alt

সারাদেশ

ডেঙ্গু : ঢাকার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবিরে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২৮ মে ২০২৩

বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। প্রতিদিনই রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে আক্রান্তরা -সংবাদ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেছেন, ‘ঢাকার পর দেশে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী কক্সবাজারে। মূলত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে মশাবাহিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। চলতি বছর এ পর্যন্ত সহস্রাধিক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে রোহিঙ্গা শিবিরে। ওই জনগোষ্ঠীর মাঝে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে’।

রোববার (২৮ মে) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এ বছর জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ১৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৬ জন। তার মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৪১ জন, ঢাকার বাইরে ৫ জন।

ডেঙ্গু বিষয়ে সব তথ্য তুলে ধরে অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা বাদে সারা দেশে চলতি বছর ১ হাজার ৫৩৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৯৭১ জন এবং ঢাকা মহানগরের বাইরে ৫৬২ জন।

চলতি বছর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ১ হাজার ৬৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। আর স্থানীয় ৪২৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সময় ধরে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারা বলছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সবচেয়ে কম রোগী রংপুর, সিলেট, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে। আর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ঢাকার পর চট্টগ্রাম বিভাগে, তারপর বরিশাল বিভাগে। অর্থাৎ, পুরো বাংলাদেশে রোগী পাওয়া যাচ্ছে। মূলত রোগীর চাপ ঢাকা মহানগরে। গত চার থেকে পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, প্রাক-মৌসুমে কয়েক গুণ বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

নাজমুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত বছর সেখানে ১৭ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এ বছরও সেখানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অত্যন্ত বেশি। কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রোগীর সংখ্যা উপেক্ষা করার মতো নয়।

রোহিঙ্গা শিবিরের এ অবস্থা প্রসঙ্গে নাজমুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গারা সীমিত জায়গায় থাকে। সেখানে পানি সরবরাহ না থাকায় পানি জমা করে রাখতে হয়। জমা করে রাখা পরিষ্কার পানি এডিস মশা প্রজননের জন্য ভালো জায়গা।

রোহিঙ্গা শিবিরে সাধারণ মানুষের চলাফেরা সীমিত থাকাকে কারণ হিসেবে দেখছেন নাজমুল ইসলাম। স্বাস্থ্যকর্মীদের বিধি-নিষেধের মধ্যে কাজ করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

নাজমুল বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা দিবারাত্রি কাজ করছেন। তারপরও মনে রাখতে হবে, মশার প্রজননক্ষেত্র যদি ধ্বংস করা না যায়, এটা কিন্তু প্রাক-মৌসুম, তাহলে পুরোপুরি মৌসুম শুরু হয়ে গেলে এর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতেই পারে।’

ঢাকা মহানগর প্রসঙ্গে নাজমুল আরও বলেন, জনবসতি যেখানে বেশি, সেখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

ঢাকা দক্ষিণে রোগী বেশি। এ ধরনের পরিসংখ্যান বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন নাজমুল ইসলাম। তার মতে, উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটিতেই ডেঙ্গু রোগী আছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তুলনায় দক্ষিণে গৃহায়ণ পরিকল্পিতভাবে হয়নি। বড় হাসপাতালগুলো ঢাকা দক্ষিণে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক আহমেদুল কবির, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক রাশেদা ইসলাম, লাইন ডিরেক্টর (এনসিডিসি) অধ্যাপক মো. রোবেদ আমিন, অধ্যাপক কাজী তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।

ছবি

চট্টগ্রামে পুলিশি হেফাজতে দুদকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মৃত্যু

ছবি

ডিবি হেফাজতে আইনজীবীর সহকারীর মৃত্যু: তদন্তে পুলিশের কমিটি

ছবি

সাগর উত্তাল, সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ

রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার নিন্দা ২৫ বিশিষ্টজনের

৯ মাসে ২১৭ সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার : আসক প্রতিবেদন

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ১৩ মৃত্যু

ছবি

দুদকের মুখোমুখি হচ্ছেন ইউনূসসহ ৭ জন

ছবি

অপতথ্য রোধে গণমাধ্যকর্মীদের যথাযথ ভূমিকা রাখার আহ্বান

ছবি

মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে ২৯ বাংলাদেশী দেশে ফিরলো

তিন সাংবাদিকের নামে আদালতের সমন

শেরপুরে সাংবাদিক দীপঙ্কর চক্রবর্তীর স্মরণসভা

ছবি

সেনাবাহিনীর ৪ ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করলেন সেনা প্রধান

ছবি

দশমিনায় সেতুর অভাবে দুর্ভোগ দুই উপজেলার বাসিন্দাদের

উল্লাপাড়ায় হাসপাতালে বিশেষ দিনের খাবার নিয়ে অনিয়ম

ছবি

৬শ ফুট কাঁচা সড়কের জন্য দুর্ভোগ চরমে

কবিকুঞ্জের জীবনানন্দ কবিতামেলা

ছবি

ভাঙনে দুই দশকে ৫০ চরের অস্তিত্ব বিলীন, বাস্তুহারা দুই লক্ষাধিক মানুষ

‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারিত করেছে সরকার’

ছবি

এক যুগেও শেষ হয়নি খুলনার আধুনিক কারাগার নির্মাণ, ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ

ছবি

রুমের ভিতর আটকে যায় শিশু, ৯৯৯- এ ফোন করে উদ্ধার

ছবি

সমুদ্রবন্দরগুলোয় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত

ছবি

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নিয়ে মোংলায় রাশিয়ান জাহাজ

ছবি

ভোলায় বাসের বিরুদ্ধে ইজিবাইক-সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ

বকশীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবন্ধী যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আহত কমপক্ষে ৫ জন

ছবি

আত্রাই ও রাণী নদীতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মহোৎসব

ছবি

গোয়ালন্দে চলছে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় রোড মার্চের পথ সভা

ছবি

ইউরেনিয়াম হস্তান্তর ঘিরে রূপপুরে উৎসবের আমেজ

মেঘটনায় তলা ফেটে ডুবল কয়লাবাহী জাহাজ

ছবি

ময়মনসিংহ বিভাগের শ্রেষ্ঠ ইন্সট্রাক্টর জামালপুরের সামছুন নাহার

ভোলায় মেঘনা নদীর বাঁধের সিসিব্লক ধসে নিহত-১আহত-৪

ছবি

চুনারুঘাটে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

কক্সবাজারে বিশ্ব বসতি দিবস পালিত

লালমনিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় পথচারী নিহত

ছবি

মায়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন ‘আরসা’ প্রধানের সহকারীকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার

ছবি

বাড়ির পাশের খালে মিলল ২ মাস বয়সী সেই শিশুর মরদেহ

ছবি

চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড়-বন্যার শঙ্কা

tab

সারাদেশ

ডেঙ্গু : ঢাকার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবিরে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। প্রতিদিনই রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে আক্রান্তরা -সংবাদ

রোববার, ২৮ মে ২০২৩

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেছেন, ‘ঢাকার পর দেশে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী কক্সবাজারে। মূলত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে মশাবাহিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। চলতি বছর এ পর্যন্ত সহস্রাধিক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে রোহিঙ্গা শিবিরে। ওই জনগোষ্ঠীর মাঝে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে’।

রোববার (২৮ মে) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

এ বছর জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ১৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৬ জন। তার মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৪১ জন, ঢাকার বাইরে ৫ জন।

ডেঙ্গু বিষয়ে সব তথ্য তুলে ধরে অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা বাদে সারা দেশে চলতি বছর ১ হাজার ৫৩৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা মহানগরে ৯৭১ জন এবং ঢাকা মহানগরের বাইরে ৫৬২ জন।

চলতি বছর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ১ হাজার ৬৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। আর স্থানীয় ৪২৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সময় ধরে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারা বলছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সবচেয়ে কম রোগী রংপুর, সিলেট, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে। আর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ঢাকার পর চট্টগ্রাম বিভাগে, তারপর বরিশাল বিভাগে। অর্থাৎ, পুরো বাংলাদেশে রোগী পাওয়া যাচ্ছে। মূলত রোগীর চাপ ঢাকা মহানগরে। গত চার থেকে পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, প্রাক-মৌসুমে কয়েক গুণ বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

নাজমুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত বছর সেখানে ১৭ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এ বছরও সেখানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অত্যন্ত বেশি। কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে রোগীর সংখ্যা উপেক্ষা করার মতো নয়।

রোহিঙ্গা শিবিরের এ অবস্থা প্রসঙ্গে নাজমুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গারা সীমিত জায়গায় থাকে। সেখানে পানি সরবরাহ না থাকায় পানি জমা করে রাখতে হয়। জমা করে রাখা পরিষ্কার পানি এডিস মশা প্রজননের জন্য ভালো জায়গা।

রোহিঙ্গা শিবিরে সাধারণ মানুষের চলাফেরা সীমিত থাকাকে কারণ হিসেবে দেখছেন নাজমুল ইসলাম। স্বাস্থ্যকর্মীদের বিধি-নিষেধের মধ্যে কাজ করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

নাজমুল বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা দিবারাত্রি কাজ করছেন। তারপরও মনে রাখতে হবে, মশার প্রজননক্ষেত্র যদি ধ্বংস করা না যায়, এটা কিন্তু প্রাক-মৌসুম, তাহলে পুরোপুরি মৌসুম শুরু হয়ে গেলে এর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতেই পারে।’

ঢাকা মহানগর প্রসঙ্গে নাজমুল আরও বলেন, জনবসতি যেখানে বেশি, সেখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

ঢাকা দক্ষিণে রোগী বেশি। এ ধরনের পরিসংখ্যান বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন নাজমুল ইসলাম। তার মতে, উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটিতেই ডেঙ্গু রোগী আছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তুলনায় দক্ষিণে গৃহায়ণ পরিকল্পিতভাবে হয়নি। বড় হাসপাতালগুলো ঢাকা দক্ষিণে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক আহমেদুল কবির, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক রাশেদা ইসলাম, লাইন ডিরেক্টর (এনসিডিসি) অধ্যাপক মো. রোবেদ আমিন, অধ্যাপক কাজী তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।

back to top