alt

সারাদেশ

দশমিনার ১৫ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা মানবেতর জীবনে

আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল, দশমিনা (পটুয়াখালী) : শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩

দশমিনা (পটুয়াখালী) : জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর -সংবাদ

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৫টি ইউনিয়নে ১৫টি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করেন ৮ শতাধিক পরিবার। উপজেলায় আদর্শগ্রাম, গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ এই ৩টি প্রকল্পের বাসিন্দাদের এখন বেহাল দশা। সহায় সম্বলহীন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ যাদের বেঁচে থাকার জন্য এবং মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে বিগত ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সদর ইউনিয়নের কাটাখালী, নিজাবাদ-লক্ষ্মীপুর ও রনগোপালদী ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পে আশ্রিতরা ঘর পেলেও জীবন ও জীবিকার জন্য তাদের কপালে কোন কাজ জোটেনি। বর্তমানে নির্মিত ঘরগুলো সংস্কার না করায় বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে অনেকটা অযত্ন ও অবহেলায় ঘরগুলো খালি পড়ে আছে। অনেক পরিবার জীবন ও জীবিকার তাগিদে ঘর ফেলে রেখে অন্যত্র চলে গেছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পে অসহায় ভিটামাটিবিহীন প্রায় ৮ শতাধিক পরিবার বসবাস করছিল। একমাত্র বহরমপুর ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্প না থাকলেও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে ১টি আশ্রয়ণ প্রকল্প থাকলেও সেটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাটাখালী, নিজাবাদ-লক্ষèীপুর এবং রনগোপালদী ইউনিয়নে ৩টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণ করে দেয়। ৪টি ব্যারাকে ১২০টি পরিবারকে মাথা গোজার ঠাঁই করে দেয় সরকার। নির্মাণের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন মেরামত করা হয়নি। ফলে ঘরগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। নির্মিত ঘরের টিনের চালা, দরজা-জানালা ভেঙ্গে পড়ছে। বিগত সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অধিকাংশ ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে কিংবা ভেঙে পড়েছে পাশের ঘরের উপর। ভাঙা ঘরে বসবাস করতে না পেরে জীবন ও জীবিকার তাগিদে অধিকাংশ প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা অন্যত্র চলে গেছে। ঘর নির্মাণের ১ বছরের মধ্যেই স্থাপিত গভীর নলকূপ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়ে। বর্তমানে যারা বাস করছে তারা নিতান্তই বাধ্য হয়েই বসবাস করছে। ভিটে মাটি না থাকায় মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হিসেবে প্রকল্পের ঘরই একমাত্র ভরসা। ভাঙা ঘরেই কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত মোস্তফা-হেলেনা দম্পতির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার ঘর দিলেও কাম কাইজের কোন ব্যবস্থা করে দেয় নাই, কি খামু, কি নিয়া বাইচ্চা থাকমু হের কোন খবর নাই, সরকার পরিবর্তন অয় আমাগো কোন ভাগ্যের পরিবর্তন অয় না।

প্রকল্পের স্থানে কোন কাজ না থাকায় উপজেলা সদরে কাজের জন্য ছুটতে হয়। প্রকল্প এলাকায় মাছ চাষের জন্য ১টি পুকুর, গবাদী পশু, হাঁস, মুরগি পালন ও শাক-সবজি উৎপাদনের জন্য সামান্য খন্ড জমি থাকলেও তা কোন কাজে আসছে না। পুকুর থাকলেও মাছ নেই, খন্ড জমি থাকলেও ফসলাদি উৎপাদন করা হয় না। বিগত ২০ বছরের মধ্যে প্রকল্পে বসবাসরত বাসিন্দাদের কেউ খোঁজ খবর নেয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ে প্রকল্পের ঘরগুলো সংস্কারের জন্য লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।

ছবি

নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় আরাকান আর্মির গুলিতে দুই জেলে আহত

ছবি

নাফনদে মাছ শিকারে গিয়ে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ

মায়ানমারে স্কুলে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলা, ১৭ ছাত্র নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১৪ জন আটক

রাজারহাটে ৩ জুয়াড়ি আটক

দুই জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু

হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার

কলারোয়া সীমান্তে ওষুধ-শাড়ি উদ্ধার

দুই জেলায় সড়কে ঝরল ২ গ্যারেজ শ্রমিকের প্রাণ

ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে পাঁচ জনের মৃত্যু

দুই জেলায় সড়কে ঝরল ২ গ্যারেজ শ্রমিকের প্রাণ

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, গর্ভপাতে নবজাতকের মৃত্যু

ছবি

সরকারি রাস্তা থেকে লক্ষাধিক টাকার গাছ কাটার অভিযোগ

তালগাছ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

কবরস্থানের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১

ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

ছবি

ছুটির পরেও বিদ্যালয়ে উড়ছে জাতীয় পতাকা!

এক সপ্তাহে ৭ গরু চুরি বেড়েছে অন্য চুরিও

তাড়াশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে গরু বিতরণে অনিয়ম

ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি

ছবি

টাঙ্গাইল পৌরসভায় ১৩৮ বছরেও হয়নি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে বেহাল সড়কে দুর্ভোগ

ঝালকাঠির নথুল্লাবাদে খাল পুনঃখননে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ

সিংড়ায় বিএনপির অফিস থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১

ছবি

সিরাজগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৬ লক্ষাধিক পশু

সুনামগঞ্জের উন্নয়ন ও সমস্যা নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী ও জেলা প্রশাসনের মতবিনিময়

কেশবপুরে শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময়

নোয়াখালী শহর আ’লীগের সভাপতি পিন্টুর বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ

হত্যার প্রতিশোধ নিতে গুলি করে হত্যাচেষ্টা

ছবি

চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সিএনজি চালকদের সড়কে অবরোধ

কলাপাড়ায় খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

ফেইসবুকে ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করায় যুবক গ্রেপ্তার

সখীপুরে নারী ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পিস্কিন রোগ

ছবি

মাগুরায় জিআই সনদ পাওয়ার পরও অবহেলার শিকার লিচু চাষিরা

ছবি

শাঁখা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আধুনিকায়ন চান কারিগররা

tab

সারাদেশ

দশমিনার ১৫ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা মানবেতর জীবনে

আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল, দশমিনা (পটুয়াখালী)

দশমিনা (পটুয়াখালী) : জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর -সংবাদ

শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৫টি ইউনিয়নে ১৫টি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করেন ৮ শতাধিক পরিবার। উপজেলায় আদর্শগ্রাম, গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ এই ৩টি প্রকল্পের বাসিন্দাদের এখন বেহাল দশা। সহায় সম্বলহীন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ যাদের বেঁচে থাকার জন্য এবং মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে বিগত ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সদর ইউনিয়নের কাটাখালী, নিজাবাদ-লক্ষ্মীপুর ও রনগোপালদী ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পে আশ্রিতরা ঘর পেলেও জীবন ও জীবিকার জন্য তাদের কপালে কোন কাজ জোটেনি। বর্তমানে নির্মিত ঘরগুলো সংস্কার না করায় বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে অনেকটা অযত্ন ও অবহেলায় ঘরগুলো খালি পড়ে আছে। অনেক পরিবার জীবন ও জীবিকার তাগিদে ঘর ফেলে রেখে অন্যত্র চলে গেছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পে অসহায় ভিটামাটিবিহীন প্রায় ৮ শতাধিক পরিবার বসবাস করছিল। একমাত্র বহরমপুর ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্প না থাকলেও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে ১টি আশ্রয়ণ প্রকল্প থাকলেও সেটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাটাখালী, নিজাবাদ-লক্ষèীপুর এবং রনগোপালদী ইউনিয়নে ৩টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণ করে দেয়। ৪টি ব্যারাকে ১২০টি পরিবারকে মাথা গোজার ঠাঁই করে দেয় সরকার। নির্মাণের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন মেরামত করা হয়নি। ফলে ঘরগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। নির্মিত ঘরের টিনের চালা, দরজা-জানালা ভেঙ্গে পড়ছে। বিগত সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অধিকাংশ ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে কিংবা ভেঙে পড়েছে পাশের ঘরের উপর। ভাঙা ঘরে বসবাস করতে না পেরে জীবন ও জীবিকার তাগিদে অধিকাংশ প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা অন্যত্র চলে গেছে। ঘর নির্মাণের ১ বছরের মধ্যেই স্থাপিত গভীর নলকূপ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়ে। বর্তমানে যারা বাস করছে তারা নিতান্তই বাধ্য হয়েই বসবাস করছে। ভিটে মাটি না থাকায় মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই হিসেবে প্রকল্পের ঘরই একমাত্র ভরসা। ভাঙা ঘরেই কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত মোস্তফা-হেলেনা দম্পতির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার ঘর দিলেও কাম কাইজের কোন ব্যবস্থা করে দেয় নাই, কি খামু, কি নিয়া বাইচ্চা থাকমু হের কোন খবর নাই, সরকার পরিবর্তন অয় আমাগো কোন ভাগ্যের পরিবর্তন অয় না।

প্রকল্পের স্থানে কোন কাজ না থাকায় উপজেলা সদরে কাজের জন্য ছুটতে হয়। প্রকল্প এলাকায় মাছ চাষের জন্য ১টি পুকুর, গবাদী পশু, হাঁস, মুরগি পালন ও শাক-সবজি উৎপাদনের জন্য সামান্য খন্ড জমি থাকলেও তা কোন কাজে আসছে না। পুকুর থাকলেও মাছ নেই, খন্ড জমি থাকলেও ফসলাদি উৎপাদন করা হয় না। বিগত ২০ বছরের মধ্যে প্রকল্পে বসবাসরত বাসিন্দাদের কেউ খোঁজ খবর নেয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ে প্রকল্পের ঘরগুলো সংস্কারের জন্য লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।

back to top