alt

সারাদেশ

সদরপুরে সর. বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ নানা সংকটে ভুগছে

প্রতিনিধি, সদরপুর (ফরিদপুর) : বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার সরকারি কাজী জেবুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি শিক্ষক সংকটসহ নানা সমস্যায় ভুগছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হওয়ার পূর্বে বেশ সুনামের সঙ্গেই চলে আসছিল। তখন এই বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ছিল প্রায় দেড় হাজার। বর্তমানে রয়েছে ৬০০। স্থানীয় সূত্র জানায়, এ বিদ্যালয়টিতে ইতোপূর্বে একাধিকবার বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটেছে, এবং শিক্ষার মান ভালো হচ্ছে না বুঝে, অনেক অভিভাবকই তাদের শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে অন্যত্র ভর্তি করাচ্ছে। যার ফলে দিন-দিন শিক্ষার্থী কমতে শুরু করছে। এছাড়া প্রত্যেক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেশি প্রায় একইভাবে শুধু (সেশনচার্জ) ভর্তি ফি নেয়া হচ্ছে প্রায় এগারশ টাকা করে। এছাড়াও অন্যান্য ফি ও নেয়া হচ্ছে। ভর্তিসহ অন্যান্য ফির ক্ষেত্রেও কোনো সামঞ্জস্য নেই। যদিও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে যে, যেভাবে পারছে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে। এই ব্যাপারে সদরপুর উপজেলার বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়গুলোর হাল আরও বেহাল বলেই ধরে নেয়া যায়। ভর্তি ফি (সেশনচার্জ)সহ বেতন, বিবিধ চার্জ নিয়েই শিক্ষার্থীদের দফা সাড়া করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনেক বিদ্যালয়েই (সেশনচার্জ) ভর্তি ফি বা টিউশন ফি নেয়া হয় যথাক্রমে প্রায় ১২/১৪শ’ টাকা। জানা যায়, সদরপুরে একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়টি ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও জাতীয়করণ করা হয়েছে ২ ফেব্রয়ারি ১৯১৬ সালে। জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকেই শিক্ষার মান নিম্নমুখী হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছ। এই বিদ্যালয়ে ১৭ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও মাত্র ১২ জন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টি চালানো হচ্ছে, খন্ডকালীন শিক্ষক রয়েছে সাতজন, এই নিয়েই বিদ্যালয়টি খুঁড়িয়ে চলছে। নেই প্রধান শিক্ষক, ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জাতীয়করণের পর থেকেই বিদ্যালয়টি ভারপ্রাপ্ত প্রদান শিক্ষক দিয়েই চলছে। স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আগে বিদ্যালয়টির শিক্ষার ব্যাপারে বেশ সুনাম ছিল, স্কুলের রেজাল্টও খুব ভালো ছিল, বর্তমানে শিক্ষার মান তেমন একটা ভালো না, শুধু বিভিন্ন ধরনের ফি, দেয়া-নেয়ার মানটাই ভালো। এ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম ফারুকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক পাওয়ার জন্য একাধিকবার আবেদন করেও কোনো শিক্ষক পাই নাই। বিদ্যালয়ে বিভিন্ন নামে এতো ফি নিচ্ছেন কিভাবে, তিনি বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ফি নিয়ে থাকি, নিয়মের বাইরে নয়। তিনি বলেন, বাধ্য হয়েই ৫ জন নিয়মিত, ৭ জন খন্ডকালীন, শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টি চালিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, আমি অল্পকিছু দিন আগে উপজেলায় এসে যোগদান করেছি, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে, এ বিষয়ে জানা নেই, তবে কী কারণে সংকট আমি জেনে বুঝে ব্যাবস্থার জন্য উপরে জানাব।

ছবি

ধোবাউড়ায় লক্ষ্যমাত্রার বেশি বোরোর উৎপাদন

অজান্তেই হয়রানির শিকার ছাত্রীরা

সোনারগাঁ আ.লীগের সহ-সভাপতি গ্রেপ্তার

সিরাজদিখানে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ছবি

চাঁদপুর সড়ক বহরিয়া-হরিণা রাস্তা সংস্কারে জনমনে স্বস্তি

সরকারি অনুদানের গরু ফেরত পেলেন দুই আদিবাসী

ছবি

লালমাইয়ে মেছোবাঘ আতঙ্ক

শ্রীমঙ্গলে সবুজ বোড়া বিষাক্ত সাপ উদ্ধার

রংপুরে বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

ছবি

নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় আরাকান আর্মির গুলিতে দুই জেলে আহত

ছবি

নাফনদে মাছ শিকারে গিয়ে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ

মায়ানমারে স্কুলে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা, ১৭ ছাত্র নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১৪ জন আটক

রাজারহাটে ৩ জুয়াড়ি আটক

দুই জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু

হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার

কলারোয়া সীমান্তে ওষুধ-শাড়ি উদ্ধার

দুই জেলায় সড়কে ঝরল ২ গ্যারেজ শ্রমিকের প্রাণ

ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে পাঁচ জনের মৃত্যু

দুই জেলায় সড়কে ঝরল ২ গ্যারেজ শ্রমিকের প্রাণ

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, গর্ভপাতে নবজাতকের মৃত্যু

ছবি

সরকারি রাস্তা থেকে লক্ষাধিক টাকার গাছ কাটার অভিযোগ

তালগাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

কবরস্থানের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১

ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

ছবি

ছুটির পরেও বিদ্যালয়ে উড়ছে জাতীয় পতাকা!

এক সপ্তাহে ৭ গরু চুরি বেড়েছে অন্য চুরিও

তাড়াশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে গরু বিতরণে অনিয়ম

ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি

ছবি

টাঙ্গাইল পৌরসভায় ১৩৮ বছরেও হয়নি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে বেহাল সড়কে দুর্ভোগ

ঝালকাঠির নথুল্লাবাদে খাল পুনঃখননে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ

সিংড়ায় বিএনপির অফিস থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১

ছবি

সিরাজগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৬ লক্ষাধিক পশু

সুনামগঞ্জের উন্নয়ন ও সমস্যা নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী ও জেলা প্রশাসনের মতবিনিময়

কেশবপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময়

tab

সারাদেশ

সদরপুরে সর. বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ নানা সংকটে ভুগছে

প্রতিনিধি, সদরপুর (ফরিদপুর)

বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার সরকারি কাজী জেবুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি শিক্ষক সংকটসহ নানা সমস্যায় ভুগছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হওয়ার পূর্বে বেশ সুনামের সঙ্গেই চলে আসছিল। তখন এই বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ছিল প্রায় দেড় হাজার। বর্তমানে রয়েছে ৬০০। স্থানীয় সূত্র জানায়, এ বিদ্যালয়টিতে ইতোপূর্বে একাধিকবার বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটেছে, এবং শিক্ষার মান ভালো হচ্ছে না বুঝে, অনেক অভিভাবকই তাদের শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে অন্যত্র ভর্তি করাচ্ছে। যার ফলে দিন-দিন শিক্ষার্থী কমতে শুরু করছে। এছাড়া প্রত্যেক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেশি প্রায় একইভাবে শুধু (সেশনচার্জ) ভর্তি ফি নেয়া হচ্ছে প্রায় এগারশ টাকা করে। এছাড়াও অন্যান্য ফি ও নেয়া হচ্ছে। ভর্তিসহ অন্যান্য ফির ক্ষেত্রেও কোনো সামঞ্জস্য নেই। যদিও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে যে, যেভাবে পারছে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে। এই ব্যাপারে সদরপুর উপজেলার বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়গুলোর হাল আরও বেহাল বলেই ধরে নেয়া যায়। ভর্তি ফি (সেশনচার্জ)সহ বেতন, বিবিধ চার্জ নিয়েই শিক্ষার্থীদের দফা সাড়া করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনেক বিদ্যালয়েই (সেশনচার্জ) ভর্তি ফি বা টিউশন ফি নেয়া হয় যথাক্রমে প্রায় ১২/১৪শ’ টাকা। জানা যায়, সদরপুরে একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়টি ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও জাতীয়করণ করা হয়েছে ২ ফেব্রয়ারি ১৯১৬ সালে। জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকেই শিক্ষার মান নিম্নমুখী হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছ। এই বিদ্যালয়ে ১৭ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও মাত্র ১২ জন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টি চালানো হচ্ছে, খন্ডকালীন শিক্ষক রয়েছে সাতজন, এই নিয়েই বিদ্যালয়টি খুঁড়িয়ে চলছে। নেই প্রধান শিক্ষক, ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জাতীয়করণের পর থেকেই বিদ্যালয়টি ভারপ্রাপ্ত প্রদান শিক্ষক দিয়েই চলছে। স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আগে বিদ্যালয়টির শিক্ষার ব্যাপারে বেশ সুনাম ছিল, স্কুলের রেজাল্টও খুব ভালো ছিল, বর্তমানে শিক্ষার মান তেমন একটা ভালো না, শুধু বিভিন্ন ধরনের ফি, দেয়া-নেয়ার মানটাই ভালো। এ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম ফারুকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক পাওয়ার জন্য একাধিকবার আবেদন করেও কোনো শিক্ষক পাই নাই। বিদ্যালয়ে বিভিন্ন নামে এতো ফি নিচ্ছেন কিভাবে, তিনি বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ফি নিয়ে থাকি, নিয়মের বাইরে নয়। তিনি বলেন, বাধ্য হয়েই ৫ জন নিয়মিত, ৭ জন খন্ডকালীন, শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টি চালিয়ে যাচ্ছি। উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, আমি অল্পকিছু দিন আগে উপজেলায় এসে যোগদান করেছি, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে, এ বিষয়ে জানা নেই, তবে কী কারণে সংকট আমি জেনে বুঝে ব্যাবস্থার জন্য উপরে জানাব।

back to top