alt

সারাদেশ

খুলনায় জলাবদ্ধতা, ৩৪২ কোটি টাকা ব্যয়ের সুফল নেই

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, খুলনা : রোববার, ২৮ মে ২০২৩

খুলনা সিটি করপোরেশনের ২০১৮ সালের নির্বাচনে সদ্য বিদায়ী মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের মূল প্রতিশ্রুতি ছিল জলাবদ্ধতা নিরসন। এজন্য প্রথমেই ৮২৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে চমক দেখান তিনি। এ প্রকল্পের আওতায় গত সাড়ে চার বছরে ৫১টি ড্রেনের কাজ শেষ হয়েছে। খরচ হয়েছে ৩৪২ কোটি টাকা। তবে খাল খনন ও ড্রেন নির্মাণের ৯১টি কাজ এখনও বাকি রয়েছে। এর মধ্যে সিটি নির্বাচন এসে গেছে।

এবারও প্রার্থী হয়েছেন তালুকদার আবদুল খালেক। তবে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের পরও জলাবদ্ধতার সমাধান করতে পারেননি খালেক। সামান্য বৃষ্টিতে এখনও তলিয়ে যাচ্ছে নগরের নিম্নাঞ্চল। প্রধান সড়কগুলোয় তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

এত টাকা ব্যয়ের পরও অল্প বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতায় ক্ষুব্ধ নগরবাসী। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম নিয়ে দুশ্চিন্তায় সবাই। বৃষ্টিতে নগরের রয়েল মোড়, খানজাহান আলী সড়ক, আহসান আহমেদ রোড, বাস্তুহারা, বাইতিপাড়া, চানমারী, লবণচরা, টুটপাড়া, মিস্ত্রিপাড়াসহ নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, ১০ বছর ধরে শুনে আসছি প্রকল্প শেষ হলে সব ঠিক হবে। ইতোমধ্যে ৩০০ কোটি টাকার কাজ শেষ হয়েছে, কিন্তু কোন সুফল মানুষ দেখতে পায়নি। এখন ৮২৩ কোটি টাকার প্রকল্প চলছে।

তিনি বলেন, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আগে সঠিক পরিকল্পনা জরুরি। অপরিকল্পিত কাজে শুধু টাকা খরচ হবে, মানুষের কোন উপকারে আসবে না।

স্থানীয়রা জানান, এর আগেও জলাবদ্ধতায় নাকাল হয়েছেন খুলনার মানুষ। জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনেক আন্দোলন হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ২০০৮-১৩ সালের প্রথম মেয়াদের শেষদিকে শত কোটি টাকার ‘নগর অঞ্চল উন্নয়ন’ প্রকল্প নিয়েছিলেন। ওই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন নির্মাণ ও খাল খনন করা হলেও জলাবদ্ধতা দূর হয়নি। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে খালেকের প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল জলাবদ্ধতা নিরসন।

খুলনা সিটি করপোরেশন থেকে জানা গেছে, গত মার্চ পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ৫০টি ড্রেন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়াসহ চলমান রয়েছে ৯১টি প্যাকেজের কাজ। তবে এর মধ্যে ৮৪টি প্যাকেজের কাজ এখনও শুরু হয়নি। করপোরেশনের গত মার্চ মাসের প্রতিবেদনে প্রকল্পের অগ্রগতি দেখানো হয়েছে ৪১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। খরচ দেখানো হয়েছে ৩৪২ কোটি টাকা। সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা জানান, ড্রেন নির্মাণ হলেও পানি নামার মূল পথের খালগুলো খনন ও সংস্কার করা হয়নি। বর্ষায় পানি নিষ্কাশনের জন্য পাম্প হাউস নির্মাণের কাজও শুরু হয়নি। এজন্য জলাবদ্ধতা কমছে না।

খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন একটা চেইন ওয়ার্ক। সাড়ে চার বছরে অনেক কাজ শেষ হলেও এখনও অনেক কাজ বাকি। বিশেষ করে পাম্পস্টেশন ও স্লুইসগেট সংস্কার করে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নগরবাসী এর সুফল পাবে। প্রকল্পের মেয়াদ আগামী জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে কাজ শেষ করতে আরও এক বছর লাগতে পারে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিদায়ী মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, এটি ধারাবাহিক কাজ। প্রকল্পের সব শেষ হলে জলাবদ্ধতা থাকবে না।

খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ বলেন, নগরের অধিকাংশ ড্রেনে সংস্কার চলছে। এজন্য বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনে দেরি হচ্ছে। তবে কোন স্থানে জলাবদ্ধতা হলে করপোরেশন পানি অপসারণের ব্যবস্থা করছে।

ছবি

তাহলে সততার কীসের মূল্যায়ন: গ্রেপ্তারের আগে আইভী

মানিকছড়ি হাসপাতালে জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

যাদুকাটা নদী খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

খোকসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালসহ দুজনকে জরিমানা

পাবনার হাট-বাজারে অপরিপক্ব টক লিচু বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

ছবি

ডিমলার নদ-নদীগুলো অবৈধ দখলে মরা খাল, আবাদি জমি

ঝালকাঠিতে ডাকাতি মামলায় ৯ জনের সশ্রম কারাদণ্ড

ছবি

মোরেলগঞ্জে সন্তানহারা মায়ের কান্না, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া

রাজশাহীতে মাদক ব্যবসায়ী আটক

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত

চাঁদপুরে পুকুর ভরাটের দায়ে জরিমানা

গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

ছবি

সিরাজগঞ্জে যমুনার ভাঙন আতঙ্কে তীরবর্তী মানুষ

করিমগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ গরুর মৃত্যু

ফরিদগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

৬ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯

ধর্মপাশায় গাছ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

সেনবাগে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

দুই জেলায় বৃদ্ধ ও কিশোরীর আত্মহত্যা

রামুর বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে চুরি-ডাকাতি : জনমনে আতঙ্ক

কালিহাতীতে ভেটেরিনারি দোকানে জরিমানা

ছবি

যশোরে আইন উপেক্ষা করে চলছে পুকুর ভরাট

ভুয়া পশু চিকিৎসকের কারাদণ্ড

ছবি

রাস্তা খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার দ্রুত পাকাকরণের দাবি

ছবি

রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম, ইউএনওর কাছে অভিযোগ

রায়গঞ্জে একই দিনে দুজনের আত্মহত্যা

প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ২০ লাখ টাকা লুট

ডিবি থেকে সরানো মল্লিক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি

সীমান্তবর্তী ৩৩ জেলায় পুলিশের বাড়তি সতর্কতা

ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রামগড় ও লক্ষীছড়িতে বিক্ষোভ

ছবি

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

রংপুর মেডিকেলে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম অকেজো, মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শক হতবাক

মাদারগঞ্জে অসময়ে যমুনার পানি বৃদ্ধি, নদীতে ১০ বসতভিটা বিলীন

ছবি

বিলুপ্তির পথে বুনোফল ‘আনাই’

tab

সারাদেশ

খুলনায় জলাবদ্ধতা, ৩৪২ কোটি টাকা ব্যয়ের সুফল নেই

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, খুলনা

রোববার, ২৮ মে ২০২৩

খুলনা সিটি করপোরেশনের ২০১৮ সালের নির্বাচনে সদ্য বিদায়ী মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের মূল প্রতিশ্রুতি ছিল জলাবদ্ধতা নিরসন। এজন্য প্রথমেই ৮২৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে চমক দেখান তিনি। এ প্রকল্পের আওতায় গত সাড়ে চার বছরে ৫১টি ড্রেনের কাজ শেষ হয়েছে। খরচ হয়েছে ৩৪২ কোটি টাকা। তবে খাল খনন ও ড্রেন নির্মাণের ৯১টি কাজ এখনও বাকি রয়েছে। এর মধ্যে সিটি নির্বাচন এসে গেছে।

এবারও প্রার্থী হয়েছেন তালুকদার আবদুল খালেক। তবে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের পরও জলাবদ্ধতার সমাধান করতে পারেননি খালেক। সামান্য বৃষ্টিতে এখনও তলিয়ে যাচ্ছে নগরের নিম্নাঞ্চল। প্রধান সড়কগুলোয় তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

এত টাকা ব্যয়ের পরও অল্প বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতায় ক্ষুব্ধ নগরবাসী। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম নিয়ে দুশ্চিন্তায় সবাই। বৃষ্টিতে নগরের রয়েল মোড়, খানজাহান আলী সড়ক, আহসান আহমেদ রোড, বাস্তুহারা, বাইতিপাড়া, চানমারী, লবণচরা, টুটপাড়া, মিস্ত্রিপাড়াসহ নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, ১০ বছর ধরে শুনে আসছি প্রকল্প শেষ হলে সব ঠিক হবে। ইতোমধ্যে ৩০০ কোটি টাকার কাজ শেষ হয়েছে, কিন্তু কোন সুফল মানুষ দেখতে পায়নি। এখন ৮২৩ কোটি টাকার প্রকল্প চলছে।

তিনি বলেন, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আগে সঠিক পরিকল্পনা জরুরি। অপরিকল্পিত কাজে শুধু টাকা খরচ হবে, মানুষের কোন উপকারে আসবে না।

স্থানীয়রা জানান, এর আগেও জলাবদ্ধতায় নাকাল হয়েছেন খুলনার মানুষ। জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনেক আন্দোলন হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ২০০৮-১৩ সালের প্রথম মেয়াদের শেষদিকে শত কোটি টাকার ‘নগর অঞ্চল উন্নয়ন’ প্রকল্প নিয়েছিলেন। ওই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন নির্মাণ ও খাল খনন করা হলেও জলাবদ্ধতা দূর হয়নি। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে খালেকের প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল জলাবদ্ধতা নিরসন।

খুলনা সিটি করপোরেশন থেকে জানা গেছে, গত মার্চ পর্যন্ত জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ৫০টি ড্রেন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়াসহ চলমান রয়েছে ৯১টি প্যাকেজের কাজ। তবে এর মধ্যে ৮৪টি প্যাকেজের কাজ এখনও শুরু হয়নি। করপোরেশনের গত মার্চ মাসের প্রতিবেদনে প্রকল্পের অগ্রগতি দেখানো হয়েছে ৪১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। খরচ দেখানো হয়েছে ৩৪২ কোটি টাকা। সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা জানান, ড্রেন নির্মাণ হলেও পানি নামার মূল পথের খালগুলো খনন ও সংস্কার করা হয়নি। বর্ষায় পানি নিষ্কাশনের জন্য পাম্প হাউস নির্মাণের কাজও শুরু হয়নি। এজন্য জলাবদ্ধতা কমছে না।

খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন একটা চেইন ওয়ার্ক। সাড়ে চার বছরে অনেক কাজ শেষ হলেও এখনও অনেক কাজ বাকি। বিশেষ করে পাম্পস্টেশন ও স্লুইসগেট সংস্কার করে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নগরবাসী এর সুফল পাবে। প্রকল্পের মেয়াদ আগামী জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে কাজ শেষ করতে আরও এক বছর লাগতে পারে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিদায়ী মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, এটি ধারাবাহিক কাজ। প্রকল্পের সব শেষ হলে জলাবদ্ধতা থাকবে না।

খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ বলেন, নগরের অধিকাংশ ড্রেনে সংস্কার চলছে। এজন্য বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনে দেরি হচ্ছে। তবে কোন স্থানে জলাবদ্ধতা হলে করপোরেশন পানি অপসারণের ব্যবস্থা করছে।

back to top