alt

স্ত্রীকে ভারতে পাচার : স্বামীর ১৫ বছর কারাদন্ড

সংবাদদাতা, সাতক্ষীরা : বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে ভারতে পীরের মাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাচার ও বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী শচীন্দ্রনাথ মন্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিলকে ১৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সাতক্ষীরা আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম এ আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি শচীন্দ্রনাথ মন্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিল (৫২) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চুনাখালি গ্রামের কিশোরী মোহন মন্ডলের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের মার্চ মাসে শ্যামনগরের চুনাখালি গ্রামের শচীন্দ্রনাথ মন্ডল ধর্মান্তরিত হয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার খড়িতলা গ্রামের আরশাদ আলী শেখের মেয়ে আফরোজা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শচীন্দ্রনাথ মন্ডলের নাম হয় ইব্রাহীম খলিল। ভারতে পীরের মাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্থানীয় সুশান্ত মন্ডল বাচ্চু, সুশীত ওরফে বড়চুন্নু, সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ ও নিমাই বাগদীর সহযোগিতায় ওই বছরের ৩০ মে রাত সাড়ে সাতটার দিকে ইছামতী নদী পার করে আফরোজাকে ভারতে নিয়ে যায়। পরে তাকে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে চলে যায় সে।

সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে দেশে ফিরে ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শচীন্দ্রনাথ মন্ডলসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আফরোজা কালিগঞ্জ থানায় একটি মানবপাচারের মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সব আসামিকে গ্রেফতার করলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক লস্কর জায়াদুল হক এজাহারভুক্ত ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ২০১০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা নিমাই বাগদীকে পুলিশ ২০২২ সালের ডিসম্বের মাসে গ্রেফতার করে।

মামলার ১০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে পলাতক আসামি শচীন্দ্রনাথ মন্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিলের বিরুদ্ধে আফরোজাকে ভারতে পাচারের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে মানবপাচার আইনের ৫(১) ধারায় ১৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কাঠগড়ায় থাকা নিমাই বাগদীসহ অপর পলাতক চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

পলাতক আসামিদের পক্ষে সহায়তা করেন (স্টেট ডিফেন্স) লিগ্যাল এইডের আইনজীবী অ্যাড. বসির আহম্মেদ। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাড. এসএম জহুরুল হায়দার বাবু।

মহেশপুরে গাঁজাসহ ৩ বাংলাদেশি আটক

করিমগঞ্জে মাদকাসক্ত ছেলের ছুরিকাঘাতে পিতার মৃত্যু

পাঁচবিবিতে ঝগড়া থামাতে গিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

বান্দরবানে হাফ হিল ম্যারাথন

ছবি

মোহনগঞ্জে মাঠজুড়ে সবুজ ধানের স্নিগ্ধ হাসি

ছবি

যশোরে অটোরাইস মিলের আগুনে দুই শ্রমিক আহত

ছবি

কন্যারকুম পয়েন্টে খাল খনন শুরু, নতুন স্বপ্ন দেখছেন চকরিয়ার কৃষকরা

ছবি

কালীগঞ্জে জৈব সার উৎপাদনে অনুপ্রেরণার নাম কামরুজ্জামান

ছবি

বান্দরবান পৌরসভার উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে অপরিকল্পিতভাবে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ

ছবি

গৌরীপুর দুই প্রতিষ্ঠানে পাশের হার শূন্য

ছবি

সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দখল করে ইট-বালুর ব্যবসা

ছবি

পরকিয়া প্রেমিকের ছুরিঘাতে গৃহবধূর মৃত্যু

ছবি

চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেখে যাওয়া তরুণীর লাশের পরিচয় খুঁজছে পুলিশ

ছবি

মোংলায় পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ বিক্রেতা আটক

ছবি

টিকা নেয়ার জন্য শিশু ও অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ

ছবি

নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মৎস্য আহরণের চেষ্টায় ২টি ট্রলার ও ট্রাক আটক

ছবি

হবিগঞ্জ সাতছড়ি উদ্যানে ডাকাতির চেষ্টা, রুখে দিল বিজিবি

ছবি

বোয়ালখালীতে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ সার বিতরণ

ছবি

খেলাধুলা মানুষকে মাদক থেকে দূরে রাখে -জেলা প্রশাসক

ছবি

ধামরাইয়ে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু

ছবি

ভোলার ফেরি ও লাঞ্চঘাটে মাদকবিরোধী মানববন্ধন ও র‌্যালি

ছবি

কেশবপুরে পত্রিকায় খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিককে মারপিট, আটক ২

ছবি

সাঘাটায় সাপের কামড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

ছবি

মধুপুর গড়ে পাতার বিড়ি এখন শুধুই স্মৃতি, বিলুপ্তির পথে গাদিলা বৃক্ষ

ছবি

নোয়াখালীতে আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং

ছবি

রাজশাহীতে লালনের ১৩৫তম তিরোধান দিবস পালিত

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে লাইসেন্স নিয়ে বালু ভরাটের অভিযোগ

ছবি

গৌরীপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ভুয়া ওষুধ কোম্পানীর সন্ধান

ছবি

দামুড়হুদায় ভুট্টা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা

ছবি

লালপুরে গ্রাম পুলিশ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

টাঙ্গাইলের সাত কলেজে শতভাগ ফেল

ছবি

দশমিনায় বাড়ছে মালচিং পদ্ধতিতে বারমাসি তরমুজ চাষ

ছবি

গজারিয়া মহাসড়কের চারটি ইউটার্ণ যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

২০ শিক্ষার্থীর ১৪ শিক্ষক তবুও সবাই ফেল

ছবি

জয়পুরহাটে নানা আয়োজনে লালন তিরোধান দিবস পালিত

tab

স্ত্রীকে ভারতে পাচার : স্বামীর ১৫ বছর কারাদন্ড

সংবাদদাতা, সাতক্ষীরা

বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে ভারতে পীরের মাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাচার ও বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী শচীন্দ্রনাথ মন্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিলকে ১৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সাতক্ষীরা আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম এ আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি শচীন্দ্রনাথ মন্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিল (৫২) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চুনাখালি গ্রামের কিশোরী মোহন মন্ডলের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের মার্চ মাসে শ্যামনগরের চুনাখালি গ্রামের শচীন্দ্রনাথ মন্ডল ধর্মান্তরিত হয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার খড়িতলা গ্রামের আরশাদ আলী শেখের মেয়ে আফরোজা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর শচীন্দ্রনাথ মন্ডলের নাম হয় ইব্রাহীম খলিল। ভারতে পীরের মাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে স্থানীয় সুশান্ত মন্ডল বাচ্চু, সুশীত ওরফে বড়চুন্নু, সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ ও নিমাই বাগদীর সহযোগিতায় ওই বছরের ৩০ মে রাত সাড়ে সাতটার দিকে ইছামতী নদী পার করে আফরোজাকে ভারতে নিয়ে যায়। পরে তাকে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে চলে যায় সে।

সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে দেশে ফিরে ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শচীন্দ্রনাথ মন্ডলসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আফরোজা কালিগঞ্জ থানায় একটি মানবপাচারের মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সব আসামিকে গ্রেফতার করলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক লস্কর জায়াদুল হক এজাহারভুক্ত ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ২০১০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা নিমাই বাগদীকে পুলিশ ২০২২ সালের ডিসম্বের মাসে গ্রেফতার করে।

মামলার ১০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে পলাতক আসামি শচীন্দ্রনাথ মন্ডল ওরফে ইব্রাহীম খলিলের বিরুদ্ধে আফরোজাকে ভারতে পাচারের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে মানবপাচার আইনের ৫(১) ধারায় ১৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কাঠগড়ায় থাকা নিমাই বাগদীসহ অপর পলাতক চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

পলাতক আসামিদের পক্ষে সহায়তা করেন (স্টেট ডিফেন্স) লিগ্যাল এইডের আইনজীবী অ্যাড. বসির আহম্মেদ। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাড. এসএম জহুরুল হায়দার বাবু।

back to top