পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ধর্ষণের লোকলজ্জা এড়াতে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৭ জুন) গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (৬ জুন) ভোরে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পরে একই দিন সন্ধ্যায় এ ঘটনায় মারুফার মা মাসুমা বেগম গলাচিপা থানায় কামালকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। রোববার (৪ জুন) ঘরে ফাঁস দেওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের কোটখালী গ্রামের মৃত আবু সালেহর মেয়ে মারুফা আক্তার (১৬)। তিনি এবার বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. কামাল হোসেন ওরফে নুহুকে (৪৩)। তিনি দুই সন্তানের জনক এবং স্থানীয় কোটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
পারিবারিক সূত্র এবং মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী কামাল বিবাহিত হলেও দীর্ঘদিন ধরে মারুফাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি নিরসনে পারিবারিকভাবে চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। উল্টো মারুফাকে হুমকি দেওয়া হতো। এরই জের ধরে মারুফা গত রোববার তার পরিবারকে জানায় যে, কামাল দুই দিন পূর্বে ঘরের পাশে বাগানে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে মারুফা লোকলজ্জা এড়াতে ওই দিনই সন্ধ্যার পরে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় মারুফাকে উদ্ধার করে প্রথমে গলাচিপা হাসপাতালে ও পরে সংকটাপন্ন অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারুফা মারা যান।
ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার আসামি কামাল পলাতক রয়েছে।
বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় ধর্ষণের লোকলজ্জা এড়াতে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৭ জুন) গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (৬ জুন) ভোরে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। পরে একই দিন সন্ধ্যায় এ ঘটনায় মারুফার মা মাসুমা বেগম গলাচিপা থানায় কামালকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। রোববার (৪ জুন) ঘরে ফাঁস দেওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের কোটখালী গ্রামের মৃত আবু সালেহর মেয়ে মারুফা আক্তার (১৬)। তিনি এবার বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. কামাল হোসেন ওরফে নুহুকে (৪৩)। তিনি দুই সন্তানের জনক এবং স্থানীয় কোটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
পারিবারিক সূত্র এবং মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী কামাল বিবাহিত হলেও দীর্ঘদিন ধরে মারুফাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি নিরসনে পারিবারিকভাবে চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। উল্টো মারুফাকে হুমকি দেওয়া হতো। এরই জের ধরে মারুফা গত রোববার তার পরিবারকে জানায় যে, কামাল দুই দিন পূর্বে ঘরের পাশে বাগানে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে মারুফা লোকলজ্জা এড়াতে ওই দিনই সন্ধ্যার পরে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় মারুফাকে উদ্ধার করে প্রথমে গলাচিপা হাসপাতালে ও পরে সংকটাপন্ন অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারুফা মারা যান।
ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার আসামি কামাল পলাতক রয়েছে।