নেত্রকোনার বিজয়পুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে বুনেশ রিছিল (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পশ্চিম বিজয়পুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বুনেশ রিছিল দুর্গাপুর উপজেলার পশ্চিম বিজয়পুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত পশুরাম রিছিলের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পশ্চিম বিজয়পুর এলাকা সীমান্তসংলগ্ন পাকা আমনের ধানক্ষেতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বাগমারা অঞ্চল থেকে বন্যহাতির একটি দল প্রবেশ করে।
পরে সীমান্তের পাকা ধান ক্ষেতে হাতির দল ঢুকে ধানের ক্ষতি করলে স্থানীয়রা হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করলে হাতি আক্রমণ করে কয়েকজনকে আহত করে।
বুধবার রাতে আহতদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় গুরুতর আহত বুনেশ রিছিলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুনেশ রিছিলের মেয়ে নিজ্জ সুমসাং ও নির্জলা সুমসাং বলেন, প্রতিদিন সীমান্তের ওপার থেকে দলবেঁধে হাতির পাল নেমে আমাদের পাকা ধান নষ্ট করে ফেলে। আমরা সবাই মিলে আগুন জ্বালিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করি। বুধবার সন্ধ্যার দিকে হাতি তাড়ানোর সময় হাতির পাল আক্রমণ করে বাবাকে গুরুতর আহত করে। পরে ময়মনসিংহ নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারকে মরদেহ সৎকারের ১০ হাজার টাকা দেব। সমস্যাটি সমাধানের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২
নেত্রকোনার বিজয়পুর সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে বুনেশ রিছিল (৬০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পশ্চিম বিজয়পুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বুনেশ রিছিল দুর্গাপুর উপজেলার পশ্চিম বিজয়পুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত পশুরাম রিছিলের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পশ্চিম বিজয়পুর এলাকা সীমান্তসংলগ্ন পাকা আমনের ধানক্ষেতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বাগমারা অঞ্চল থেকে বন্যহাতির একটি দল প্রবেশ করে।
পরে সীমান্তের পাকা ধান ক্ষেতে হাতির দল ঢুকে ধানের ক্ষতি করলে স্থানীয়রা হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করলে হাতি আক্রমণ করে কয়েকজনকে আহত করে।
বুধবার রাতে আহতদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় গুরুতর আহত বুনেশ রিছিলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুনেশ রিছিলের মেয়ে নিজ্জ সুমসাং ও নির্জলা সুমসাং বলেন, প্রতিদিন সীমান্তের ওপার থেকে দলবেঁধে হাতির পাল নেমে আমাদের পাকা ধান নষ্ট করে ফেলে। আমরা সবাই মিলে আগুন জ্বালিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করি। বুধবার সন্ধ্যার দিকে হাতি তাড়ানোর সময় হাতির পাল আক্রমণ করে বাবাকে গুরুতর আহত করে। পরে ময়মনসিংহ নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারকে মরদেহ সৎকারের ১০ হাজার টাকা দেব। সমস্যাটি সমাধানের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্তে বন্যহাতির আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।