে বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান, কর্মকর্তা আহসানুজ্জামানসহ অন্যান্য আসামিরা তৃতীয় তলা ভবনের প্রধান গেট জোর করে ঠেলিয়া বাড়িতে প্রবেশ করে তারা জানায় ওই বাড়ি কেনার জন্য বায়না দলিল সম্পাদন করেছেন বলে দাবি করেন। বাদী নাজনীন নাহার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানায় তারা কোন জমি বিক্রি করার উদ্দেশে বায়না করে নাই এ কথা বলার সাথে সাথে আসামি আহসান খানের হুকুমে অন্যান্য আসামিরা বাদিনীর পরিবারের ওপর চড়াও হয় এবং সকলকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে আসামি আহসান খান বাদিনীর গলা চেপে ধরে শ্বাস ধরে হত্যার চেষ্টা করলে তাদের চিৎকারে সাক্ষীরা এসে তাকে রক্ষা করে। এ সময় আসামিরা সোনার গহনা ছিনিয়ে নেয় এবং লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। তারা বাদিনী ও তার স্বজনদের হুমকি দেয় এই জমি তারা কেনার জন্য বায়না দলিল রেজিস্টারি করেছে এ জায়গা ছেড়ে দিয়ে অনত্র চলে না গেলে বাড়ির সকলকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় বাদী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। পরে পুরো বিষয়টি লিখিত আকারে ধাপ পুলিশ ফাঁড়ি ও মেট্রোপলিটান কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। পরে বাদিনীর জবানবন্দি গ্রহন করে ১০ আসামির বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে তাদের আদালতে হাজির হবার জন্য সমন জারির আদেশ দেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা আহসান খানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করে বলেন ওই জমি তারা কয়েকজন মিলে ক্রয় করার জন্য বায়না দলিল সম্পাদন করেছেন সেই সাথে জমির মালিক নাজনীন নাহার নয় বলেও দাবি করেন।