চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডিআইজি আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জের বশিকপুর ইউনিয়নে হত দরিদ্র পরিবারের হাঁস-মুরগি চুরির ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
গত শনিবার রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি তৌহিদুল ইসলামসহ ১০ জনের ১টি টিম গৃহবধূ আলেয়া বেগমের বাড়িতে গিয়ে তার শখের পালিত চিনা হাঁস চুরির ঘটনা শুনে তার বক্তব্য রেকর্ড করেন। এবং মুরগির খড় (ঘর) পরিদর্শন করে।
ওই সময় আশপাশের প্রবীণ লোকজন ওসিকে কাছে পেয়ে এলাকার হাঁস-মুরগি, কবুতর, ছাগল চুরির ঘটনা তুলে ধরেন। ওসি স্থানীয়দের কথা শুনে। তাদের পাশে থাকা ও নিরাপত্তার আশ্বাস দেন। ওসির আশ্বাসে আতংকিত নারী পুরুষের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বত্ত্বি ফিরেছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ বশিকপুর জরিয়ার বাড়ির গৃহবধূ আলেয়া বেগম মুঠোফোনে সংবাদকে জানান, বড় চিনা হাঁসটি চুরি হওয়ার পর অন্য ৩টি চিনা হাঁস তিনি চোরের ভয়ে জবাই করে ফ্রিজে রেখেছেন। আরও ২ থেকে ৩টি হাঁস (ছোট) ডিম পাড়ে। চোরের ভয়ে এখনও মুরগির ঘরের চারপাশ্বে বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালিয়ে তারা রাতে ঘুমাইতে যান। এখনও তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ যাওয়ার পর এলাকার পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত। তবে নিরাপত্তার অভাবে তারা অনেক কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।
অভিযোগ রয়েছে, এলাকার কিছু উঠতি বখাটে দক্ষিণ বশিকপুর এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ করছে। ছোটখাট বিষয় নিয়ে তারা দরিদ্র পরিবারগুলোকে হুমকি দেন ও জিম্মি করে রাখেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তছলিম উদ্দিন জানান, পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ভূক্তভোগীদের মতামত নেয়ার পর স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিম খানার সামনে বসে গ্রামবাসীর কথা শুনেন এবং তাদেরকে ছোটখাটসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে সহায়তার আশ্বাস দেন। এলাকাবাসী থানার ওসি ও বিভাগীয় ডিআইজিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর দাবি, সংঘবদ্ধ চোরদলকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনলে এলাকার অপরাধ প্রবণতা কিছুটা হলেও কমবে। থাকবে না চুরি ও সন্ত্রাস।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন সংবাদকে জানান, অপরাধীরা যেই হোক। আইন সবার জন্য সমান। অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শনিবার বশিকপুরের হাঁস-মুরগি চুরির ঘটনা নিয়ে সংবাদে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশের পর সরজমিন তদন্তে পুলিশ প্রমাণ পেয়েছেন। এখনও চোর ধরা পড়েনি। হাঁসও উদ্ধার হয়নি।
রোববার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডিআইজি আনোয়ার হোসেনের নির্দেশে লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জের বশিকপুর ইউনিয়নে হত দরিদ্র পরিবারের হাঁস-মুরগি চুরির ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
গত শনিবার রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি তৌহিদুল ইসলামসহ ১০ জনের ১টি টিম গৃহবধূ আলেয়া বেগমের বাড়িতে গিয়ে তার শখের পালিত চিনা হাঁস চুরির ঘটনা শুনে তার বক্তব্য রেকর্ড করেন। এবং মুরগির খড় (ঘর) পরিদর্শন করে।
ওই সময় আশপাশের প্রবীণ লোকজন ওসিকে কাছে পেয়ে এলাকার হাঁস-মুরগি, কবুতর, ছাগল চুরির ঘটনা তুলে ধরেন। ওসি স্থানীয়দের কথা শুনে। তাদের পাশে থাকা ও নিরাপত্তার আশ্বাস দেন। ওসির আশ্বাসে আতংকিত নারী পুরুষের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বত্ত্বি ফিরেছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যায় দক্ষিণ বশিকপুর জরিয়ার বাড়ির গৃহবধূ আলেয়া বেগম মুঠোফোনে সংবাদকে জানান, বড় চিনা হাঁসটি চুরি হওয়ার পর অন্য ৩টি চিনা হাঁস তিনি চোরের ভয়ে জবাই করে ফ্রিজে রেখেছেন। আরও ২ থেকে ৩টি হাঁস (ছোট) ডিম পাড়ে। চোরের ভয়ে এখনও মুরগির ঘরের চারপাশ্বে বৈদ্যুতিক লাইট জ্বালিয়ে তারা রাতে ঘুমাইতে যান। এখনও তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ যাওয়ার পর এলাকার পরিস্থিতি এখন কিছুটা শান্ত। তবে নিরাপত্তার অভাবে তারা অনেক কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।
অভিযোগ রয়েছে, এলাকার কিছু উঠতি বখাটে দক্ষিণ বশিকপুর এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ করছে। ছোটখাট বিষয় নিয়ে তারা দরিদ্র পরিবারগুলোকে হুমকি দেন ও জিম্মি করে রাখেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তছলিম উদ্দিন জানান, পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ভূক্তভোগীদের মতামত নেয়ার পর স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিম খানার সামনে বসে গ্রামবাসীর কথা শুনেন এবং তাদেরকে ছোটখাটসহ সব ধরনের অপরাধ দমনে সহায়তার আশ্বাস দেন। এলাকাবাসী থানার ওসি ও বিভাগীয় ডিআইজিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর দাবি, সংঘবদ্ধ চোরদলকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনলে এলাকার অপরাধ প্রবণতা কিছুটা হলেও কমবে। থাকবে না চুরি ও সন্ত্রাস।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন সংবাদকে জানান, অপরাধীরা যেই হোক। আইন সবার জন্য সমান। অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শনিবার বশিকপুরের হাঁস-মুরগি চুরির ঘটনা নিয়ে সংবাদে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশের পর সরজমিন তদন্তে পুলিশ প্রমাণ পেয়েছেন। এখনও চোর ধরা পড়েনি। হাঁসও উদ্ধার হয়নি।