রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কিশামত হাবু গ্রামে শারীরক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে তিন দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামিসহ তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।
অন্যদিকে আসামিরা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ার পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী তরুণীর বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে স্বজনদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আসামিরা হলেন, ইকবাল হোসেন পিতা আয়নাল মিয়া মোকসেদুল মমিন ওরফে পচা পিতা মকবুল হোসেন, আমজাদ হোসেন পিতা আজিজার রহমান সবার বাড়ি কিশামত হাবু উপজেলা গঙ্গাচড়া রংপুর।
পুলিশ জানায়, কিশামত হাবু গ্রামের সাজু মিয়া পিতা আব্দুল হাদী তার ভাগ্নি রংপুর নগরীর বুড়িরহাট ডাক্তার পাড়া গ্রামের হানিফ মিয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ছোট থেকে তাদের বাড়িতে রেখে লালনপালন করে আসছে। একই গ্রামের আসামি ইকবাল হোসেন মোকসেদুল মমিন বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবন্ধী ভাগ্নিকে প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি প্রতিবন্ধী মেয়েটি তার মামাকে জানালে এ ব্যাপারে আসামিদের স্বজনদের কাছে বিচার দাবি করে। গত ২৭ মে শনিবার রাত ৯টার দিকে বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় আসামি ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাড়ির অদূরে বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে উপযুপুরি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
এ সময় প্রতিবন্ধী যুবতী মেয়েটি চিৎকার করে জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়ে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার পর ধর্ষণকারী ও তার স্বজনরা এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে। তারা বাড়ির সামনে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পালাক্রমে পাহারা বসিয়েছে বলে ধর্ষিতার মামা সাজু মিয়া অভিযোগ করেন।
অবশেষে কোন রকমে বাসা থেকে বের হয়ে গত সোমবার বিকেলে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় গিয়ে প্রধান আসামিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রতিবন্ধী যুবতীর মামা সাজু মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি তদন্ত মমতাজুল হকের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন মামলা দায়ের করার পর গত সোমবার রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ তিন দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কিশামত হাবু গ্রামে শারীরক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে তিন দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামিসহ তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।
অন্যদিকে আসামিরা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ার পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী তরুণীর বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে স্বজনদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আসামিরা হলেন, ইকবাল হোসেন পিতা আয়নাল মিয়া মোকসেদুল মমিন ওরফে পচা পিতা মকবুল হোসেন, আমজাদ হোসেন পিতা আজিজার রহমান সবার বাড়ি কিশামত হাবু উপজেলা গঙ্গাচড়া রংপুর।
পুলিশ জানায়, কিশামত হাবু গ্রামের সাজু মিয়া পিতা আব্দুল হাদী তার ভাগ্নি রংপুর নগরীর বুড়িরহাট ডাক্তার পাড়া গ্রামের হানিফ মিয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ছোট থেকে তাদের বাড়িতে রেখে লালনপালন করে আসছে। একই গ্রামের আসামি ইকবাল হোসেন মোকসেদুল মমিন বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবন্ধী ভাগ্নিকে প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার জন্য বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি প্রতিবন্ধী মেয়েটি তার মামাকে জানালে এ ব্যাপারে আসামিদের স্বজনদের কাছে বিচার দাবি করে। গত ২৭ মে শনিবার রাত ৯টার দিকে বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় আসামি ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাড়ির অদূরে বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে উপযুপুরি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
এ সময় প্রতিবন্ধী যুবতী মেয়েটি চিৎকার করে জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়ে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার পর ধর্ষণকারী ও তার স্বজনরা এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যা করার হুমকি প্রদান করে। তারা বাড়ির সামনে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পালাক্রমে পাহারা বসিয়েছে বলে ধর্ষিতার মামা সাজু মিয়া অভিযোগ করেন।
অবশেষে কোন রকমে বাসা থেকে বের হয়ে গত সোমবার বিকেলে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় গিয়ে প্রধান আসামিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রতিবন্ধী যুবতীর মামা সাজু মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি তদন্ত মমতাজুল হকের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন মামলা দায়ের করার পর গত সোমবার রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিসহ তিন দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।