প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে মামলার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

‘আমি যতটুকু জানি তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। তবে আমি সম্পূর্ণভাবে সঠিক উত্তর দিতে পারছি না। কারণ আমার কাছে সব রিপোর্ট আসেনি। আপনারা যে প্রশ্ন করছেন, আমিও বিভিন্নভাবে অবগত হয়েছি।’ তিনি বলেন, এই মামলাকে কেন্দ্র করে খুব সম্ভব কোন একটা ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমি এখনও পরিষ্কার নই। আমি পরিষ্কার হয়ে আপনাদের জানাতে পারব।

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর অনলাইনে করা একটি প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। প্রতিবেদনটি করেছিলেন সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান। বুধবার ভোর ৪টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পরিচয়ে শামসুজ্জামানকে তার সাভারের আশুলিয়ার ভাড়া বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।

কোন ছবি বা সংবাদ নিয়ে কারও অভিযোগ থাকলে এর একটি আইনি প্রক্রিয়া আছে। প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারিক ব্যবস্থার সুযোগ আছে। তাহলে কেন রাতের অন্ধকারে সেই সাংবাদিককে সিআইডির কর্তমর্তারা তুলে নিয়ে গেল। এই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইন কিন্তু নিজস্ব গতিতে চলে। রাষ্ট্র ও আপনারা সবাই আইন অনুযায়ী চলেন। কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচার চান বা সংক্ষুব্ধ হয়ে থানায় মামলা করেন, সে অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নিতেই পারে।’

শামসুজ্জামানের করা প্রতিবেদনটি সঠিক ছিল না বলেও দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোর সাংবাদিক সাহেব যে নিউজটি করেছেন সেটা সঠিক ছিল না। যেটা একাত্তর টিভির মাধ্যমে আপনারাই প্রকাশ করেছেন। সংবাদটা যে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাপানো হয়েছে, একাত্তর টিভির মাধ্যমে সেটা স্পষ্ট হয়েছে।’

‘স্বাধীনতা দিবসে আমরা এতদূর এগোনোর পর এ ধরনের একটা ভুয়া নিউজ যদি কেউ দেয় তাহলে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হতে পারেন। আপনিও হতে পারেন। নিউজটা আপনাদের কাছেও নিশ্চয়ই ভালো লাগেনি।’ ‘রাষ্ট্রের আপত্তি আছে। সে কারণে শামসুজ্জামানকে তুলে নেয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘রাষ্ট্রের আপত্তি নয়। আমি তো বলছি যে, একটি মামলা হয়েছে। তবে সমস্ত সংবাদ এখনও আমার কাছে আসেনি। আমার কাছে যে টুকরো টুকরো সংবাদ আসছে, সেটার ভিত্তিতে আমি আপনাদের বলেছি। সব বিষয়ে সুনিশ্চিতভাবে বলতে হলে আমাকে আরও একটু সময় দিতে হবে। আমাকে সব বিষয়ে জেনে বলতে হবে।’