‘বর্ষাকালীন ৩৫টা লাউগাছ লাগাইছাম পুকুর পাড়ে। সে গাছের লাউ বেচার ৭০ হাজার টেহা দিয়া বাজার তাইকা গাই বাছুর কিনলাম।’
কথাগুলো বলেছেন, নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা কান্দিউড়া ইউনিয়নের তারাকান্দিয়া গ্রামের কৃষক রতন মিয়া।
পাশ্ববর্তী মহল্লার এক কৃষকের কাছ থেকে একটি পুকুর লিজ নিয়ে, সেই পুকুর পাড়ে বর্ষাকালীন লাউ চাষ করে সফল কৃষক রতন মিয়া।
মাচা পদ্ধতিতে পুকুরে পানির উপর বাঁশ ও সুতা দিয়ে মাচা তৈরি করে, সেই মাচার লাউগাছের লাউ বিক্রি করে তিনি লাভবান হয়েছে।
কৃষক রতন মিয়া বলেন, দুই বছরের জন্য পুকুরটি ৪৫ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে লাউ গাছ লাগিয়ে শুধু লাউ বিক্রির টাকা দিয়ে প্রথম বছরে তিনি পুকুরে লিজের টাকা পরিশোধ করেছেন।
পুকুরে মাছ বিক্রির টাকা হাতে রয়েছে। চলতি সময়ে ৭০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করে একটি বাছুরসহ গাভি কিনেছেন তিনি।
বর্তমান সময়ে বাজারে প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টাকার উপরে লাউ বিক্রি করছেন।
পাশ্ববর্তী মহল্লার কৃষক হিরন মিয়া, মাজু মিয়া, কৃষাণী হুসনা, পেয়ারা বানু বলেন, রতন মিয়া একজন সফল চাষী তার গাছের লাউ বেশ ভালো বাজারের চেয়ে দামেও কিছুটা সস্তা। এছাড়া কৃষক রতন মিয়া সারা বছর কোন কোন শাকসবজি চাষ করে সফল হয়েছেন।
তিনি বলেন, কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা পেলে তারা আরো ভাল কিছু করতে পারবেন এবং সফল কৃষক হতে পারবেন বলে মনে করেন। তবে যা কিছুতারা চাষ করেন তা নিজেদের ইচ্ছে এবং বুদ্ধিতে তাই কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
‘বর্ষাকালীন ৩৫টা লাউগাছ লাগাইছাম পুকুর পাড়ে। সে গাছের লাউ বেচার ৭০ হাজার টেহা দিয়া বাজার তাইকা গাই বাছুর কিনলাম।’
কথাগুলো বলেছেন, নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা কান্দিউড়া ইউনিয়নের তারাকান্দিয়া গ্রামের কৃষক রতন মিয়া।
পাশ্ববর্তী মহল্লার এক কৃষকের কাছ থেকে একটি পুকুর লিজ নিয়ে, সেই পুকুর পাড়ে বর্ষাকালীন লাউ চাষ করে সফল কৃষক রতন মিয়া।
মাচা পদ্ধতিতে পুকুরে পানির উপর বাঁশ ও সুতা দিয়ে মাচা তৈরি করে, সেই মাচার লাউগাছের লাউ বিক্রি করে তিনি লাভবান হয়েছে।
কৃষক রতন মিয়া বলেন, দুই বছরের জন্য পুকুরটি ৪৫ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে লাউ গাছ লাগিয়ে শুধু লাউ বিক্রির টাকা দিয়ে প্রথম বছরে তিনি পুকুরে লিজের টাকা পরিশোধ করেছেন।
পুকুরে মাছ বিক্রির টাকা হাতে রয়েছে। চলতি সময়ে ৭০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করে একটি বাছুরসহ গাভি কিনেছেন তিনি।
বর্তমান সময়ে বাজারে প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টাকার উপরে লাউ বিক্রি করছেন।
পাশ্ববর্তী মহল্লার কৃষক হিরন মিয়া, মাজু মিয়া, কৃষাণী হুসনা, পেয়ারা বানু বলেন, রতন মিয়া একজন সফল চাষী তার গাছের লাউ বেশ ভালো বাজারের চেয়ে দামেও কিছুটা সস্তা। এছাড়া কৃষক রতন মিয়া সারা বছর কোন কোন শাকসবজি চাষ করে সফল হয়েছেন।
তিনি বলেন, কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা পেলে তারা আরো ভাল কিছু করতে পারবেন এবং সফল কৃষক হতে পারবেন বলে মনে করেন। তবে যা কিছুতারা চাষ করেন তা নিজেদের ইচ্ছে এবং বুদ্ধিতে তাই কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।