alt

সারাদেশ

তনু হত্যার ৭ বছর, তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই

প্রতিনিধি, মুরাদনগর (কুমিল্লা) : সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পূর্ণ হয়েছে সোমবার (২০ মার্চ)। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে আলোচিত এই হত্যা মামলার তদন্তে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। শনাক্ত হয়নি কোন আসামি, দেয়া হয়নি অভিযোগপত্র। মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই গত প্রায় আড়াই বছর যাবৎ বাদীপক্ষের সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই। তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ও মা আনোয়ারা বেগম জীবিত থাকাবস্থায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যেতে চান।

পুলিশ জানায়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী ছিলেন সোহাগী জাহান তনু। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের পাওয়ার হাউজের অদূরে কালভার্টের ২০ থেকে ৩০ গজ পশ্চিমে ঝোপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২১ মার্চ বিকেলে তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, প্রথমে ২০১৬ সালের ২১ মার্চ কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলামকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। চার দিন পর দ্বিতীয় দফায় ২৫ মার্চ কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি একেএম মনজুর আলমকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কুমিল্লার পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম তৃতীয় দফা তদন্ত করেন।

চতুর্থ দফায় ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা বদল করে সিআইডির নোয়াখালী ও ফেনী অঞ্চলের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জালাল উদ্দিন আহম্মদকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি চার বছরের বেশি সময় ধরে তদন্ত করেও মামলার কোন কূল-কিনারা করতে পারেননি।

পঞ্চমবার ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর হত্যা মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকার সদর দপ্তরে স্থানান্তর করা হয়।

পিবিআই তিনবার কুমিল্লা সেনানিবাসে এসে মামলার বাদী তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম ও তাদের ছোট ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পিবিআই ২০২০ সালের নভেম্বরের পর বাদী পক্ষের সঙ্গে আর যোগাযোগ করেনি বলে দাবি করেছেন ইয়ার হোসেন। এ অবস্থায় ঘুরপাক খাচ্ছে মামলার তদন্ত।

মামলার বাদী তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, ‘মামলার কোন অগ্রগতি নেই। এরমধ্যে পাঁচবার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়েছে। সিআইডির জালাল উদ্দিন আহম্মদ মামলার তদন্তে কালক্ষেপন করছেন। তিনি মামলাটি নষ্ট করে ফেলেছেন। এ বিষয়ে গত শনিবার জালাল উদ্দিন আহম্মদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন ও খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি। ইয়ার হোসেন পিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে বলেন, পিবিআইয়ের মুজিবুর রহমান নামের একজন কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। কিন্ত তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে প্রায়ই আড়াই বছর ধরে কোন যোগাযোগ নেই। মামলা কী অবস্থায় আছে সেটাও জানি না।

পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, পিবিআই হেড কোয়ার্টারের স্পেশাল টিম এ মামলাটি তদন্ত করছেন। তাই এ বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না। বার বার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন ও মামলার কোন অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ তনুর বাবা প্রশ্ন করেন, ‘গরিবের বিচার আছে আল্লাহ ছাড়া? পিবিআই আমাদের কাছে আসে না। এখনও আসামি চিহ্নিত হয়নি’।

তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘শরীরটা আমার ভালো যাচ্ছে না। মরণের আগেই বিচারটা দেখে যেতে চাই। তনুকে হারিয়ে আমি সর্বহারা। আমার এই মেয়ের জন্য আমি পড়াশোনায় বিনিয়োগ করেছি। সে পড়াশেনায় ভালো ছিল। পুরো ঘরে এখনও ওর জামা কাপড়, শখের জিনিস ছড়ানো ছিটানো আছে। প্রতিদিনই ওর কথা মনে পড়ে। ওর জিনিসপত্র দেখি। হাত বুলাই। আমি সরকারের কাছে ধনসম্পদ চাই না। বিচার চাই।’

তনু হত্যাকা-ের পর বিচার নিয়ে আন্দোলন করে গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লা ও কুমিল্লার থিয়েটার কর্মীরা। তাদের একজন কুমিল্লার সংস্কৃতিককর্মী খায়রুল আনাম বলেন, ‘এই মামলা হিমাগারে। জাতি চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। মানুষের মনে এই ঘটনার রেশ রয়ে গেছে। ২০ মার্চ কুমিল্লার মানুষের হৃদয়ে আছে।’

এদিকে মেয়ে সোহাগী জাহান তনুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে গত শুক্রবার কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে গ্রামের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে আসেন বাবা ইয়ার হোসেন ও মা আনোয়ারা বেগমসহ তার স্বজনরা। তনুর মাগফেরাত কামনার্থে কবর জিয়ারত, কোরানখানি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

ছবি

ভাঙছে সীমান্ত নদী ইছামতীর বেড়িবাঁধ : এলাকায় আতঙ্ক

শিথিল কারফিউতে খুলেছে দোকানপাট, চলছে গাড়ি, আতঙ্ক কাটছে না জনমনে

ঢাকাসহ ৪ জেলায় ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

ছবি

ক্রেতা উপস্থিতি কম, বেচা-বিক্রি ‘ঠাণ্ডা’

বেরোবির উপাচার্যের বাসভবনে আক্রমণ-আগুন, যেভাবে উদ্ধার হলেন অবরুদ্ধ ২০ জন

ছবি

গুলিবিদ্ধ অনেকেই হারিয়েছেন পা

ঘটনার দশদিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ, উদ্ধার হয়নি লুট হওয়া ৭০ ভরি স্বর্ণের এক আনাও

সিলেটে সীমান্তকেন্দ্রিক চোরাচালান, ঘুরেফিরে তিনিই বিভিন্ন থানার ওসি

ছবি

অনেক পত্রিকায় খবর এলো, কিন্তু রুদ্র তো আর আসবে না

সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে ২০১ মামলা, গ্রেপ্তার ২২০৯

ছবি

কারফিউ শিথিলের সময় আরও ভিড়, যানজট

ছবি

রায়গঞ্জে অব্যবস্থাপনায় বন্ধের মুখে প্রাণিসম্পদ উপকেন্দ্রগুলো

এবার সারাদেশে পরীক্ষামূলক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু

ছবি

নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো ৩৩১ বন্দীর আত্মসমর্পণ

ছবি

ফুটেজ দেখে সেতু ভবনে আগুন-লুটপাটে জড়িতদের ধরা হচ্ছে : ডিবি

সোনারগাঁয়ে জ্বালাও পোড়াও ভাংচুর না হলেও নাশকতার মামলায় আসামি ৮ শতাধিক, গ্রেফতার অর্ধশত

সেন্টমার্টিনে ট্রলার ডুবিতে ছাত্রলীগ নেতা নিখোঁজ, কোস্টগার্ডের চৌকিতে হামলা

কক্সবাজারে ছাত্রলীগ নেতা মারধরের ঘটনায় আরও ১১ জন গ্রেফতার

ঢাকাসহ চার জেলায় আজ ও কাল ৭ ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল

ছবি

টাঙ্গাইলে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনে কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত ২০

ছবি

আবারও বেপরোয়া সার্ভেয়ার বাকের ও হাসান সিন্ডিকেট ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না কক্সবাজার এলএ শাখায়

ছবি

রামু থেকে অস্ত্র ও গুলি নিয়ে সন্ত্রাসী আটক

ছবি

কক্সবাজারে ক্ষমতাসীনদের হামলায় ৫ সংবাদকর্মী আহত

ছবি

নিখোঁজের দুই দিন পর পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

টেকনাফ সমুদ্র উপকূলে পালিয়ে এলো ৫ রোহিঙ্গা

ছবি

টেকনাফগামী ট্রলারে মায়ানমারের গুলি

ছবি

কোটা আন্দোলন: রংপুরে সংঘর্ষ ও মৃত্যুর তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন

ছবি

শেখ হাসিনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্বে কুরুচিপূর্ন বক্তব্য দেওয়ায় গজারিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ সভা

ছবি

নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের না’গঞ্জে মানববন্ধন

ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের দাফন সম্পন্ন

ছবি

রামুতে মাদকসেবী ভাইয়ের হাতে ভাই খুন

সারাদেশে স্কুল, কলেজ অনিদিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা

ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলন : কক্সবাজারে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

ছবি

চীন বা ভারত নয়, নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবী

ছবি

মায়ানমারে চলছে বোমা হামলা সীমান্তে এতো কড়াকড়িতেও রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ

tab

সারাদেশ

তনু হত্যার ৭ বছর, তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই

প্রতিনিধি, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পূর্ণ হয়েছে সোমবার (২০ মার্চ)। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে আলোচিত এই হত্যা মামলার তদন্তে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। শনাক্ত হয়নি কোন আসামি, দেয়া হয়নি অভিযোগপত্র। মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই গত প্রায় আড়াই বছর যাবৎ বাদীপক্ষের সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই। তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ও মা আনোয়ারা বেগম জীবিত থাকাবস্থায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যেতে চান।

পুলিশ জানায়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী ছিলেন সোহাগী জাহান তনু। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের পাওয়ার হাউজের অদূরে কালভার্টের ২০ থেকে ৩০ গজ পশ্চিমে ঝোপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২১ মার্চ বিকেলে তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, প্রথমে ২০১৬ সালের ২১ মার্চ কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলামকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। চার দিন পর দ্বিতীয় দফায় ২৫ মার্চ কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি একেএম মনজুর আলমকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কুমিল্লার পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম তৃতীয় দফা তদন্ত করেন।

চতুর্থ দফায় ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা বদল করে সিআইডির নোয়াখালী ও ফেনী অঞ্চলের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জালাল উদ্দিন আহম্মদকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি চার বছরের বেশি সময় ধরে তদন্ত করেও মামলার কোন কূল-কিনারা করতে পারেননি।

পঞ্চমবার ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর হত্যা মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকার সদর দপ্তরে স্থানান্তর করা হয়।

পিবিআই তিনবার কুমিল্লা সেনানিবাসে এসে মামলার বাদী তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম ও তাদের ছোট ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পিবিআই ২০২০ সালের নভেম্বরের পর বাদী পক্ষের সঙ্গে আর যোগাযোগ করেনি বলে দাবি করেছেন ইয়ার হোসেন। এ অবস্থায় ঘুরপাক খাচ্ছে মামলার তদন্ত।

মামলার বাদী তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, ‘মামলার কোন অগ্রগতি নেই। এরমধ্যে পাঁচবার তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়েছে। সিআইডির জালাল উদ্দিন আহম্মদ মামলার তদন্তে কালক্ষেপন করছেন। তিনি মামলাটি নষ্ট করে ফেলেছেন। এ বিষয়ে গত শনিবার জালাল উদ্দিন আহম্মদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন ও খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি। ইয়ার হোসেন পিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে বলেন, পিবিআইয়ের মুজিবুর রহমান নামের একজন কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। কিন্ত তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে প্রায়ই আড়াই বছর ধরে কোন যোগাযোগ নেই। মামলা কী অবস্থায় আছে সেটাও জানি না।

পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, পিবিআই হেড কোয়ার্টারের স্পেশাল টিম এ মামলাটি তদন্ত করছেন। তাই এ বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না। বার বার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন ও মামলার কোন অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ তনুর বাবা প্রশ্ন করেন, ‘গরিবের বিচার আছে আল্লাহ ছাড়া? পিবিআই আমাদের কাছে আসে না। এখনও আসামি চিহ্নিত হয়নি’।

তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘শরীরটা আমার ভালো যাচ্ছে না। মরণের আগেই বিচারটা দেখে যেতে চাই। তনুকে হারিয়ে আমি সর্বহারা। আমার এই মেয়ের জন্য আমি পড়াশোনায় বিনিয়োগ করেছি। সে পড়াশেনায় ভালো ছিল। পুরো ঘরে এখনও ওর জামা কাপড়, শখের জিনিস ছড়ানো ছিটানো আছে। প্রতিদিনই ওর কথা মনে পড়ে। ওর জিনিসপত্র দেখি। হাত বুলাই। আমি সরকারের কাছে ধনসম্পদ চাই না। বিচার চাই।’

তনু হত্যাকা-ের পর বিচার নিয়ে আন্দোলন করে গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লা ও কুমিল্লার থিয়েটার কর্মীরা। তাদের একজন কুমিল্লার সংস্কৃতিককর্মী খায়রুল আনাম বলেন, ‘এই মামলা হিমাগারে। জাতি চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। মানুষের মনে এই ঘটনার রেশ রয়ে গেছে। ২০ মার্চ কুমিল্লার মানুষের হৃদয়ে আছে।’

এদিকে মেয়ে সোহাগী জাহান তনুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে গত শুক্রবার কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে গ্রামের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে আসেন বাবা ইয়ার হোসেন ও মা আনোয়ারা বেগমসহ তার স্বজনরা। তনুর মাগফেরাত কামনার্থে কবর জিয়ারত, কোরানখানি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

back to top