আত্রাই (নওগাঁ) : অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে চলছে তিন ফসলী জমিতে পুকুর খনন -সংবাদ
নওগাঁর আত্রাইয়ে দেদারসে চলছে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন। স্থানীয় কিছু ক্ষমতাবান ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এই পুকুর খনন। তিন ফসলি জমিতে কোন পুকুর খনন করা যাবে না, উচ্চ আদালতের এমন নির্দেশ থাকলেও, তা অমান্য করে হরহারমসাই উপজেলায় চলছে পুকুর খননের কাজ। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন তিন ফসলী জমিতে চলছে এই পুকুর খনন। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, বলে অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে তিন ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খননের কাজ। এই পুকুর খননের কারণে একদিকে কমছে ফসলি জমির পরিমাণ, অন্যদিকে এই মাটি বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করার জন্য নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। তাতে করে অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই সড়কগুলো; সড়কে মাটি পড়ে অল্প বৃষ্টি হলেই ঘটছে নানা দূর্ঘটনা। এমনকি অনেক সময় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। আত্রাই উপজেলায় মোট ২৮৩৭টি বেসরকারি এবং ২২৪টি সরকারি পুকুর রয়েছে। তবুও প্রতিনিয়ত যেভাবে পুকুর খনন বাড়ছে, তাতে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে কৃষি জমি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার মনিয়ারি ইউনিয়নের এক কৃষক জানান, আমাদের এই ইউনিয়নে অনেক তিন ফসলির মাঠে অবাধে পুকুর খননের কাজ চলছে। এ বিষয়ে অনেকবার উনিয়ন ভূমি অফিসে জানানো হলেও, তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না। অমার মনে হয়, মাটি ব্যবসায়ীরা তাদেরকে ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করে। হাটকালু পাড়াই উনিয়নের আরেক কৃষক জানান, হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গিপাড়া গ্রামের উত্তর বিল কাজির ডাক মাঠে বিশ বিঘার এক তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন চলছে। তবে ভেকুর মালিক ক্ষমতাবান হওয়ায়, তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। তারাও অনেক চালাক! দিনে মেশিন বন্ধ করে রাখে, আর রাত হলেই আবার চালু করে। এসকল অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকতেখারংল ইসলাম বলেন, এই ব্যাপারটি আমার জানা ছিলো না। বিষয়টি আমি খুব শীঘ্রই যথাসম্ভব খতিয়ে দেখছি।
আত্রাই (নওগাঁ) : অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে চলছে তিন ফসলী জমিতে পুকুর খনন -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩
নওগাঁর আত্রাইয়ে দেদারসে চলছে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন। স্থানীয় কিছু ক্ষমতাবান ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এই পুকুর খনন। তিন ফসলি জমিতে কোন পুকুর খনন করা যাবে না, উচ্চ আদালতের এমন নির্দেশ থাকলেও, তা অমান্য করে হরহারমসাই উপজেলায় চলছে পুকুর খননের কাজ। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন তিন ফসলী জমিতে চলছে এই পুকুর খনন। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, বলে অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে তিন ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খননের কাজ। এই পুকুর খননের কারণে একদিকে কমছে ফসলি জমির পরিমাণ, অন্যদিকে এই মাটি বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করার জন্য নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। তাতে করে অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই সড়কগুলো; সড়কে মাটি পড়ে অল্প বৃষ্টি হলেই ঘটছে নানা দূর্ঘটনা। এমনকি অনেক সময় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। আত্রাই উপজেলায় মোট ২৮৩৭টি বেসরকারি এবং ২২৪টি সরকারি পুকুর রয়েছে। তবুও প্রতিনিয়ত যেভাবে পুকুর খনন বাড়ছে, তাতে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে কৃষি জমি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার মনিয়ারি ইউনিয়নের এক কৃষক জানান, আমাদের এই ইউনিয়নে অনেক তিন ফসলির মাঠে অবাধে পুকুর খননের কাজ চলছে। এ বিষয়ে অনেকবার উনিয়ন ভূমি অফিসে জানানো হলেও, তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না। অমার মনে হয়, মাটি ব্যবসায়ীরা তাদেরকে ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করে। হাটকালু পাড়াই উনিয়নের আরেক কৃষক জানান, হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গিপাড়া গ্রামের উত্তর বিল কাজির ডাক মাঠে বিশ বিঘার এক তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন চলছে। তবে ভেকুর মালিক ক্ষমতাবান হওয়ায়, তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। তারাও অনেক চালাক! দিনে মেশিন বন্ধ করে রাখে, আর রাত হলেই আবার চালু করে। এসকল অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকতেখারংল ইসলাম বলেন, এই ব্যাপারটি আমার জানা ছিলো না। বিষয়টি আমি খুব শীঘ্রই যথাসম্ভব খতিয়ে দেখছি।