সিরাজগঞ্জ : শাহজাদপুরের একটি গরুর খামার -সংবাদ
গো-খাদ্য উচ্চ মুল্য সিরাজগঞ্জের গো-খামারীরা বিপাকে পরেছে। গবাদি পশু নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন খামারিরা। যে কারনে ইতিমধ্যেই দুধ উৎপাদন কমেছে বলে খামারীরা জানান ।
গো-খামারিরা বলছেন, দুধ উৎপাদন বাড়িয়ে যদি সঠিক বাজারজাত নিশ্চিত করা না হয়, তবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের দুগ্ধ খামারিদের টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দুগ্ধ উৎপাদনে। ব্যাহত হতে পারে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কার্যক্রম। একই সঙ্গে উৎপাদন ব্যয়ের লাগাম টানা না গেলে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে এ খাত। খামারী সূত্রে জানা যায় বর্তমান বাজারে গমের ভুষি ২১ শ টাকা, ফিড ১৬৪০ টাকা , খেসারী ভুষি ১৬৫০ টাকা, ছোলা ভুষি ১৪৫০ টাকা, খড় এক মন (৩০ কেজি) ৫০০ টাকা বিক্রী হচ্ছে ।
জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া এলাকার খামারী মোমতাজ উদ্দিন বলেন আমার খামারে ছোট বড় মিলে ১১০ টি গরু রয়েছে । প্রতিদিন আমি দুই বেলা মিলে ১০ মন দুধ পাচ্ছি । কাশিয়াহাটা গ্রামের গো খামারি হাসিব খান বলেন, আমার খামারে ৫০টি গাভী রয়েছে। কিছুদিন আগে প্রতিদিন ৩৮০ থেকে ৩৯০ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে । তবে গো খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ আরাভ এগ্রো ডেইরী ফার্মের ম্যানেজার আলমগীর হোসেন জানান ,তার খামারে ৬৫ টি গাভী প্রতিদিন ২শ লিটারের উপরে দুধ দিচ্ছে । দানাদার গো খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে দুধের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের লোকশান গুনতে হচ্ছে । পাইকপাড়া গ্রামের আরমান আলী জানান খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে গাভীকে চাহিদামত খাদ্য দিতে না পারায় গাভীর দুধ কমে গেছে । জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় দুগ্ধ খামার রয়েছে ১৩ হাজার ৪৮০টি। এগুলো থেকে প্রতি বছর ছয় দশমিক ৪৯ লাখ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার বলেন, দানাদার খাদ্যের উচ্চ মুল্যে খামারিরা বিপাকে পরেছে । তিনি আরও জানান ইতিমধ্যেই খামারি ও কৃষকদের ভুট্টা চাষের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এবং সাইলেস খাবার তৈরির জন্য খামারি ও কৃষকদের প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে। সাইলেস খাবারে দানাদার খাবারের চেয়ে অর্ধেক খরচ কম হবে । এতে দুধ ও মাংস উৎপাদনে খামারীরা লাভবান হবে বলে তিনি জানান ।
সিরাজগঞ্জ : শাহজাদপুরের একটি গরুর খামার -সংবাদ
শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
গো-খাদ্য উচ্চ মুল্য সিরাজগঞ্জের গো-খামারীরা বিপাকে পরেছে। গবাদি পশু নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন খামারিরা। যে কারনে ইতিমধ্যেই দুধ উৎপাদন কমেছে বলে খামারীরা জানান ।
গো-খামারিরা বলছেন, দুধ উৎপাদন বাড়িয়ে যদি সঠিক বাজারজাত নিশ্চিত করা না হয়, তবে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের দুগ্ধ খামারিদের টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দুগ্ধ উৎপাদনে। ব্যাহত হতে পারে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কার্যক্রম। একই সঙ্গে উৎপাদন ব্যয়ের লাগাম টানা না গেলে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে এ খাত। খামারী সূত্রে জানা যায় বর্তমান বাজারে গমের ভুষি ২১ শ টাকা, ফিড ১৬৪০ টাকা , খেসারী ভুষি ১৬৫০ টাকা, ছোলা ভুষি ১৪৫০ টাকা, খড় এক মন (৩০ কেজি) ৫০০ টাকা বিক্রী হচ্ছে ।
জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া এলাকার খামারী মোমতাজ উদ্দিন বলেন আমার খামারে ছোট বড় মিলে ১১০ টি গরু রয়েছে । প্রতিদিন আমি দুই বেলা মিলে ১০ মন দুধ পাচ্ছি । কাশিয়াহাটা গ্রামের গো খামারি হাসিব খান বলেন, আমার খামারে ৫০টি গাভী রয়েছে। কিছুদিন আগে প্রতিদিন ৩৮০ থেকে ৩৯০ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে । তবে গো খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ আরাভ এগ্রো ডেইরী ফার্মের ম্যানেজার আলমগীর হোসেন জানান ,তার খামারে ৬৫ টি গাভী প্রতিদিন ২শ লিটারের উপরে দুধ দিচ্ছে । দানাদার গো খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে দুধের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের লোকশান গুনতে হচ্ছে । পাইকপাড়া গ্রামের আরমান আলী জানান খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে গাভীকে চাহিদামত খাদ্য দিতে না পারায় গাভীর দুধ কমে গেছে । জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় দুগ্ধ খামার রয়েছে ১৩ হাজার ৪৮০টি। এগুলো থেকে প্রতি বছর ছয় দশমিক ৪৯ লাখ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার বলেন, দানাদার খাদ্যের উচ্চ মুল্যে খামারিরা বিপাকে পরেছে । তিনি আরও জানান ইতিমধ্যেই খামারি ও কৃষকদের ভুট্টা চাষের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এবং সাইলেস খাবার তৈরির জন্য খামারি ও কৃষকদের প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে। সাইলেস খাবারে দানাদার খাবারের চেয়ে অর্ধেক খরচ কম হবে । এতে দুধ ও মাংস উৎপাদনে খামারীরা লাভবান হবে বলে তিনি জানান ।