alt

সারাদেশ

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দখল করে ব্যবসা! নিত্য দুর্ঘটনা

প্রতিনিধি, কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : রোববার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : মহাসড়কে গড়ে ওঠা দোকানপাট -সংবাদ

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুইপাশের ফুটপাত ও সার্ভিস লাইনের কয়েক কিলোমিটার অংশ দখল করে চলছে রমরমা বাণিজ্য। এই মহাসড়কের দুই পাশের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে ফলের দোকান, জামা-কাপড় এবং জুতা সহ বিভিন্ন ধরনের ভ্রাম্যমানফাস্ট ফুড দোকান। ফলে রাস্তায় চলতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনা ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের পাশ দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের। এছাড়া দুইপাশের সার্ভিস লাইনও একই ভাবে ভ্রাম্যমান এসব হকারদের দখলে। সার্ভিস লাইন দখলে থাকায় মহাসড়কে তিন চাকার ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাধ্য হয়েই আইন অমান্য করে যানবাহনগুলো প্রধান সড়কে চলাচল করছে।ফলে মহাসড়কে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচলে বিগ্নসহ হরহামেশাই ঘটছে ছোট বড় নানা দুর্ঘটনা।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, পল্লী বিদ্যুৎ, হরিণহাটি, এপেক্স গেট, সফিপুর, মৌচাক ওকালিয়াকৈর বাইপাস, বাজার রোডসহ বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন পয়েন্ট অবৈধ ভাবেফুটপাত ও মহাসড়ক দখল করে শত শত ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়ে ফায়দা লুটছে ইজারাদার, অসাধু পুলিশ এবং কিছু নামধারী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ স্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাত ও মহাসড়কের সার্ভিস লাইন দখল করে বসছে জামা-কাপড়, ফাস্টফুট খাবার, ফলের দোকান, ইলেকট্রিক দোকান, জুতার দোকান এবং কাঁচা বাজার। প্রতিদিন এসব দোকান বা হকারদের কাছ থেকে টুকেন বা রশিদ দিয়ে তোলা হচ্ছে চাঁদা। একই চিত্র চোখে পড়ছে হরিনহাটি, এপেক্স গেইট এলাকাতেও। মহাসড়কে সার্ভিস লাইনের উপর বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীসহ শতাধিক অবৈধ ভাসমান দোকান রয়েছে এ জায়গায়। মহাসড়কের এসব ভাসমান দোকানপাট ও বাজার থেকে পৌরসভার ইজারাদার নাম ভাঙিয়ে এক শ্রেণির চাঁদাবাজ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। মাসে গড়ে ১০-১২ লক্ষ টাকা চাদাঁ আদায় করা হয়। ফুটপাত দখল করে দোকান ও বাজার বসানোর বিষয়ে জানতে চাইলে জামা-কাপড় বিক্রেতা বাবলুজানান, স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এখানে দোকানপাট করা হয়েছে। প্রতিদিন আমার কাছ থেকে দোকান প্রতি ৫০ টাকা করে নেয়। আমার দোকান দুইটি তাই প্রতিদিন আমাকে ১০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী নাসিম উদ্দিন জানান, তিনি বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই সার্ভিস লাইনে বসে কাচাঁবাজার বিক্রি করেন। এজন্যে প্রতিদিন তাকে ৭০=১০০ টাকা করেচাদাঁ দিতে হয়। ডিমের দোকানদার রহিম জানান, আমি ফুটপাতে বসে ডিম বিক্রি করি। আমাকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে এখানে বসতে হয়। ভ্যান গাড়িতে ভ্রামমান ইলেকট্রিকদোকান এর মালিক হাসান জানান, সে তোবারক মোল্লা নামে স্থানীয় পৌরসভার এক ইজাদারকে প্রতিদিন এ দোকান বাবদ ৪০-৫০ টাকা চাদাঁ দিয়ে থাকেন। তিনি মহাসড়কের সার্ভিস লাইনে দোকান বসিয়ে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক মালামাল বিক্রি করেন। ভ্যান গাড়িতে ভ্রামমান জুতার দোকানদার রফিকুল ইসলাম ও সিদ্দিক মিয়া জানান, তারাতোবারক মোল্লা নামে স্থানীয় পৌরসভার এক ইজাদারকে প্রতিদিন তাদের দোকান বাবদ ৫০-৭০ টাকা করে চাদাঁ দিয়ে থাকেন। তারা মহাসড়কের সার্ভিস লাইনে দোকান বসিয়ে ভ্যানে করে জুতা বিক্রি করেন। এদিকে তিন চাকার ছোট গাড়ির চালকরা বলছে, মহাসড়কের পাশের সার্ভিস লাইনের রাস্তা দখল হবার কারনে বাধ্য হয়েই মহাসড়কে উঠতে হচ্ছে তাদের। এতে প্রায়ই যানবাহনের সাথে মুখোমুখি হয়ে বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় পুলিশ তাদের গাড়ি ধরে ২-৩ হাজার টাকার মামলা দিচ্ছে। যা তাদের প্রায় ৪-৫ দিনের উপার্জন। তাইপুলিশ প্রশাসন যদি ফুটপাত ও সার্ভিস লাইন রাস্তার ব্যাপারে একটু নজর দিতো সেক্ষেত্রে তাদের মহাসড়কে যেতে হতো না। এতে দুর্ঘটনার ও জরিমানাও গুনতে হতো না তাদের। শহিদুজ্জামান নামে এক পথচারী জানান, চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ বাজার এলাকায় মহাসড়কের পাশ দিয়ে জনসাধারনের হেটে চলার রাস্তা ফুটপাত একেবারে দখল হয়ে গেছে। ফুটপাত হচ্ছে পায়ে চলা চলের পথ। অথচ অবৈধ ভাবে ফুটপাতগুলোতেযে ভাবে দোকানপাট করা হচ্ছে এতে করে পথচারীদের রাস্তায় স্বাভাবিক চলাচলকরা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমনিতেই গাড়ি চাপ তার উপর ফুটপাতগুলো বাজারে পরিণত হয়েছে। এমন্তাবস্তায়বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দিয়েই হেঁটে চলাচল করতে হয় সাধারন পথচারীদের। কিছু অসাধু ব্যক্তিরাদীর্ঘদিন ধরে এসব ফুটপাত দখল করে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা বাণিজ্য। মহাসড়কগুলোতে অবৈধ দখল মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান ও নজরদারি না থাকায় ব্যস্ততম মহাসড়কটি দখলমুক্ত হচ্ছে না। কালিয়াকৈর পৌরসভার পল্লীবিদ্যুৎ বাজার ইজারাদার মোঃতবারক মোল্লা জানান, কালিয়াকৈর পৌরসভা থেকে আমি এ বাজার ডাকে এনেছি। আমি রশিদ ছাড়া টাকা তুলি না, পৌরসভার ইজারাদার রশিদ দিয়েই চাদাঁ আদায় করছি। মহাসড়কের ফুটপাত ও সার্ভিস লাইন দখল করে দোকান বসিয়ে চাদাঁ আদায় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার আগেও অনেকে এখানে দোকান বসিয়ে চাদাঁ আদায় করেছে। তারা কখনো চাদাঁ আদায়ের রশিদ দেয়নি। আমিতো পৌরসভার ইজারাদার টোল আদায়ের রশিদ দিয়েই চাদাঁ আদায় করছি। সালনা (কানাবাড়ি) হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। ফুটপাতে কোন ধরনের দখল বা চাদাঁবাজি হতে দেয়া হবে না। আমরা এ ব্যপারে কঠোর ভূমিকায় থাকবো। আমরা নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে আসছি এবং এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

রংপুরে বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

ছবি

নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় আরাকান আর্মির গুলিতে দুই জেলে আহত

ছবি

নাফনদে মাছ শিকারে গিয়ে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ

মায়ানমারে স্কুলে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা, ১৭ ছাত্র নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১৪ জন আটক

রাজারহাটে ৩ জুয়াড়ি আটক

দুই জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু

হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার

কলারোয়া সীমান্তে ওষুধ-শাড়ি উদ্ধার

দুই জেলায় সড়কে ঝরল ২ গ্যারেজ শ্রমিকের প্রাণ

ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে পাঁচ জনের মৃত্যু

দুই জেলায় সড়কে ঝরল ২ গ্যারেজ শ্রমিকের প্রাণ

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, গর্ভপাতে নবজাতকের মৃত্যু

ছবি

সরকারি রাস্তা থেকে লক্ষাধিক টাকার গাছ কাটার অভিযোগ

তালগাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

কবরস্থানের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১

ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

ছবি

ছুটির পরেও বিদ্যালয়ে উড়ছে জাতীয় পতাকা!

এক সপ্তাহে ৭ গরু চুরি বেড়েছে অন্য চুরিও

তাড়াশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে গরু বিতরণে অনিয়ম

ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি

ছবি

টাঙ্গাইল পৌরসভায় ১৩৮ বছরেও হয়নি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে বেহাল সড়কে দুর্ভোগ

ঝালকাঠির নথুল্লাবাদে খাল পুনঃখননে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ

সিংড়ায় বিএনপির অফিস থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১

ছবি

সিরাজগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৬ লক্ষাধিক পশু

সুনামগঞ্জের উন্নয়ন ও সমস্যা নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী ও জেলা প্রশাসনের মতবিনিময়

কেশবপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময়

নোয়াখালী শহর আ’লীগের সভাপতি পিন্টুর বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ

হত্যার প্রতিশোধ নিতে গুলি করে হত্যাচেষ্টা

ছবি

চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সিএনজি চালকদের সড়কে অবরোধ

কলাপাড়ায় খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

ফেইসবুকে ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করায় যুবক গ্রেপ্তার

সখীপুরে নারী ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পিস্কিন রোগ

ছবি

মাগুরায় জিআই সনদ পাওয়ার পরও অবহেলার শিকার লিচু চাষিরা

tab

সারাদেশ

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দখল করে ব্যবসা! নিত্য দুর্ঘটনা

প্রতিনিধি, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : মহাসড়কে গড়ে ওঠা দোকানপাট -সংবাদ

রোববার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুইপাশের ফুটপাত ও সার্ভিস লাইনের কয়েক কিলোমিটার অংশ দখল করে চলছে রমরমা বাণিজ্য। এই মহাসড়কের দুই পাশের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে ফলের দোকান, জামা-কাপড় এবং জুতা সহ বিভিন্ন ধরনের ভ্রাম্যমানফাস্ট ফুড দোকান। ফলে রাস্তায় চলতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনা ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের পাশ দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের। এছাড়া দুইপাশের সার্ভিস লাইনও একই ভাবে ভ্রাম্যমান এসব হকারদের দখলে। সার্ভিস লাইন দখলে থাকায় মহাসড়কে তিন চাকার ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাধ্য হয়েই আইন অমান্য করে যানবাহনগুলো প্রধান সড়কে চলাচল করছে।ফলে মহাসড়কে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচলে বিগ্নসহ হরহামেশাই ঘটছে ছোট বড় নানা দুর্ঘটনা।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, পল্লী বিদ্যুৎ, হরিণহাটি, এপেক্স গেট, সফিপুর, মৌচাক ওকালিয়াকৈর বাইপাস, বাজার রোডসহ বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন পয়েন্ট অবৈধ ভাবেফুটপাত ও মহাসড়ক দখল করে শত শত ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়ে ফায়দা লুটছে ইজারাদার, অসাধু পুলিশ এবং কিছু নামধারী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ স্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাত ও মহাসড়কের সার্ভিস লাইন দখল করে বসছে জামা-কাপড়, ফাস্টফুট খাবার, ফলের দোকান, ইলেকট্রিক দোকান, জুতার দোকান এবং কাঁচা বাজার। প্রতিদিন এসব দোকান বা হকারদের কাছ থেকে টুকেন বা রশিদ দিয়ে তোলা হচ্ছে চাঁদা। একই চিত্র চোখে পড়ছে হরিনহাটি, এপেক্স গেইট এলাকাতেও। মহাসড়কে সার্ভিস লাইনের উপর বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীসহ শতাধিক অবৈধ ভাসমান দোকান রয়েছে এ জায়গায়। মহাসড়কের এসব ভাসমান দোকানপাট ও বাজার থেকে পৌরসভার ইজারাদার নাম ভাঙিয়ে এক শ্রেণির চাঁদাবাজ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। মাসে গড়ে ১০-১২ লক্ষ টাকা চাদাঁ আদায় করা হয়। ফুটপাত দখল করে দোকান ও বাজার বসানোর বিষয়ে জানতে চাইলে জামা-কাপড় বিক্রেতা বাবলুজানান, স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এখানে দোকানপাট করা হয়েছে। প্রতিদিন আমার কাছ থেকে দোকান প্রতি ৫০ টাকা করে নেয়। আমার দোকান দুইটি তাই প্রতিদিন আমাকে ১০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী নাসিম উদ্দিন জানান, তিনি বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই সার্ভিস লাইনে বসে কাচাঁবাজার বিক্রি করেন। এজন্যে প্রতিদিন তাকে ৭০=১০০ টাকা করেচাদাঁ দিতে হয়। ডিমের দোকানদার রহিম জানান, আমি ফুটপাতে বসে ডিম বিক্রি করি। আমাকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে এখানে বসতে হয়। ভ্যান গাড়িতে ভ্রামমান ইলেকট্রিকদোকান এর মালিক হাসান জানান, সে তোবারক মোল্লা নামে স্থানীয় পৌরসভার এক ইজাদারকে প্রতিদিন এ দোকান বাবদ ৪০-৫০ টাকা চাদাঁ দিয়ে থাকেন। তিনি মহাসড়কের সার্ভিস লাইনে দোকান বসিয়ে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক মালামাল বিক্রি করেন। ভ্যান গাড়িতে ভ্রামমান জুতার দোকানদার রফিকুল ইসলাম ও সিদ্দিক মিয়া জানান, তারাতোবারক মোল্লা নামে স্থানীয় পৌরসভার এক ইজাদারকে প্রতিদিন তাদের দোকান বাবদ ৫০-৭০ টাকা করে চাদাঁ দিয়ে থাকেন। তারা মহাসড়কের সার্ভিস লাইনে দোকান বসিয়ে ভ্যানে করে জুতা বিক্রি করেন। এদিকে তিন চাকার ছোট গাড়ির চালকরা বলছে, মহাসড়কের পাশের সার্ভিস লাইনের রাস্তা দখল হবার কারনে বাধ্য হয়েই মহাসড়কে উঠতে হচ্ছে তাদের। এতে প্রায়ই যানবাহনের সাথে মুখোমুখি হয়ে বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় পুলিশ তাদের গাড়ি ধরে ২-৩ হাজার টাকার মামলা দিচ্ছে। যা তাদের প্রায় ৪-৫ দিনের উপার্জন। তাইপুলিশ প্রশাসন যদি ফুটপাত ও সার্ভিস লাইন রাস্তার ব্যাপারে একটু নজর দিতো সেক্ষেত্রে তাদের মহাসড়কে যেতে হতো না। এতে দুর্ঘটনার ও জরিমানাও গুনতে হতো না তাদের। শহিদুজ্জামান নামে এক পথচারী জানান, চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ বাজার এলাকায় মহাসড়কের পাশ দিয়ে জনসাধারনের হেটে চলার রাস্তা ফুটপাত একেবারে দখল হয়ে গেছে। ফুটপাত হচ্ছে পায়ে চলা চলের পথ। অথচ অবৈধ ভাবে ফুটপাতগুলোতেযে ভাবে দোকানপাট করা হচ্ছে এতে করে পথচারীদের রাস্তায় স্বাভাবিক চলাচলকরা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমনিতেই গাড়ি চাপ তার উপর ফুটপাতগুলো বাজারে পরিণত হয়েছে। এমন্তাবস্তায়বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দিয়েই হেঁটে চলাচল করতে হয় সাধারন পথচারীদের। কিছু অসাধু ব্যক্তিরাদীর্ঘদিন ধরে এসব ফুটপাত দখল করে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা বাণিজ্য। মহাসড়কগুলোতে অবৈধ দখল মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান ও নজরদারি না থাকায় ব্যস্ততম মহাসড়কটি দখলমুক্ত হচ্ছে না। কালিয়াকৈর পৌরসভার পল্লীবিদ্যুৎ বাজার ইজারাদার মোঃতবারক মোল্লা জানান, কালিয়াকৈর পৌরসভা থেকে আমি এ বাজার ডাকে এনেছি। আমি রশিদ ছাড়া টাকা তুলি না, পৌরসভার ইজারাদার রশিদ দিয়েই চাদাঁ আদায় করছি। মহাসড়কের ফুটপাত ও সার্ভিস লাইন দখল করে দোকান বসিয়ে চাদাঁ আদায় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার আগেও অনেকে এখানে দোকান বসিয়ে চাদাঁ আদায় করেছে। তারা কখনো চাদাঁ আদায়ের রশিদ দেয়নি। আমিতো পৌরসভার ইজারাদার টোল আদায়ের রশিদ দিয়েই চাদাঁ আদায় করছি। সালনা (কানাবাড়ি) হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। ফুটপাতে কোন ধরনের দখল বা চাদাঁবাজি হতে দেয়া হবে না। আমরা এ ব্যপারে কঠোর ভূমিকায় থাকবো। আমরা নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে আসছি এবং এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

back to top