জেলে কামাল পহলানের পালিত বাজপাখিটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি। দুই বছর পরও ডানা মেলে উড়তে পারছে না মুক্ত আকাশে। পাখিটি বর্তমানে তার বাড়ির পিছনে খালের পাড়ে একটি ছোট্ট রেন্ট্রি গাছে হেঁটে উঠতে পারে। খাবারের সময় গাছ থেকে হেঁটে নিচে নামতে পারে। পাখিটি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অতি উৎসাহী হিসেবে দেখছেন এলাকাবাসী। মহিপুরের সংস্কৃতিকর্মী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাখিটি এখনো সুস্থ হয়নি। তাই উড়ে যাচ্ছে না। কামাল পহলান দুইটি পাখি এনে সেবাযত্ন করেছেন। পুরুষ পাখিটি সুস্থ হয়ে অন্যত্র উড়ে গেছে। মহিলা পাখিটি তার কাছেই আছে। মূলত খাবারের সময় হলে কামাল হোসেনের কাছে আসে।’
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের বিপিনপুর গ্রামের জেলে কালাম পাহলান (৪০) প্রায় দুই বছর আগে ভোররাতে পার্শ্ববর্তী খালে মাছ ধরতে যান। এসময় একটি বাজপাখি অসুস্থ অবস্থায় খালের পাড়ে এবং অপর একটি বাজপাখি গাছের ডালে দেখতে পান। পরে তিনি অসুস্থ বাজপাখি দুটি উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। তখন বাজপাখি দুটির শরীরে অনেক জ্বর ছিলো এবং পাখায় আঘাতপ্রাপ্ত ছিলো। এরপর প্রায় ২০ দিন পাখি দুটি কবুতরের খাঁচায় আটকে চিকিৎসা সেবা দেন তিনি। কবুতরের বাচ্চা মেরে ফেলে বিধায় পাখি দুটি ছেড়ে দেন। পুরুষ পাখিটি উড়ে চলে গেছে। অন্য পাখিটি থাকছে তার বাড়ির খালপাড়ের একটি রেন্ট্রি গাছে। দীর্ঘদিন পাখিটি তার সঙ্গে থাকায় তিনি নাম দিয়েছেন ‘ডায়মন’। বর্তমানে ‘ডায়মন’ বলে ডাকলেই পাখিটি তার কাছে খাবার খেতে আসে। খাবার খেয়ে হেঁটে হেঁটে গাছের ডালে বসে থাকছে। বাজপাখিটি উঠতে না পারলেও কালামের সঙ্গে এক ধরণের বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে।
কামাল পাহলান বলেন, খাবার নিয়ে ‘ডায়মন’ নামে ডাক দিলে হাত এবং শরীরে এসে বসে। পরে খাবার খেয়ে চলে যায় গাছের ডালে। আসলে ভালোবেসে অসম্ভবকেও জয় করা সম্ভব।
জাকির হোসেন নামের এক কাঠমিস্ত্রি বলেন, কামাল পহলান অসুস্থ পাখিদুটির সেবা দেয়ার বিষয়টি প্রশংসার দাবিদার। দুই বছর পরও একটি পাখি আকাশে উড়তে পারছে না। পাখিটির উন্নত চিকিৎসা দরকার। এভাবে থাকলে পাখিটি যে কোন মুহূর্তে মারা যেতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে বাজপাখিটি দেখেছি। এখনো পাখিটির পাখার আঘাত ভালো না হওয়ায় উড়ে যাবার সক্ষমতা নেই। পাখিটি উদ্ধার করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘জেলে কামাল পাহলান খুবই মানবিক কাজ করেছেন। অসুস্থ পাখিটির সেবাযত্ন নিয়েছেন।
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
জেলে কামাল পহলানের পালিত বাজপাখিটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি। দুই বছর পরও ডানা মেলে উড়তে পারছে না মুক্ত আকাশে। পাখিটি বর্তমানে তার বাড়ির পিছনে খালের পাড়ে একটি ছোট্ট রেন্ট্রি গাছে হেঁটে উঠতে পারে। খাবারের সময় গাছ থেকে হেঁটে নিচে নামতে পারে। পাখিটি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অতি উৎসাহী হিসেবে দেখছেন এলাকাবাসী। মহিপুরের সংস্কৃতিকর্মী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাখিটি এখনো সুস্থ হয়নি। তাই উড়ে যাচ্ছে না। কামাল পহলান দুইটি পাখি এনে সেবাযত্ন করেছেন। পুরুষ পাখিটি সুস্থ হয়ে অন্যত্র উড়ে গেছে। মহিলা পাখিটি তার কাছেই আছে। মূলত খাবারের সময় হলে কামাল হোসেনের কাছে আসে।’
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের বিপিনপুর গ্রামের জেলে কালাম পাহলান (৪০) প্রায় দুই বছর আগে ভোররাতে পার্শ্ববর্তী খালে মাছ ধরতে যান। এসময় একটি বাজপাখি অসুস্থ অবস্থায় খালের পাড়ে এবং অপর একটি বাজপাখি গাছের ডালে দেখতে পান। পরে তিনি অসুস্থ বাজপাখি দুটি উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। তখন বাজপাখি দুটির শরীরে অনেক জ্বর ছিলো এবং পাখায় আঘাতপ্রাপ্ত ছিলো। এরপর প্রায় ২০ দিন পাখি দুটি কবুতরের খাঁচায় আটকে চিকিৎসা সেবা দেন তিনি। কবুতরের বাচ্চা মেরে ফেলে বিধায় পাখি দুটি ছেড়ে দেন। পুরুষ পাখিটি উড়ে চলে গেছে। অন্য পাখিটি থাকছে তার বাড়ির খালপাড়ের একটি রেন্ট্রি গাছে। দীর্ঘদিন পাখিটি তার সঙ্গে থাকায় তিনি নাম দিয়েছেন ‘ডায়মন’। বর্তমানে ‘ডায়মন’ বলে ডাকলেই পাখিটি তার কাছে খাবার খেতে আসে। খাবার খেয়ে হেঁটে হেঁটে গাছের ডালে বসে থাকছে। বাজপাখিটি উঠতে না পারলেও কালামের সঙ্গে এক ধরণের বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে।
কামাল পাহলান বলেন, খাবার নিয়ে ‘ডায়মন’ নামে ডাক দিলে হাত এবং শরীরে এসে বসে। পরে খাবার খেয়ে চলে যায় গাছের ডালে। আসলে ভালোবেসে অসম্ভবকেও জয় করা সম্ভব।
জাকির হোসেন নামের এক কাঠমিস্ত্রি বলেন, কামাল পহলান অসুস্থ পাখিদুটির সেবা দেয়ার বিষয়টি প্রশংসার দাবিদার। দুই বছর পরও একটি পাখি আকাশে উড়তে পারছে না। পাখিটির উন্নত চিকিৎসা দরকার। এভাবে থাকলে পাখিটি যে কোন মুহূর্তে মারা যেতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে বাজপাখিটি দেখেছি। এখনো পাখিটির পাখার আঘাত ভালো না হওয়ায় উড়ে যাবার সক্ষমতা নেই। পাখিটি উদ্ধার করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘জেলে কামাল পাহলান খুবই মানবিক কাজ করেছেন। অসুস্থ পাখিটির সেবাযত্ন নিয়েছেন।