ভালুকা (ময়মনসিংহ) : এভাবেই নড়বড়ে সাঁকোতে পার হচ্ছে এলাকাবাসী -সংবাদ
খাল বিল নদী বেষ্টিত ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ভালুকা উপজেলা। ভালুকা উপজেলার মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে খীরুনদী। রাজৈ, হবিরবাড়ী, ভালুকা, মেদুয়ারী ও মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের বুকচিরে দক্ষিনে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ নামক স্থানে শীতলক্ষার সাথে মিলিত হয়েছে এ নদী। খীরু নদীর পারে শত বছরের ঐতিয্যবাহি উপজেলার পনাশাইল বাজারের ঘাটে একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে নদী পারাপারে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থী সহ হাজার হাজার নারী পুরুষ। চারটি ইউনিয়নের দুই পারের ১০/১২ টি গ্রামের মানুষ। ভালুকা, হবিরবাড়ী, বিরুনিয়া ও রাজৈ ইউনিয়নের ৮-১০টি গ্রামের মানুষ চলাচল ও তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল পারাপারে নদীর ওই অংশে এপার ওপার যাতায়াত করতে হয়।
ভালুকা-উরাহাটি পাকা সড়কের পাশে খীরু নদী ঘেষা পনাশাইল বাজারটি জমিদারী আমল হতে এ এলাকার মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজার ঘেষা খীরু নদীর ওই স্থানে একটি পাকা সেতু না থাকায় বর্ষাকালে নৌকার গোদারা দিয়ে লোকজন পারাপার হয়ে থাকে।
শুকনো মৌসুমে স্থানীয় ইজারাদারের তৈরি বাঁশ ও কাঠের নরবরে সাঁকো পার হতে প্রতিবার পাঁচ টাকা করে গুণতে হয় এলাকাবাসীকে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পনাশাইল বাজার সংলগ্ন খীরু নদীর উপর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইজারা নিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। পরে তারা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছেন নদী পারাপারের জন্য। তাই এই সাঁকোর ওপর দিয়ে পার হতে প্রতিবার পাঁচ টাকা করে দিতে হয় ইজারাদারকে। এ এলাকায় রয়েছে-আশকা উচ্চ বিদ্যালয়, কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পনাশাইল দাখিল মাদ্রাসা, কয়েকটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল, পনাশাইল বাজার ভূমি অফিস। প্রতিদিন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক ও সাধারণ মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সাঁকো পারাপার হতে হয়। পনাশাইল বাজার সংলগ্ন নদীর দক্ষিন এলাকার লোকজন জানান, তারা ঠিকমতো শিক্ষা, চিকিৎসা ও হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা অন্তসত্ত্বা মহিলাদের উপজেলা হাসপাতালে নেওয়ার জন্য কোনো যানবাহন পারাপারের ব্যবস্থা নেই এ ঘাটে। ফলে ৬ কিলোমিটার পথ রোগীদের হাসপাতালে নিতে হয় নুইন্দাপাড়া ও সীডষ্টোর বাজার হয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরে। চরম বিপাকে পড়তে হয় এলাকার সাধারণ মানুষের। এখানকার স্কুলের লেখা পড়ার মান ভালো তাই তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে আসেন। সাঁেকা পারাপারের সময় আজমত আলী (৬৫) জানান তিনি শিশুকাল থেকেই বর্ষাকালে গোদারা ও শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাকো দিয়ে খুর্দ গ্রাম হতে পনাশাইল বাজার হয়ে ভালুকা সদরে যাতায়াত করছেন। তিনি জানান এই সাঁকো দিয়ে কৃষি পণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য পরিবহন করা খুবই কষ্টসাধ্য। ফলে তারা উৎপাদিত কৃষি পণ্য ঠিকমতো বেচা-কেনা করতে পারেন না। নির্বাচনের সময় এলে ভোটপ্রার্থীরা এলাকার লোকজনকে পাকা সেতু নির্মাণের আশ^াস দিয়ে যাচ্ছেন দেশ স্বাধীনের পর হতে।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : এভাবেই নড়বড়ে সাঁকোতে পার হচ্ছে এলাকাবাসী -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
খাল বিল নদী বেষ্টিত ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ভালুকা উপজেলা। ভালুকা উপজেলার মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে খীরুনদী। রাজৈ, হবিরবাড়ী, ভালুকা, মেদুয়ারী ও মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের বুকচিরে দক্ষিনে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ নামক স্থানে শীতলক্ষার সাথে মিলিত হয়েছে এ নদী। খীরু নদীর পারে শত বছরের ঐতিয্যবাহি উপজেলার পনাশাইল বাজারের ঘাটে একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে নদী পারাপারে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থী সহ হাজার হাজার নারী পুরুষ। চারটি ইউনিয়নের দুই পারের ১০/১২ টি গ্রামের মানুষ। ভালুকা, হবিরবাড়ী, বিরুনিয়া ও রাজৈ ইউনিয়নের ৮-১০টি গ্রামের মানুষ চলাচল ও তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল পারাপারে নদীর ওই অংশে এপার ওপার যাতায়াত করতে হয়।
ভালুকা-উরাহাটি পাকা সড়কের পাশে খীরু নদী ঘেষা পনাশাইল বাজারটি জমিদারী আমল হতে এ এলাকার মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজার ঘেষা খীরু নদীর ওই স্থানে একটি পাকা সেতু না থাকায় বর্ষাকালে নৌকার গোদারা দিয়ে লোকজন পারাপার হয়ে থাকে।
শুকনো মৌসুমে স্থানীয় ইজারাদারের তৈরি বাঁশ ও কাঠের নরবরে সাঁকো পার হতে প্রতিবার পাঁচ টাকা করে গুণতে হয় এলাকাবাসীকে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পনাশাইল বাজার সংলগ্ন খীরু নদীর উপর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইজারা নিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। পরে তারা বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছেন নদী পারাপারের জন্য। তাই এই সাঁকোর ওপর দিয়ে পার হতে প্রতিবার পাঁচ টাকা করে দিতে হয় ইজারাদারকে। এ এলাকায় রয়েছে-আশকা উচ্চ বিদ্যালয়, কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পনাশাইল দাখিল মাদ্রাসা, কয়েকটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল, পনাশাইল বাজার ভূমি অফিস। প্রতিদিন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক ও সাধারণ মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সাঁকো পারাপার হতে হয়। পনাশাইল বাজার সংলগ্ন নদীর দক্ষিন এলাকার লোকজন জানান, তারা ঠিকমতো শিক্ষা, চিকিৎসা ও হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা অন্তসত্ত্বা মহিলাদের উপজেলা হাসপাতালে নেওয়ার জন্য কোনো যানবাহন পারাপারের ব্যবস্থা নেই এ ঘাটে। ফলে ৬ কিলোমিটার পথ রোগীদের হাসপাতালে নিতে হয় নুইন্দাপাড়া ও সীডষ্টোর বাজার হয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরে। চরম বিপাকে পড়তে হয় এলাকার সাধারণ মানুষের। এখানকার স্কুলের লেখা পড়ার মান ভালো তাই তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে আসেন। সাঁেকা পারাপারের সময় আজমত আলী (৬৫) জানান তিনি শিশুকাল থেকেই বর্ষাকালে গোদারা ও শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাকো দিয়ে খুর্দ গ্রাম হতে পনাশাইল বাজার হয়ে ভালুকা সদরে যাতায়াত করছেন। তিনি জানান এই সাঁকো দিয়ে কৃষি পণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য পরিবহন করা খুবই কষ্টসাধ্য। ফলে তারা উৎপাদিত কৃষি পণ্য ঠিকমতো বেচা-কেনা করতে পারেন না। নির্বাচনের সময় এলে ভোটপ্রার্থীরা এলাকার লোকজনকে পাকা সেতু নির্মাণের আশ^াস দিয়ে যাচ্ছেন দেশ স্বাধীনের পর হতে।