এবার সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের শরবতখালী টহল ফাঁড়িতে রাতভর তর্জনগর্জন করেছে বেঙ্গল টাইগার। আতঙ্কিত বনকর্মীরা সকালের সূর্য উঠলে দেখেন ফাঁড়ির চারদিকে বাঘের পায়ের ছাপ। এর মাত্র দুদিন আগে বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জেও এমন ঘটনা ঘটে। সেখানে ৫ বনরক্ষীকে ফাঁড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে তিনটি বাঘ। বনকর্মকর্তারা বলছেন, এখন সুন্দরবনের বাঘের প্রজনন মৌসুম চলছে। এসময় বাঘেরা সঙ্গীসহ এদিক সেদিক ঘুরাফেরা করে।
বাঘের আতঙ্কে সারা রাত কাটানোর বর্ণনা দেন খুলনা রেঞ্জের শরবতখালী বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ঘড়িতে তখন গতকাল রোববার রাত ৮টা। এমন সময় ভেসে আসে বাঘের গর্জন। কাঠের পাটাতন আর টিনের ছাউনির ফরেস্ট অফিসটিকে বড্ড অরক্ষিত মনে হচ্ছিল বনরক্ষীদের। সারা রাত ধরে চলে বাঘের গর্জন। আতঙ্কে চারজন বনরক্ষীর একজনও ঘুমাতে পারেননি। আজ সোমবার সকালে ভয়ে ভয়ে বের হয়ে দেখেন, ঘরের পাশে দুটি বাঘের পায়ের ছাপ।
শেখ মিজানুর রহমান বলেন, এর আগেও একদিন টহল ফাঁড়ির একজন বনরক্ষী রাতে টয়লেটে যাওয়ার জন্য বের হয়ে পুকুরপাড়ের কাছাকাছি টর্চের আলোতে বাঘ দেখতে পান। টহল ফাঁড়ির আশপাশের এলাকায় তিনটি বাঘ ঘোরাফেরা করছে। বাঘগুলো কখনো অফিসের আশপাশে, কখনো নদীর তীরে অবস্থান করছে।
খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সময়টা সুন্দরবনের বাঘের প্রজননকাল। তাই সঙ্গীসহ বাঘগুলো চলাচল করছে। বনরক্ষীরা সতর্ক অবস্থানে থেকে বাঘের গতিবিধি লক্ষ করছেন।’
সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
এবার সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের শরবতখালী টহল ফাঁড়িতে রাতভর তর্জনগর্জন করেছে বেঙ্গল টাইগার। আতঙ্কিত বনকর্মীরা সকালের সূর্য উঠলে দেখেন ফাঁড়ির চারদিকে বাঘের পায়ের ছাপ। এর মাত্র দুদিন আগে বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জেও এমন ঘটনা ঘটে। সেখানে ৫ বনরক্ষীকে ফাঁড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে তিনটি বাঘ। বনকর্মকর্তারা বলছেন, এখন সুন্দরবনের বাঘের প্রজনন মৌসুম চলছে। এসময় বাঘেরা সঙ্গীসহ এদিক সেদিক ঘুরাফেরা করে।
বাঘের আতঙ্কে সারা রাত কাটানোর বর্ণনা দেন খুলনা রেঞ্জের শরবতখালী বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ঘড়িতে তখন গতকাল রোববার রাত ৮টা। এমন সময় ভেসে আসে বাঘের গর্জন। কাঠের পাটাতন আর টিনের ছাউনির ফরেস্ট অফিসটিকে বড্ড অরক্ষিত মনে হচ্ছিল বনরক্ষীদের। সারা রাত ধরে চলে বাঘের গর্জন। আতঙ্কে চারজন বনরক্ষীর একজনও ঘুমাতে পারেননি। আজ সোমবার সকালে ভয়ে ভয়ে বের হয়ে দেখেন, ঘরের পাশে দুটি বাঘের পায়ের ছাপ।
শেখ মিজানুর রহমান বলেন, এর আগেও একদিন টহল ফাঁড়ির একজন বনরক্ষী রাতে টয়লেটে যাওয়ার জন্য বের হয়ে পুকুরপাড়ের কাছাকাছি টর্চের আলোতে বাঘ দেখতে পান। টহল ফাঁড়ির আশপাশের এলাকায় তিনটি বাঘ ঘোরাফেরা করছে। বাঘগুলো কখনো অফিসের আশপাশে, কখনো নদীর তীরে অবস্থান করছে।
খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সময়টা সুন্দরবনের বাঘের প্রজননকাল। তাই সঙ্গীসহ বাঘগুলো চলাচল করছে। বনরক্ষীরা সতর্ক অবস্থানে থেকে বাঘের গতিবিধি লক্ষ করছেন।’