বগুড়ার দুটি আসনের উপ-নির্বাচনে সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা যাচ্ছে; কেন্দ্রে কেন্দ্রে অন্য প্রার্থীদের তৎপরতা তেমনটা চোখে না পড়লেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তৎপর দেখা গেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) এবং বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনের সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
বগুড়া-৬ আসনে ১১ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন- মো. আফজাল হোসেন- গণফ্রন্ট; মো. এমদুদুল হক ইমদাদ- জাসদ; মো. নূরুল ইসলাম ওমর- জাতীয় পার্টি; রাগেবুল আহসান রিপু- আওয়ামী লীগ; মোহাম্মদ ফয়সাল বিন শফিক- জাকের পার্টি; মো. নজরুল ইসলাম- বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। স্বতন্ত্র প্রার্থী- মো. আব্দুল মান্নান, মো. রাকিব হাসান, মাছুদার রহমান হেলাল, মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) এবং মো. সরকার বাদল।
বগুড়া-৬ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৪৩টি। আর ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ জন।
বগুড়া-৪ আসনের ৯ প্রার্থী হলেন- এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন- জাসদ (১৪ দল); শাহীন মোস্তফা কামাল- জাতীয় পার্টি; আব্দুর রশিদ সরদার- জাকের পার্টি; মো. তাজ উদ্দীন মণ্ডল- বাংলাদেশ কংগ্রেস। আর মো. গোলাম মোস্তফা, আলহাজ্ব মো. ইলিয়াস আলী, মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), মো. কামরুল হাসান সিদ্দিকী (জুয়েল) এবং মো. আব্দুর রশিদ স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বগুড়া-৪ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১১২টি। আর মোট ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯ জন।
বগুড়া-৬ আসনের মধ্যে সদর উপজেলার সু্ত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেন্ট্রাল হাইস্কুল, জিলা স্কুল, ছয়পুকুরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ, মোস্তাফিয়া আলিয়া মাদ্রাসাসহ বেশ কিছু কেন্দ্রে সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে।
এসব ভোটকেন্দ্রের সবকটি বুথেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী পোলিং এজেন্ট দেখা গেলেও অন্য প্রার্থীদের সব বুথে এজেন্ট দেখা যায়নি। তবে কিছু কিছু বুথে নৌকার বাইরে অন্যদের এজেন্টদেরও দেখা গেছে। কেন্দ্রের ভিতরে ও বাইরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপর দেখা গেছে।
এই কেন্দ্রেগুলো ঘুরে কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি। ইভিএম মেশিন ঠিকঠাক চলছিল, ভোটারদের পক্ষ থেকেও কোনো বড় ধরনের অভিযোগ শুনা যায়নি।
এসব ভোটকেন্দ্রের বাইরে নৌকা প্রার্থীদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। তারা কেন্দ্রে আসা ভোটারদের ভোটার নম্বর মিলিয়ে বুথ নম্বর দেখিয়ে দিচ্ছেন, ভোটার স্লিপ দিচ্ছেন। বৃদ্ধ ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতেও সাহায্য করতে দেখা গেছে অনেককে।
ছয়পুকুরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল গফুর বলেন, তার কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৮৪২। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৮৫টি।
মোস্তাফিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন জানান, তার কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ২৭৯। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১০০টি।
তবে ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তাহীনতা ও এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বগুড়া-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ। তবে এ নিয়ে তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ভোটকেন্দ্রের মাঝে কোনো নিরাপত্তা নেই। আমার এজেন্টদের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।”
বগুড়া-৬ এবং বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, “শুধু একটি কেন্দ্রে কে বা কারা আমার এজেন্টকে ঢুকতে দেয়নি। তাছাড়া ভোট এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু হচ্ছে। যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে দুটি আসনেই আমি জিতব।”
তবে বগুড়া-৬ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু সাংবাদিকদের বলেন, “সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে। এ রকম ভোট চললে আমার বিজয় নিশ্চিত। আমি শতভাগ আশাবাদী।“
নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দুপুর সোয়া ১২টায় উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, “দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো গোলযোগের খবর আসেনি। ভোট সুষ্ঠু ও সুন্দর হচ্ছে।”
এদিকে বগুড়া-৪ আসনেও ভোটারের উপস্থিতি কম দেখা যায়। সেখানে সব প্রার্থীর এজেন্ট এবং কর্মী লক্ষ্য করা গেছে।
কাহালু টি এন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং ওলাহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা যায়।
ওলাহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আহসানুল হাবিব বলেন, এখানকার ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৮০০। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮০টি।
এই আসনের উপ-নির্বাচনেও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কোন বিশৃঙ্খলা কিংবা অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
বগুড়ার দুটি আসনের উপ-নির্বাচনে সকাল থেকে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা যাচ্ছে; কেন্দ্রে কেন্দ্রে অন্য প্রার্থীদের তৎপরতা তেমনটা চোখে না পড়লেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তৎপর দেখা গেছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) এবং বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনের সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
বগুড়া-৬ আসনে ১১ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন- মো. আফজাল হোসেন- গণফ্রন্ট; মো. এমদুদুল হক ইমদাদ- জাসদ; মো. নূরুল ইসলাম ওমর- জাতীয় পার্টি; রাগেবুল আহসান রিপু- আওয়ামী লীগ; মোহাম্মদ ফয়সাল বিন শফিক- জাকের পার্টি; মো. নজরুল ইসলাম- বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন। স্বতন্ত্র প্রার্থী- মো. আব্দুল মান্নান, মো. রাকিব হাসান, মাছুদার রহমান হেলাল, মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) এবং মো. সরকার বাদল।
বগুড়া-৬ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৪৩টি। আর ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ জন।
বগুড়া-৪ আসনের ৯ প্রার্থী হলেন- এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন- জাসদ (১৪ দল); শাহীন মোস্তফা কামাল- জাতীয় পার্টি; আব্দুর রশিদ সরদার- জাকের পার্টি; মো. তাজ উদ্দীন মণ্ডল- বাংলাদেশ কংগ্রেস। আর মো. গোলাম মোস্তফা, আলহাজ্ব মো. ইলিয়াস আলী, মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), মো. কামরুল হাসান সিদ্দিকী (জুয়েল) এবং মো. আব্দুর রশিদ স্বতন্ত্র প্রার্থী।
বগুড়া-৪ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১১২টি। আর মোট ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯ জন।
বগুড়া-৬ আসনের মধ্যে সদর উপজেলার সু্ত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেন্ট্রাল হাইস্কুল, জিলা স্কুল, ছয়পুকুরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ, মোস্তাফিয়া আলিয়া মাদ্রাসাসহ বেশ কিছু কেন্দ্রে সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে।
এসব ভোটকেন্দ্রের সবকটি বুথেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী পোলিং এজেন্ট দেখা গেলেও অন্য প্রার্থীদের সব বুথে এজেন্ট দেখা যায়নি। তবে কিছু কিছু বুথে নৌকার বাইরে অন্যদের এজেন্টদেরও দেখা গেছে। কেন্দ্রের ভিতরে ও বাইরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপর দেখা গেছে।
এই কেন্দ্রেগুলো ঘুরে কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি। ইভিএম মেশিন ঠিকঠাক চলছিল, ভোটারদের পক্ষ থেকেও কোনো বড় ধরনের অভিযোগ শুনা যায়নি।
এসব ভোটকেন্দ্রের বাইরে নৌকা প্রার্থীদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। তারা কেন্দ্রে আসা ভোটারদের ভোটার নম্বর মিলিয়ে বুথ নম্বর দেখিয়ে দিচ্ছেন, ভোটার স্লিপ দিচ্ছেন। বৃদ্ধ ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতেও সাহায্য করতে দেখা গেছে অনেককে।
ছয়পুকুরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল গফুর বলেন, তার কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৮৪২। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৮৫টি।
মোস্তাফিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন জানান, তার কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ২৭৯। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১০০টি।
তবে ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তাহীনতা ও এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বগুড়া-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ। তবে এ নিয়ে তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ভোটকেন্দ্রের মাঝে কোনো নিরাপত্তা নেই। আমার এজেন্টদের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।”
বগুড়া-৬ এবং বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, “শুধু একটি কেন্দ্রে কে বা কারা আমার এজেন্টকে ঢুকতে দেয়নি। তাছাড়া ভোট এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু হচ্ছে। যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে দুটি আসনেই আমি জিতব।”
তবে বগুড়া-৬ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু সাংবাদিকদের বলেন, “সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ভোট চলছে। এ রকম ভোট চললে আমার বিজয় নিশ্চিত। আমি শতভাগ আশাবাদী।“
নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দুপুর সোয়া ১২টায় উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, “দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো গোলযোগের খবর আসেনি। ভোট সুষ্ঠু ও সুন্দর হচ্ছে।”
এদিকে বগুড়া-৪ আসনেও ভোটারের উপস্থিতি কম দেখা যায়। সেখানে সব প্রার্থীর এজেন্ট এবং কর্মী লক্ষ্য করা গেছে।
কাহালু টি এন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং ওলাহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা যায়।
ওলাহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আহসানুল হাবিব বলেন, এখানকার ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৮০০। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮০টি।
এই আসনের উপ-নির্বাচনেও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কোন বিশৃঙ্খলা কিংবা অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি।