সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (সগবি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), ফরিদপুর এর উদ্যোগে আজ রোববার ৫ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গতমজিদ মুন্সী ডাঙ্গী, ডিক্রির চরে “তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি” (বারি অংগ) শীর্ষক প্রকল্পের অধীনেমাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বকরেন সগবি, বারি, ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদ। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প সমন্বয়ক ড. ফেরদৌসী বেগম।অনুষ্ঠানটিতেবিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফরিদপুরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের উপ-পরিচালক জনাব শফিকুল ইসলাম খান এবং মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র,ফরিদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মুশফিকুর রহমান। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় উক্ত প্রোগ্রামে আরও উপস্থিত ছিলেনউক্ত অঞ্চলের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা,সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক সহকারীবৃন্দ এবং প্রিন্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
মাঠ দিবসে ৮০ জন কৃষক কিষানী অংশগ্রহন করেন। এ বছর মজিদ মুন্সী ডাঙ্গী, ডিক্রির চরে বারি সরিষা-১১ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। উল্লেখ্য, এই জাতটি খরা সহিষ্ণু হওয়ায় চরাঞ্চলে আবাদের জন্য উপযোগী। অতিথিরা কৃষকদের সাথে চরাঞ্চলেবারি সরিষা-১১ এর উৎপাদন কার্যক্রমের মাঠ পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত সবাই বারি উদ্ভাবিত আধুনিক সরিষা জাতসমূহগ্রহণ করারআশাবাদ ব্যক্ত করেন। বক্তারা বলেন,এদেশের কৃষকরা সাধারণত স্থানীয় জাতের সরিষার আবাদ করে থাকে যার হেক্টর প্রতি গড় ফলন মাত্র ৮৫০ কেজি বা প্রতি শতাংশে ৩.৫ কেজি। বারি সরিষা-১১ এর হেক্টর প্রতি ফলন ২.০-২.৫ টন বা প্রতি শতাংশে প্রায় ৮ থেকে ১০ কেজি। তাই, নতুন জাত আবাদে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হয়। এছাড়া, বারি সরিষা-১১ জাতটির জীবনকাল মাত্র ১০৫-১১০ দিন হওয়ায় খুব সহজেই ফসল ধারায় (সরিষা-ভুট্টা-পতিত) সংযুক্ত করা যায়। প্রধান অতিথি বলেন, “প্রতিবছর ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। তাই পরিবারের ও দেশের চাহিদা পূরণে সরিষার আবাদ ক্রমান্বয়ে বাড়াতে হবে। সঠিক পরিচর্যা ও সুষম সার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। উৎপাদনের পাশাপাশি নিজেদের খাদ্য তালিকায় সরিষার তেলের ব্যবহার বাড়াতে হবে।” সবাইকে বারি উদ্ভাবিত অন্যান্য নতুন জাত ও প্রযুক্তি গ্রহন করে কৃষির উৎপাদনকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য অনুরোধ করেনমাননীয় সভাপতি। অনুষ্ঠান শেষে সভাপতি মহোদয় আগত অতিথি, কৃষক ও অন্যান্য কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
রোববার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (সগবি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), ফরিদপুর এর উদ্যোগে আজ রোববার ৫ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গতমজিদ মুন্সী ডাঙ্গী, ডিক্রির চরে “তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি” (বারি অংগ) শীর্ষক প্রকল্পের অধীনেমাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বকরেন সগবি, বারি, ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদ। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প সমন্বয়ক ড. ফেরদৌসী বেগম।অনুষ্ঠানটিতেবিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফরিদপুরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের উপ-পরিচালক জনাব শফিকুল ইসলাম খান এবং মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র,ফরিদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মুশফিকুর রহমান। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় উক্ত প্রোগ্রামে আরও উপস্থিত ছিলেনউক্ত অঞ্চলের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা,সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক সহকারীবৃন্দ এবং প্রিন্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
মাঠ দিবসে ৮০ জন কৃষক কিষানী অংশগ্রহন করেন। এ বছর মজিদ মুন্সী ডাঙ্গী, ডিক্রির চরে বারি সরিষা-১১ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। উল্লেখ্য, এই জাতটি খরা সহিষ্ণু হওয়ায় চরাঞ্চলে আবাদের জন্য উপযোগী। অতিথিরা কৃষকদের সাথে চরাঞ্চলেবারি সরিষা-১১ এর উৎপাদন কার্যক্রমের মাঠ পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত সবাই বারি উদ্ভাবিত আধুনিক সরিষা জাতসমূহগ্রহণ করারআশাবাদ ব্যক্ত করেন। বক্তারা বলেন,এদেশের কৃষকরা সাধারণত স্থানীয় জাতের সরিষার আবাদ করে থাকে যার হেক্টর প্রতি গড় ফলন মাত্র ৮৫০ কেজি বা প্রতি শতাংশে ৩.৫ কেজি। বারি সরিষা-১১ এর হেক্টর প্রতি ফলন ২.০-২.৫ টন বা প্রতি শতাংশে প্রায় ৮ থেকে ১০ কেজি। তাই, নতুন জাত আবাদে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হয়। এছাড়া, বারি সরিষা-১১ জাতটির জীবনকাল মাত্র ১০৫-১১০ দিন হওয়ায় খুব সহজেই ফসল ধারায় (সরিষা-ভুট্টা-পতিত) সংযুক্ত করা যায়। প্রধান অতিথি বলেন, “প্রতিবছর ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। তাই পরিবারের ও দেশের চাহিদা পূরণে সরিষার আবাদ ক্রমান্বয়ে বাড়াতে হবে। সঠিক পরিচর্যা ও সুষম সার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। উৎপাদনের পাশাপাশি নিজেদের খাদ্য তালিকায় সরিষার তেলের ব্যবহার বাড়াতে হবে।” সবাইকে বারি উদ্ভাবিত অন্যান্য নতুন জাত ও প্রযুক্তি গ্রহন করে কৃষির উৎপাদনকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য অনুরোধ করেনমাননীয় সভাপতি। অনুষ্ঠান শেষে সভাপতি মহোদয় আগত অতিথি, কৃষক ও অন্যান্য কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।