পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ১০ হাজার টাকা ভাড়াটে খুনি নিয়ে ভাতিজাকে হত্যা করেছেন চাচা।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস.এম. সিরাজুল হুদা।
পুলিশ সুপার জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন নিহত কামরুলের চাচা সাইফুল। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৫ জানুয়ারি রাতে কামরুলকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকার করতোয়া নদীর ধারের এক চা বাগানের নালায় সাইফুল ও তার সহযোগী একই উপজেলার দিদার আলী এবং নজিবুল হক মিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
পুলিশ সুপার জানান, মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাতিজাকে হত্যা করতে দিদার আলী এবং নজিবুল হককে ভাড়া করেন সাইফুল। পরে সেখানে তাকে হত্যা নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যান হত্যাকারীরা।
এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি নিহত কামরুল নিখোঁজ হন। দুইদিন ধরে কামরুলের খোঁজ না পেয়ে তার ছোট ভাই কাবুল হেসেন তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ওই দিনই বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকার করতোয়া নদীর ধারে একটি চা বাগানের নালা থেকে কামরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/২৫ জনের নামে তেতুঁলিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরদিন ঘটনার সঙ্গে জড়িত দিদার আলী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পরে পার্শ্ববর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যতম সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মামলার সঙ্গে জড়িত নজিবুল হক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা আরও বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকে সুষ্ঠু তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের বিষয় বের করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা কাজ করছি যাবতীয় কর্মকাণ্ড বের করার।
মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ১০ হাজার টাকা ভাড়াটে খুনি নিয়ে ভাতিজাকে হত্যা করেছেন চাচা।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস.এম. সিরাজুল হুদা।
পুলিশ সুপার জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেন নিহত কামরুলের চাচা সাইফুল। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৫ জানুয়ারি রাতে কামরুলকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকার করতোয়া নদীর ধারের এক চা বাগানের নালায় সাইফুল ও তার সহযোগী একই উপজেলার দিদার আলী এবং নজিবুল হক মিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
পুলিশ সুপার জানান, মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাতিজাকে হত্যা করতে দিদার আলী এবং নজিবুল হককে ভাড়া করেন সাইফুল। পরে সেখানে তাকে হত্যা নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যান হত্যাকারীরা।
এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি নিহত কামরুল নিখোঁজ হন। দুইদিন ধরে কামরুলের খোঁজ না পেয়ে তার ছোট ভাই কাবুল হেসেন তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ওই দিনই বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকার করতোয়া নদীর ধারে একটি চা বাগানের নালা থেকে কামরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/২৫ জনের নামে তেতুঁলিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরদিন ঘটনার সঙ্গে জড়িত দিদার আলী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পরে পার্শ্ববর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যতম সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মামলার সঙ্গে জড়িত নজিবুল হক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা আরও বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকে সুষ্ঠু তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের বিষয় বের করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা কাজ করছি যাবতীয় কর্মকাণ্ড বের করার।