alt

সারাদেশ

ভাঙন ঝুঁকিতে পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ বিশখালীর স্র্রোতে বিধ্বস্ত গ্রাম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরগুনা : বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

বরগুনা : পায়রা নদীর বেড়িবাঁধে ফের ভাঙন। নিশানবাড়িয়া এলাকায় ভাঙনের একাংশ -সংবাদ

বরগুনার তালতলী উপজেলায় পায়রা নদীর বেড়িবাঁধে ফের নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভেঙে যাচ্ছে বিশখালী নদীর তীর রামনা, কাকচিড়াসহ বিভিন্ন গ্রাম। তবে ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্যোগ কম।

তালতলী উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় নতুন করে দেখা দিয়েছে পায়রা নদীর ভাঙন। এর ফলে উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ বঙ্গোপসাগরের লোনা পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তীব্র হয়ে উঠেছে। এছাড়া জয়ালভাঙ্গা, ছোটবগি, পঞ্চাকোড়ালীয়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। একইসঙ্গে বিশখালী নদীর ভাঙনে বামনা উপজেলার রামনা চলাভাঙ্গা এবং পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া, হরিদ্রা ছোনবুনিয়ায় ব্যাপক ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত পরিবার। বাড়িঘর হারিয়ে বহু লোক আশ্রয় নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাস্তার পাশে বা শহরের বস্তিতে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পরিকল্পিত আর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিবছরই ভাঙনের কবলে পড়তে হয় তাদের। এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন তারা। ভুক্তভোগীরা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধই পুনর্নির্মাণ করতে পারেনি নতুন করে পায়রা বিশখালির ভাঙন গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো।

সরেজমিনে দেখা যায়, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া এলাকায় পায়রা নদীর প্রবল জোয়ারে বেড়িবাঁধ প্লাবিত হলে ভাঙনের কবলে পড়ে। ভাঙনের ফলে বর্তমানে বাঁধের এই অংশে দেড় থেকে দুই ফুট মাত্র অবশিষ্ট রয়েছে। তাৎক্ষণিক মেরামত করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে বাঁধের এই অংশ পুরোপুরি ধসে গিয়ে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে। এছাড়াও এই এলাকার প্রায় ৪  কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

স্থানীয় বাসিন্দা সলেমান বলেন, যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। এর আগেও কয়েকবার বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাঁধ ভেঙে এলাকায় লোনা পানি ঢুকলে সব ধরনের ফসল ও গাছ মারা যায়। ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে। তখন গরু-ছাগলসহ পশু-পাখি নিয়ে বিপদে পড়তে হয়। বাঁধ ঠিক হলে আবার ঘর ঠিক করে বসবাস শুরু করেন। একটু গুছিয়ে উঠতেই দেখা যায় আবার বাঁধ ভেঙে সব শেষ হয়ে গেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান  কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, তেঁতুল বাড়িয়া এলাকায় আবারও বেড়িবাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। এই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকার মানুষ। এবারও তাই হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেক গ্রাম ডুবে যাবে। এদিকে বিষখালী নদীর ভাঙনে পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় শত শত লোক পানি উন্নয়ন বোর্ডে রাস্তার পাশে বা শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসান বলেন,  ভাঙনের খবর পেয়ে একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে সার্ভে করতে পাঠিয়েছেন। সার্ভে রিপোর্ট দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ সব বেড়িবাঁধ মেরামত সম্ভব হয়নি অর্থ বরাদ্ধ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্রলঙ্করী ঘূর্নিঝড় সিডরে উপকূলীয় জেলা বরগুনা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে তালতলী  উপজেলার মানুষের সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়। এরপর থেকেই ঝড় ও জলচ্ছাস থেকে বাঁচতে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, রানওয়ে বন্ধ ২ ঘণ্টা

বৈদেশিক মুদ্রা ডাকাতি: একজন কারাগারে, রিমান্ডে ৫

আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত দুই ভাই

ছবি

‘দুই কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে’—পুলিশ কমিশনারকে নারীর চিঠি

বাংলাদেশ লোকগবেষণা পরিষদের আত্মপ্রকাশ

সোনাইমুড়ীকে পৃথক নির্বাচনী আসন করার দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন

কমলগঞ্জে রোজিনা হত্যা মামলার আসামি ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার

মোহনগঞ্জ-ময়মনসিংহ লোকাল ট্রেন বন্ধ, বাড়ছে যাত্রী দুর্ভোগ

ছবি

পুর্ব-সুন্দরবনে বিষ দিয়ে ধরা মাছসহ নৌকা আটক

চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানার লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি

ভোলায় নেত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, বিএনপির নেতা বহিষ্কার

বাগেরহাটে পানিতে পড়ে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু

ভূমি খাজনা আদায়ে জেলার মধ্যে শীর্ষে সুমানগঞ্জের ছাতক

ছবি

মুন্সীগঞ্জের কাটাখালি খাল সংস্কারে চলছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

কলমাকান্দায় অনলাইন তীর জুয়াড়িদের গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে একে আজাদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় এজাহার

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোষ্ঠীগত বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, বাজারে লুটপাট-ভাঙচুর

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ছবি

নির্বিচারে গাছ কাটায় ভালুকায় হারিয়ে গেছে ৫০ প্রজাতির বৃক্ষলতা

ছবি

চিলমারীর তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু চলতি মাসের শেষে খুলে দেয়া হবে

ছবি

সুন্দরবনে কমেছে চোরা শিকারি ও বিষ সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য

দৌলতপুরে অবৈধভাবে নদীর মাটি উত্তোলন করায় জরিমানা

ছবি

নদীতে ভেঙে যাওয়া চর ডাকাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পূর্বের গ্রামে প্রতিষ্ঠার দাবি

মীরসরাই প্রাথমিকে ১০৮ পদ শূন্য, পাঠদান ব্যাহত

ছবি

চকরিয়ায় অভয়ারণ্য বনের গাছ কেটে পাকা বাড়ি তৈরির হিড়িক!

ছবি

মাদারীপুরে পানি প্রবাহে খাল খনন শুরু

সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষ, নিহত ১

ফরিদপুরে বিএনপির সদস্য সচিবসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার

ছবি

২০০ বছরের সূর্যপুরী আমগাছ ডালে ডালে ঝুলছে আম

ইলেকট্রিশিয়ানকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

৯ দফা দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত

উল্টোরথের মাধ্যমে মোহনগঞ্জে শেষ হলো রথযাত্রা উৎসব

রাজশাহীতে হামলা ছিনতাই ও গুলির ঘটনায় আটক ৩

ছবি

শিবচরে আড়িয়ালখাঁ নদের ভাঙন হুমকিতে ৯৭ কোটি টাকার সেতু

পূর্বধলায় বিএনপির মতবিনিময় সভা

tab

সারাদেশ

ভাঙন ঝুঁকিতে পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ বিশখালীর স্র্রোতে বিধ্বস্ত গ্রাম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরগুনা

বরগুনা : পায়রা নদীর বেড়িবাঁধে ফের ভাঙন। নিশানবাড়িয়া এলাকায় ভাঙনের একাংশ -সংবাদ

বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

বরগুনার তালতলী উপজেলায় পায়রা নদীর বেড়িবাঁধে ফের নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভেঙে যাচ্ছে বিশখালী নদীর তীর রামনা, কাকচিড়াসহ বিভিন্ন গ্রাম। তবে ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্যোগ কম।

তালতলী উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় নতুন করে দেখা দিয়েছে পায়রা নদীর ভাঙন। এর ফলে উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ বঙ্গোপসাগরের লোনা পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তীব্র হয়ে উঠেছে। এছাড়া জয়ালভাঙ্গা, ছোটবগি, পঞ্চাকোড়ালীয়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। একইসঙ্গে বিশখালী নদীর ভাঙনে বামনা উপজেলার রামনা চলাভাঙ্গা এবং পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া, হরিদ্রা ছোনবুনিয়ায় ব্যাপক ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত পরিবার। বাড়িঘর হারিয়ে বহু লোক আশ্রয় নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাস্তার পাশে বা শহরের বস্তিতে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পরিকল্পিত আর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিবছরই ভাঙনের কবলে পড়তে হয় তাদের। এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন তারা। ভুক্তভোগীরা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধই পুনর্নির্মাণ করতে পারেনি নতুন করে পায়রা বিশখালির ভাঙন গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো।

সরেজমিনে দেখা যায়, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া এলাকায় পায়রা নদীর প্রবল জোয়ারে বেড়িবাঁধ প্লাবিত হলে ভাঙনের কবলে পড়ে। ভাঙনের ফলে বর্তমানে বাঁধের এই অংশে দেড় থেকে দুই ফুট মাত্র অবশিষ্ট রয়েছে। তাৎক্ষণিক মেরামত করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে বাঁধের এই অংশ পুরোপুরি ধসে গিয়ে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে। এছাড়াও এই এলাকার প্রায় ৪  কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

স্থানীয় বাসিন্দা সলেমান বলেন, যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। এর আগেও কয়েকবার বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাঁধ ভেঙে এলাকায় লোনা পানি ঢুকলে সব ধরনের ফসল ও গাছ মারা যায়। ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে। তখন গরু-ছাগলসহ পশু-পাখি নিয়ে বিপদে পড়তে হয়। বাঁধ ঠিক হলে আবার ঘর ঠিক করে বসবাস শুরু করেন। একটু গুছিয়ে উঠতেই দেখা যায় আবার বাঁধ ভেঙে সব শেষ হয়ে গেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান  কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, তেঁতুল বাড়িয়া এলাকায় আবারও বেড়িবাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে। এই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকার মানুষ। এবারও তাই হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেক গ্রাম ডুবে যাবে। এদিকে বিষখালী নদীর ভাঙনে পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় শত শত লোক পানি উন্নয়ন বোর্ডে রাস্তার পাশে বা শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসান বলেন,  ভাঙনের খবর পেয়ে একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে সার্ভে করতে পাঠিয়েছেন। সার্ভে রিপোর্ট দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ সব বেড়িবাঁধ মেরামত সম্ভব হয়নি অর্থ বরাদ্ধ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্রলঙ্করী ঘূর্নিঝড় সিডরে উপকূলীয় জেলা বরগুনা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে তালতলী  উপজেলার মানুষের সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়। এরপর থেকেই ঝড় ও জলচ্ছাস থেকে বাঁচতে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

back to top