রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার সাগরপাড়া এলাকার এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর মুক্তিপণ নিতে আসা তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে অপহৃত ব্যক্তিকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার কুড়ালতলা গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার কমিশনার গলি নবপল্লীর মৃত সাহেব আলীর ছেলে জাহিদ হাসান (৩৫) ও ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানার মিরপুর দুয়ারীপাড়ার মৃত নাসিরুদ্দীন মণ্ডলের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৬০)।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, রোববার রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া এলাকার মাসুদ আলী নামের এক ব্যক্তি জমিজমা সংক্রান্ত কাজে ঢাকায় যান। ওইদিন দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার ছেলেকে মোবাইলে ফোনে তিনি জানান, আলমারীর চাবিসহ এক ব্যক্তিকে পাঠাচ্ছি। তাকে চেক বইটা দিয়ে দিও।
তার ছেলে মিনহাজ কারণ জানতে চাইলে কোন কথা না বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন। বিষয়টি তার সন্দেহ হয় এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিষয়টি জানান।
এরই মধ্যে রাত আড়াইটার দিকে তিন ব্যক্তি একটি প্রাইভেট কারে মাসুদের বাড়ির সামনে গিয়ে তার ছেলের মোবাইলে ফোন দিয়ে জানায় তারা চেক বহ নিতে এসেছে। তখন তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে ছেলে মিনহাজ বিষয়টি বোয়ালিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিক সাগরপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মেহেদী হাসান, জাহিদ হাসান ও মনোয়ার হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি জব্দ করে পুলিশ।
বোয়ালিয়া জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল বলেন, পুলিশের একটি টিম অবহৃত মাসুদকে উদ্ধারে আটককৃতদের জিজ্ঞসাবাদ করে। এ সময় তারা জানায়, সহযোগীদের সহায়তায় মাসুদকে ঢাকা বাড্ডা এলাকা হতে অপহরণ করে অজ্ঞাত বাড়িতে আটক রাখা হয়েছে। দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ পেলে মাসুদকে ছেড়ে দিবে। টাকা না দিলে মাসুদকে প্রাণে মেরে ফেলার কথাও জানায়।
সোমবার সন্ধ্যায় আসামিদের দেওয়া তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রামপুরা থানা পুলিশের সহায়তায় অপহৃত ভিকটিম মাসুদকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, আটককৃতরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নিরীহ মানুষকে আটক রেখে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা রুজু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ ২০২৩
রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার সাগরপাড়া এলাকার এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর মুক্তিপণ নিতে আসা তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে অপহৃত ব্যক্তিকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার কুড়ালতলা গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার কমিশনার গলি নবপল্লীর মৃত সাহেব আলীর ছেলে জাহিদ হাসান (৩৫) ও ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানার মিরপুর দুয়ারীপাড়ার মৃত নাসিরুদ্দীন মণ্ডলের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৬০)।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, রোববার রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া এলাকার মাসুদ আলী নামের এক ব্যক্তি জমিজমা সংক্রান্ত কাজে ঢাকায় যান। ওইদিন দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার ছেলেকে মোবাইলে ফোনে তিনি জানান, আলমারীর চাবিসহ এক ব্যক্তিকে পাঠাচ্ছি। তাকে চেক বইটা দিয়ে দিও।
তার ছেলে মিনহাজ কারণ জানতে চাইলে কোন কথা না বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন। বিষয়টি তার সন্দেহ হয় এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিষয়টি জানান।
এরই মধ্যে রাত আড়াইটার দিকে তিন ব্যক্তি একটি প্রাইভেট কারে মাসুদের বাড়ির সামনে গিয়ে তার ছেলের মোবাইলে ফোন দিয়ে জানায় তারা চেক বহ নিতে এসেছে। তখন তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে ছেলে মিনহাজ বিষয়টি বোয়ালিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিক সাগরপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মেহেদী হাসান, জাহিদ হাসান ও মনোয়ার হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি জব্দ করে পুলিশ।
বোয়ালিয়া জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল বলেন, পুলিশের একটি টিম অবহৃত মাসুদকে উদ্ধারে আটককৃতদের জিজ্ঞসাবাদ করে। এ সময় তারা জানায়, সহযোগীদের সহায়তায় মাসুদকে ঢাকা বাড্ডা এলাকা হতে অপহরণ করে অজ্ঞাত বাড়িতে আটক রাখা হয়েছে। দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ পেলে মাসুদকে ছেড়ে দিবে। টাকা না দিলে মাসুদকে প্রাণে মেরে ফেলার কথাও জানায়।
সোমবার সন্ধ্যায় আসামিদের দেওয়া তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রামপুরা থানা পুলিশের সহায়তায় অপহৃত ভিকটিম মাসুদকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, আটককৃতরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নিরীহ মানুষকে আটক রেখে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা রুজু করা হয়েছে।