alt

সারাদেশ

তুমব্রু থেকে আরও ২৭৩ রোহিঙ্গা ট্রানজিট ক্যাম্পে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রুতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিন সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আরও ৫৩ পরিবারের ২৭৩ সদস্যকে ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়েছে।

এসব তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, সোমবার এসব রোহিঙ্গাদের কুতুপালং রেহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। এ নিয়ে ২ দিনে ৮৮ পরিবারের ৪৫৭ জনকে সরানো হল। প্রথম দিন রবিবার ৩৫ পরিবারের ১৮৪ জন রোহিঙ্গাকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রক্রিয়ায় তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে তাঁবু টানিয়ে আশ্রয় নেওয়া ৫৫৮ পরিবারের মোট ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গাকে সরিয়ে আনা হবে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জানান, প্রথম দিন আনা ১৮৪ জনের মধ্যে যাদের পূর্ব থেকে নিবন্ধন ছিল তাদের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা নিবন্ধিত নন তাদের নতুন করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া করে ক্যাম্পে পাঠানো হবে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের তথ্যমতে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরসা ও আরএসও’র মধ্যে সংঘাতের জেরে শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে তাঁবু টানিয়ে আশ্রয় নেন।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাস্তচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে আসারাসহ অন্তত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয় কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি অস্থায়ী আশ্রয় ক্যাম্পে। ওইসব ক্যাম্পের সার্বিক দেখভাল ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছে আরআরআরসি (শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার)।

অপরদিকে তুমব্রু কোনারপাড়া শূন্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পটির দায়িত্ব পালন করছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট কমিটি (আইসিআরসি)। ক্যাম্পটিতে ৬৩০টি পরিবারে সাড়ে চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছিল।

গত ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রোহিঙ্গা হামিদ উল্লাহ নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। এ সময় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। এরপর তুমব্রু বাজারে তাঁবু টানিয়ে আশ্রয় নেন তারা। কিন্তু বর্তমানে ওখানে ২৯৭০ জন রোহিঙ্গা পাওয়া গেলেও বাকিরা কোথায় তা বলতে পারছেন না কেউ।

রংপুরে বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত

ছবি

নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় আরাকান আর্মির গুলিতে দুই জেলে আহত

ছবি

নাফনদে মাছ শিকারে গিয়ে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ

মায়ানমারে স্কুলে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা, ১৭ ছাত্র নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১৪ জন আটক

রাজারহাটে ৩ জুয়াড়ি আটক

দুই জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু

হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার

কলারোয়া সীমান্তে ওষুধ-শাড়ি উদ্ধার

দুই জেলায় সড়কে ঝরল ২ গ্যারেজ শ্রমিকের প্রাণ

ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে পাঁচ জনের মৃত্যু

দুই জেলায় সড়কে ঝরল ২ গ্যারেজ শ্রমিকের প্রাণ

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, গর্ভপাতে নবজাতকের মৃত্যু

ছবি

সরকারি রাস্তা থেকে লক্ষাধিক টাকার গাছ কাটার অভিযোগ

তালগাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

কবরস্থানের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১

ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

ছবি

ছুটির পরেও বিদ্যালয়ে উড়ছে জাতীয় পতাকা!

এক সপ্তাহে ৭ গরু চুরি বেড়েছে অন্য চুরিও

তাড়াশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে গরু বিতরণে অনিয়ম

ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি

ছবি

টাঙ্গাইল পৌরসভায় ১৩৮ বছরেও হয়নি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে বেহাল সড়কে দুর্ভোগ

ঝালকাঠির নথুল্লাবাদে খাল পুনঃখননে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ

সিংড়ায় বিএনপির অফিস থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১

ছবি

সিরাজগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৬ লক্ষাধিক পশু

সুনামগঞ্জের উন্নয়ন ও সমস্যা নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী ও জেলা প্রশাসনের মতবিনিময়

কেশবপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময়

নোয়াখালী শহর আ’লীগের সভাপতি পিন্টুর বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ

হত্যার প্রতিশোধ নিতে গুলি করে হত্যাচেষ্টা

ছবি

চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সিএনজি চালকদের সড়কে অবরোধ

কলাপাড়ায় খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

ফেইসবুকে ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করায় যুবক গ্রেপ্তার

সখীপুরে নারী ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পিস্কিন রোগ

ছবি

মাগুরায় জিআই সনদ পাওয়ার পরও অবহেলার শিকার লিচু চাষিরা

tab

সারাদেশ

তুমব্রু থেকে আরও ২৭৩ রোহিঙ্গা ট্রানজিট ক্যাম্পে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রুতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সরানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দিন সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আরও ৫৩ পরিবারের ২৭৩ সদস্যকে ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়েছে।

এসব তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, সোমবার এসব রোহিঙ্গাদের কুতুপালং রেহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। এ নিয়ে ২ দিনে ৮৮ পরিবারের ৪৫৭ জনকে সরানো হল। প্রথম দিন রবিবার ৩৫ পরিবারের ১৮৪ জন রোহিঙ্গাকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

এ প্রক্রিয়ায় তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে তাঁবু টানিয়ে আশ্রয় নেওয়া ৫৫৮ পরিবারের মোট ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গাকে সরিয়ে আনা হবে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জানান, প্রথম দিন আনা ১৮৪ জনের মধ্যে যাদের পূর্ব থেকে নিবন্ধন ছিল তাদের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা নিবন্ধিত নন তাদের নতুন করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া করে ক্যাম্পে পাঠানো হবে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের তথ্যমতে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরসা ও আরএসও’র মধ্যে সংঘাতের জেরে শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে তাঁবু টানিয়ে আশ্রয় নেন।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাস্তচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে আসারাসহ অন্তত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয় কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি অস্থায়ী আশ্রয় ক্যাম্পে। ওইসব ক্যাম্পের সার্বিক দেখভাল ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছে আরআরআরসি (শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার)।

অপরদিকে তুমব্রু কোনারপাড়া শূন্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পটির দায়িত্ব পালন করছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট কমিটি (আইসিআরসি)। ক্যাম্পটিতে ৬৩০টি পরিবারে সাড়ে চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছিল।

গত ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রোহিঙ্গা হামিদ উল্লাহ নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন। এ সময় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। এরপর তুমব্রু বাজারে তাঁবু টানিয়ে আশ্রয় নেন তারা। কিন্তু বর্তমানে ওখানে ২৯৭০ জন রোহিঙ্গা পাওয়া গেলেও বাকিরা কোথায় তা বলতে পারছেন না কেউ।

back to top