গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির জন্য তিতাসের প্রস্তাবের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির নেতারা। রোববার (২৮ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি এবি সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি রফিউর রাব্বি, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি রথিন চক্রবর্তী, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, বাসদ নেতা আবু নাঈম খান, নাগরিক কমিটির সদস্য আব্দুল হাই, পপি রানি সরকার, মহিলা পরিষদের সদস্য কৃষ্ণা ঘোষ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হঠাৎ করে তীব্র সংকট তৈরি করে সরকার বলছে ভর্তুকি দিবে না। গ্যাসের মাত্র ৫ শতাংশ বাসাবাড়িতে ব্যবহার করা হয়। সেটাও অনেক সময় পাওয়া যায় না। এখন সেই গ্যাসের দাম ১ হাজার ৮০ থেকে ৫১২ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫৯২ করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ তিতাস বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ রেখেছে। এসব কিছু করা হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাসের বিক্রি বাড়ানোর জন্য। আর এদিকে মানুষ বাজারে গেলে হিমশিম খায়, দ্রব্যমূল্যের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে।
রফিউর রাব্বি বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জ্বালানি খাতে হরিলুট অবস্থা তৈরি করেছে। প্রথমে বিদ্যুৎ আর এখন গ্যাস। গ্যাসের সাথে সকল দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায়। এরপরও সরকার বলে বিশ্ববাজারের সাথে সমন্বয় করছে। সরকার দাম বৃদ্ধি করলেও তা কোনোদিন কমায় না। গত সপ্তাহেও বাপেক্স ভোলায় একটি গ্যাসকূপ আবিষ্কার করে। বাপেক্স সেখানে আরও দুটি আবিষ্কার করেছে কিন্তু সরকার সেখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে না। গ্যাস উত্তোলনে সরকার বাপেক্সকে দায়িত্ব না দিয়ে আমেরিকার কোম্পানিকে দায়িত্ব দিতে চাচ্ছে। ৩০ বছর আগে সমুদ্রে গ্যাস আবিষ্কৃত হলেও এখানো উত্তোলনে উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। সরকার গ্যাসে দুর্নীতি বন্ধ না করে এ খাতকে হুমকির মুখে ফেলেছে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে বাণিজ্যিক সুবিধা দেয়ার জন্য সরকার দুর্নীতিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে, যার দায়ভার জনগণের উপর চাপাচ্ছে।
এবি সিদ্দিক বলেন, সারা শহরজুড়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ কিন্তু তাতে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। কেননা তাদের এবং কিছু রাজনৈতিক নেতার সহযোগিতায় এসব হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কখনো অভিযান, জরিমানা হয় না। যে ব্যক্তি হাজার হাজার টাকা খরচ করে অবৈধ সংযোগ নিয়েছে তাদের হয়। সামনে ঈদ, সিন্ডিকেট করে প্রত্যেক খাতে, প্রত্যেক জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে। এসব মোকাবেলায় প্রশাসন থাকলেও তারা নিরব।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি থেকে সরে না আসলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনের নেতারা।
রোববার, ২৮ মে ২০২৩
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির জন্য তিতাসের প্রস্তাবের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির নেতারা। রোববার (২৮ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি এবি সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি রফিউর রাব্বি, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি রথিন চক্রবর্তী, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, বাসদ নেতা আবু নাঈম খান, নাগরিক কমিটির সদস্য আব্দুল হাই, পপি রানি সরকার, মহিলা পরিষদের সদস্য কৃষ্ণা ঘোষ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হঠাৎ করে তীব্র সংকট তৈরি করে সরকার বলছে ভর্তুকি দিবে না। গ্যাসের মাত্র ৫ শতাংশ বাসাবাড়িতে ব্যবহার করা হয়। সেটাও অনেক সময় পাওয়া যায় না। এখন সেই গ্যাসের দাম ১ হাজার ৮০ থেকে ৫১২ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৫৯২ করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ তিতাস বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ রেখেছে। এসব কিছু করা হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাসের বিক্রি বাড়ানোর জন্য। আর এদিকে মানুষ বাজারে গেলে হিমশিম খায়, দ্রব্যমূল্যের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে।
রফিউর রাব্বি বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জ্বালানি খাতে হরিলুট অবস্থা তৈরি করেছে। প্রথমে বিদ্যুৎ আর এখন গ্যাস। গ্যাসের সাথে সকল দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পায়। এরপরও সরকার বলে বিশ্ববাজারের সাথে সমন্বয় করছে। সরকার দাম বৃদ্ধি করলেও তা কোনোদিন কমায় না। গত সপ্তাহেও বাপেক্স ভোলায় একটি গ্যাসকূপ আবিষ্কার করে। বাপেক্স সেখানে আরও দুটি আবিষ্কার করেছে কিন্তু সরকার সেখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে না। গ্যাস উত্তোলনে সরকার বাপেক্সকে দায়িত্ব না দিয়ে আমেরিকার কোম্পানিকে দায়িত্ব দিতে চাচ্ছে। ৩০ বছর আগে সমুদ্রে গ্যাস আবিষ্কৃত হলেও এখানো উত্তোলনে উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। সরকার গ্যাসে দুর্নীতি বন্ধ না করে এ খাতকে হুমকির মুখে ফেলেছে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে বাণিজ্যিক সুবিধা দেয়ার জন্য সরকার দুর্নীতিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে, যার দায়ভার জনগণের উপর চাপাচ্ছে।
এবি সিদ্দিক বলেন, সারা শহরজুড়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ কিন্তু তাতে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। কেননা তাদের এবং কিছু রাজনৈতিক নেতার সহযোগিতায় এসব হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কখনো অভিযান, জরিমানা হয় না। যে ব্যক্তি হাজার হাজার টাকা খরচ করে অবৈধ সংযোগ নিয়েছে তাদের হয়। সামনে ঈদ, সিন্ডিকেট করে প্রত্যেক খাতে, প্রত্যেক জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে। এসব মোকাবেলায় প্রশাসন থাকলেও তারা নিরব।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি থেকে সরে না আসলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনের নেতারা।