আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দিনদিন উত্তপ্ত বান্দরবান। গেল ১৮ অক্টোবর থেকে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। অভিযানে পাহাড়ে বিভিন্ন সময় নতুন জঙ্গি সংগঠনের এ পর্যন্ত ৫৯ জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ। অভিযান এখনও চলমান রয়েছে। গত ১৪ মার্চ থেকে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে। এসব কারণে ভয়, উৎকণ্ঠা ও শঙ্কায় দিন যাপন করছে পাহাড়ে বসবাসকারী বাসিন্দারা। এদিকে পাহাড়ি সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার থামতাপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছে। পুলিশ নিহত আট জনের লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস সংস্কার) সদস্যদের গোলাগুলি হয়। পরে শুক্রবার সকালে সেখানে গিয়ে জলপাই রঙের পোশাক পরিহিত আটজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন তারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। তারা বলছেন, মূলত ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে রুমা-রোয়াংছড়ি সড়কের খামতামপাড়া এলাকায় দুই সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার সকালে আটটি মরদহ পুলিশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতদের নাম ও পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর আতঙ্কে বেশকিছু এলাকাবাসী পালিয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদরে অবস্থান করছেন। তাদের খাবার দেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে রোয়াংছড়ি থানার ওসি মো. আবদুল মান্নান জানান, রোয়াংছড়ি খামতামপাড়া এলাকা থেকে সেনা পোশাক পরিহিত ৮ জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে আনা হচ্ছে। তবে কে বা কারা তাদের মেরেছে তা জানা যায়নি। মৃতদেহ কোন গ্রুপের তাও বলা যাচ্ছে না। বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খবর পাই রোয়াংছড়ি উপজেলার খামতামপাড়ায় কিছু মরদেহ পড়ে আছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, যতটুকু জেনেছি দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় মূলত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আধিপত্য বেশি। আধিপত্য নিয়েই কেএনএফের সঙ্গে তাদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। যারা নিহত হয়েছেন তাদের কারো নাম-ঠিকানা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি। আমাদের অনুসন্ধান অব্যাহত আছে।
শুক্রবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৩
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দিনদিন উত্তপ্ত বান্দরবান। গেল ১৮ অক্টোবর থেকে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। অভিযানে পাহাড়ে বিভিন্ন সময় নতুন জঙ্গি সংগঠনের এ পর্যন্ত ৫৯ জনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ। অভিযান এখনও চলমান রয়েছে। গত ১৪ মার্চ থেকে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে। এসব কারণে ভয়, উৎকণ্ঠা ও শঙ্কায় দিন যাপন করছে পাহাড়ে বসবাসকারী বাসিন্দারা। এদিকে পাহাড়ি সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার থামতাপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছে। পুলিশ নিহত আট জনের লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস সংস্কার) সদস্যদের গোলাগুলি হয়। পরে শুক্রবার সকালে সেখানে গিয়ে জলপাই রঙের পোশাক পরিহিত আটজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন তারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। তারা বলছেন, মূলত ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে রুমা-রোয়াংছড়ি সড়কের খামতামপাড়া এলাকায় দুই সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার সকালে আটটি মরদহ পুলিশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতদের নাম ও পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় আটজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর আতঙ্কে বেশকিছু এলাকাবাসী পালিয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদরে অবস্থান করছেন। তাদের খাবার দেয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে রোয়াংছড়ি থানার ওসি মো. আবদুল মান্নান জানান, রোয়াংছড়ি খামতামপাড়া এলাকা থেকে সেনা পোশাক পরিহিত ৮ জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে আনা হচ্ছে। তবে কে বা কারা তাদের মেরেছে তা জানা যায়নি। মৃতদেহ কোন গ্রুপের তাও বলা যাচ্ছে না। বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খবর পাই রোয়াংছড়ি উপজেলার খামতামপাড়ায় কিছু মরদেহ পড়ে আছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, যতটুকু জেনেছি দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় মূলত ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) আধিপত্য বেশি। আধিপত্য নিয়েই কেএনএফের সঙ্গে তাদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। যারা নিহত হয়েছেন তাদের কারো নাম-ঠিকানা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি। আমাদের অনুসন্ধান অব্যাহত আছে।