সৈয়দপুর (নীলফামারী) : রাস্তার নির্মাণ কাজ পড়ে থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী -সংবাদ
মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের নামে খোয়া বিছিয়ে রাখা হয়েছে। খোয়া রোলার না করায় চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। ফলে তিন গ্রামের ২০ হাজার মানুষকে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ভোগান্তির রাস্তাটি হল সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বাঙ্গালীপুর হাই স্কুল সংলগ্ন মছে হাজিপাড়া রাস্তাটি। এটি সংস্কারের নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খোয়া বিছিয়ে রেখেছে। দীর্ঘ দুই মাস ধরে এ দূরাবস্থা বিরাজ করলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নানা অজুহাতে কাজ ফেলে রেখেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্যদিকে প্রকল্পের তদারকি কর্তৃপক্ষেরও রয়েছে চরম উদাসিনতা।
দেখা যায়, স্থানীয় এলাকার মানুষজনকে বাধ্য হয়ে খোয়ার ওপর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। সাইকেল, মোটরসাইকেল নিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। রিকশা ভ্যানকে ঠেলে পার করতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীসহ এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে চরম দূর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিন কাটছে।
জানা যায়, প্রায় ১৬ বছর আগে নির্মিত এই পাকা রাস্তাটি কখনোই সংস্কার করা হয়নি। যার কারণে রাস্তাটির বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সংস্কারের উদ্দেশ্যে রাস্তাটি খনন করা হয়। কিন্তু মাত্র দুইদিন কাজ করার পরেই রাস্তাটির সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কবে নাগাদ রাস্তার কাজ শুরু হবে, এ বিষয়ে কিছু জানা নেই এলাকাবাসীর।
কথা হয় রিকশাচালক মমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে খুবই সমস্যা হচ্ছে আমাদের। আয় রোজগার করতে হবে, তাই প্রতিদিন রিকশা নিয়ে বাহির হতে হয়। রাস্তার কারণে রিকশারও অনেক সমস্যা হচ্ছে।
শিক্ষার্থী রিফাত মন্ডল জানান, রাস্তার কাজ শুরু হয়ে থেমে গেলো। এ কেমন অবিচার? কাজ যদি চলমান থাকতো তাহলে আমরা এ দূর্ভোগ মেনে নিতাম। কিন্তু কাজ চলবেনা, আবার দূর্ভোগ পোহাতে হবে। এটা মেনে নেয়া যায় না। অনতিবিলম্বে আমাদের এই রাস্তাটি সংস্কার করা হোক এ দাবি রাখছি।
প্রকল্পের দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এলজিইডি প্রকল্পের আওতায় বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মছে হাজী পাড়ার রাস্তাটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নানা অজুহাতের কারণে রাস্তাটির কাজ আটকে আছে। এজন্য আমরা নিজেরাও বিব্রত। তবে শিগগির রাস্তার অসম্পূর্ণ কাজটি শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) : রাস্তার নির্মাণ কাজ পড়ে থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী -সংবাদ
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের নামে খোয়া বিছিয়ে রাখা হয়েছে। খোয়া রোলার না করায় চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। ফলে তিন গ্রামের ২০ হাজার মানুষকে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ভোগান্তির রাস্তাটি হল সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের বাঙ্গালীপুর হাই স্কুল সংলগ্ন মছে হাজিপাড়া রাস্তাটি। এটি সংস্কারের নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খোয়া বিছিয়ে রেখেছে। দীর্ঘ দুই মাস ধরে এ দূরাবস্থা বিরাজ করলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নানা অজুহাতে কাজ ফেলে রেখেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্যদিকে প্রকল্পের তদারকি কর্তৃপক্ষেরও রয়েছে চরম উদাসিনতা।
দেখা যায়, স্থানীয় এলাকার মানুষজনকে বাধ্য হয়ে খোয়ার ওপর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। সাইকেল, মোটরসাইকেল নিয়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে। রিকশা ভ্যানকে ঠেলে পার করতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থীসহ এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে চরম দূর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিন কাটছে।
জানা যায়, প্রায় ১৬ বছর আগে নির্মিত এই পাকা রাস্তাটি কখনোই সংস্কার করা হয়নি। যার কারণে রাস্তাটির বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সংস্কারের উদ্দেশ্যে রাস্তাটি খনন করা হয়। কিন্তু মাত্র দুইদিন কাজ করার পরেই রাস্তাটির সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কবে নাগাদ রাস্তার কাজ শুরু হবে, এ বিষয়ে কিছু জানা নেই এলাকাবাসীর।
কথা হয় রিকশাচালক মমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে খুবই সমস্যা হচ্ছে আমাদের। আয় রোজগার করতে হবে, তাই প্রতিদিন রিকশা নিয়ে বাহির হতে হয়। রাস্তার কারণে রিকশারও অনেক সমস্যা হচ্ছে।
শিক্ষার্থী রিফাত মন্ডল জানান, রাস্তার কাজ শুরু হয়ে থেমে গেলো। এ কেমন অবিচার? কাজ যদি চলমান থাকতো তাহলে আমরা এ দূর্ভোগ মেনে নিতাম। কিন্তু কাজ চলবেনা, আবার দূর্ভোগ পোহাতে হবে। এটা মেনে নেয়া যায় না। অনতিবিলম্বে আমাদের এই রাস্তাটি সংস্কার করা হোক এ দাবি রাখছি।
প্রকল্পের দায়িত্বরত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এলজিইডি প্রকল্পের আওতায় বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মছে হাজী পাড়ার রাস্তাটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নানা অজুহাতের কারণে রাস্তাটির কাজ আটকে আছে। এজন্য আমরা নিজেরাও বিব্রত। তবে শিগগির রাস্তার অসম্পূর্ণ কাজটি শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।