alt

সিরাজগঞ্জে নানা সমস্যায় বন্ধ লক্ষাধিক তাঁত কারখানা

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ ন : বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩

সিরাজগঞ্জ : তাঁত কারখানায় কর্মরত এক শ্রমিক -সংবাদ

লোডশেডিং, উৎপাদিত কাপড় বিক্রী করতে না পারা ও শ্রমিক সংকটের কারণে সিরাজগঞ্জের তাঁত কারখানাগুলোতে উৎপাদনে ধস নেমেছে। বিদ্যুতের লোড শেডিং তৈরীকৃত কাপড় বিক্রী করতে না পারা ও শ্রমিক না থাকায় অধিকাংশ তাঁত কারখানা বন্ধের উপক্রম। বেকার হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার শ্রমিক পাশাপাশি আবার অনেকেই পেশা বড়ল করে অন্য পেশায় যাচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে আগে যেখানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করতেন এখন সেখানে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এতে শাড়ি, লুঙ্গি, ও গামছা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আবার যতটুকু উৎপাদন হচ্ছে তাও হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে না বলে তাঁত মালিকেরা জানিয়েছেন। যে কারণে বাধ্য অনেকে তাঁত কারখানা বন্ধ রাখছেন। আবার বর্তমান সুতার বাজারমূল্য যা রয়েছে তাতে কাপড় উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। এতে করে এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁত মালিক সূত্রে জানা গেছে জেলার ৩ লাখ তাঁত কারখানার মধ্যে ইতোমধ্যে ১ লাখ কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। আবার কারখানা মালিকেরা ডিজেল চালিত জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ দিয়ে তাঁত কারখানা সচল রাখার চেষ্টা করলেও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কারখানা সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁত মালিকদের বিদ্যুৎ বিলও দিতে হচ্ছে আবার জেনারেটরও চালাতে হচ্ছে। এতে শাড়ি, লুঙ্গি, ও গামছা উৎপাদনে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে তাঁত মালিকদের। অপরদিকে, তাঁত শিল্পের এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকেরা। পরিবার নিয়ে শ্রমিকদের কোনোমতে দিন কাটছে। শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, মহাজন কাপড় বেচতে পারে না, তাই কারখানার শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে। আগে সারা দিনে একজন শ্রমিক ৭০০-৮০০ টাকার কাজ করতেন। এখন সারা দিনে একজন শ্রমিক ৩০০-৪০০ টাকার কাজ করছেন। এ অবস্থায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন শ্রমিকরা।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তাঁত মালিক হাজী মো.আবু শাহীন প্রামাণিক বলেন, তাঁত মালিক হিসেবে বর্তমানে আমরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছি। দিনের বেলায় ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এ সময় তেল, ডিজেল দিয়ে জেনারেটর এর সাহায্যে কাপড় উৎপাদন করতে গেলে প্রচুর খরচ বেড়ে যায় এবং শ্রমিক থাকে না। বর্তমানে কাপড় ব্যবসায়ীরা লোকসানে রয়েছে। এর পর শ্রমিক সংকট রয়েছে। শ্রমিকের অভাবে কাপড় উৎপাদন করা যাচ্ছে না।

বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামের শ্রমিক শাহ আলম বলেন,বর্তমানে তাঁত শিল্পের অবস্থা ভালো না। ঈদের আগ থেকেই মহাজনের কেনাবেচা ভালো না । মহাজন কাপড় বেচতে পারে না এ জন্য কারখানার শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। আগে সারা দিনে ৭০০-৮০০ টাকা কাজ হয়েছে। এখন সারা দিনে ৩০০-৪০০ টাকা হয় না। বিল চাইলে কয় কাপড় বেচতে পারি নাই।

বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সিরাজগঞ্জের বেলকুচিচৌহালী উপজেলার লিয়াজোঁ অফিসার তন্বী বলেন, ‘আমরা তাঁতিদের স্বাবলম্বী করতে তাদের লোন দিয়ে থাকি। আগে আমাদের লোন ছিল ১৩ হাজার টাকা। এখন আমরা সেই লোন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দিচ্ছি। ১৯টি তাঁত যাদের আছে তারা প্রান্তিক তাঁতি। তাদের জন্য আমরা লোনের ব্যবস্থা করেছি। তাঁতিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। দুর্যোগ সময়ে তাদের সহযোগিতা করে থাকি।

বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সিরাজগঞ্জের লিয়াজো অফিসার (অতিঃ ) মিঠুন কুমার বসাক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত মালিকদের ঋণ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান , সিরাজগঞ্জ বেসিক সেন্টারের আওতায় আর্থসামাজিক ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই ৭ শ প্রান্তিক তাঁত মালিককে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা করে ঋণ দেয়া হয়েছে ।

বেলকুচি উপজেলা পাওয়ার লুম এ্যাসোসিয়েসনের সাধারণ সম্পাদক বৈদ্যনাথ রায় জানান , তাঁত প্য বেচা কেনা নেই বললেই চলে । কাপড় বিক্রী করতে নাপেরে অনেকেই তাদের তাঁত কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে । জেলায় লাখ খানেক প্রান্তিক তাঁত মালিক তাদের কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে । পুঁজি সংকটে আরো অনেক তাঁত বন্ধের পথে । এ অবস্থায় সরকারের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন সরকার যদি তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে চায় তাহলে তাঁত মালিকদের জন্য একটি তাঁত ব্যাংক করা প্রয়োজন।এই ব্যাংকের মাধ্যমে তাঁতিদের স্বল্প সুদে যদি তাঁত লোন দেওয়া হয় তাহলে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।

ছবি

দুর্গাপূজায় তিন স্তরে নিরাপত্তা, প্রয়োজনে ৯৯৯

ছবি

১৭ বিয়ের অভিযোগ ওঠা আলোচিত বন কর্মকর্তা সাময়িক বহিষ্কার

ছবি

জুলাই শহীদদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছবি

না’গঞ্জে ইজিবাইক চালক ও শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ, আহত ১২

ছবি

চোখ রাঙানি বাড়ছেই এডিসের, কমছে না ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

ছবি

দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি, আটকে আছেন ১৭৮ যাত্রী

ছবি

বিআরটিসি বাস চালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

দাফনের পূর্বে শিশুর নড়াচড়া, হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আটক

ছবি

পাঙ্গাস মাছের পায়েস, দুই ভাই ভাইরাল

ছবি

অফিস-কমিটি-মাঠ সবই আছে, নেই শুধু খেলার আয়োজন

ছবি

সরকারি মতিলাল ডিগ্রি কলেজে খণ্ডকালীন দিয়ে চলছে পাঠদান

ছবি

অনুপস্থিত থেকেও নিচ্ছেন বেতন-ভাতা

ছবি

নির্মাণের ১৪ মাসেও চালু হয়নি বরুড়ায় ২০ শয্যার হাসপাতাল

ছবি

দুমকিতে দূর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

ছবি

পটিয়ায় অস্ত্রের মুখে মুরগি ব্যবসায়ী অপহরণের দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

ছবি

সখীপুরে ৮ মাসে ২৪০ জনকে সর্প দংশন, হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম

ছবি

শারদীয় দুর্গোৎসবে শ্রীমঙ্গলে জমজমাট পোশাকের বাজার

ছবি

বাক প্রতিবন্ধী মাসুম জীবনযুদ্ধে জয়ী, যা সবার অনুকরনীয়

ছবি

রাজশাহীতে ডাকাতির লুণ্ঠিত মালামালসহ আটক ৮

ছবি

জগন্নাথপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনা খরচে মিলছে ডেলিভারি সেবা

ছবি

গোপালগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় চালকের সহকারী নিহত

ছবি

বাগেরহাটে মহাসড়কে প্রাণ গেল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার

ছবি

চুনারুঘাটে ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোর আটক

ছবি

সিরাজগঞ্জে বাবাকে হত্যায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড

ছবি

আদমদীঘিতে ১ বছর ধরে বেতন বন্ধ খন্ডকালিন ৫ শিক্ষক-কর্মচারির

ছবি

অবৈধভাবে ভারত থেকে ফেরার পথে ৩ বাংলাদেশি আটক

ছবি

ঈশ্বরদীতে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

ছবি

শিবগঞ্জে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

সিরাজদিখানে সড়ক পাকা করার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গরু জব্দ

ছবি

ডিমলায় হিসাবরক্ষণ অফিসে সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তি

ছবি

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে জামাতের প্রার্থীর ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ

ছবি

কালিগঙ্গায় বালু লুট থামছে না

ছবি

ভৈরবে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বার্ষিক সাধারণ সভা

ছবি

ঝিনাইগাতীতে জানজট নিরসনে সক্রিয় ভিডিপির জিলন মিয়া

ছবি

ট্রাকের ধাক্কায় মা-মেয়ে নিহত

tab

সিরাজগঞ্জে নানা সমস্যায় বন্ধ লক্ষাধিক তাঁত কারখানা

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ ন

সিরাজগঞ্জ : তাঁত কারখানায় কর্মরত এক শ্রমিক -সংবাদ

বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩

লোডশেডিং, উৎপাদিত কাপড় বিক্রী করতে না পারা ও শ্রমিক সংকটের কারণে সিরাজগঞ্জের তাঁত কারখানাগুলোতে উৎপাদনে ধস নেমেছে। বিদ্যুতের লোড শেডিং তৈরীকৃত কাপড় বিক্রী করতে না পারা ও শ্রমিক না থাকায় অধিকাংশ তাঁত কারখানা বন্ধের উপক্রম। বেকার হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার শ্রমিক পাশাপাশি আবার অনেকেই পেশা বড়ল করে অন্য পেশায় যাচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে আগে যেখানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করতেন এখন সেখানে ৩ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এতে শাড়ি, লুঙ্গি, ও গামছা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আবার যতটুকু উৎপাদন হচ্ছে তাও হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে না বলে তাঁত মালিকেরা জানিয়েছেন। যে কারণে বাধ্য অনেকে তাঁত কারখানা বন্ধ রাখছেন। আবার বর্তমান সুতার বাজারমূল্য যা রয়েছে তাতে কাপড় উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। এতে করে এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁত মালিক সূত্রে জানা গেছে জেলার ৩ লাখ তাঁত কারখানার মধ্যে ইতোমধ্যে ১ লাখ কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। আবার কারখানা মালিকেরা ডিজেল চালিত জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ দিয়ে তাঁত কারখানা সচল রাখার চেষ্টা করলেও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কারখানা সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাঁত মালিকদের বিদ্যুৎ বিলও দিতে হচ্ছে আবার জেনারেটরও চালাতে হচ্ছে। এতে শাড়ি, লুঙ্গি, ও গামছা উৎপাদনে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে তাঁত মালিকদের। অপরদিকে, তাঁত শিল্পের এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকেরা। পরিবার নিয়ে শ্রমিকদের কোনোমতে দিন কাটছে। শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, মহাজন কাপড় বেচতে পারে না, তাই কারখানার শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে। আগে সারা দিনে একজন শ্রমিক ৭০০-৮০০ টাকার কাজ করতেন। এখন সারা দিনে একজন শ্রমিক ৩০০-৪০০ টাকার কাজ করছেন। এ অবস্থায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন শ্রমিকরা।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তাঁত মালিক হাজী মো.আবু শাহীন প্রামাণিক বলেন, তাঁত মালিক হিসেবে বর্তমানে আমরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছি। দিনের বেলায় ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এ সময় তেল, ডিজেল দিয়ে জেনারেটর এর সাহায্যে কাপড় উৎপাদন করতে গেলে প্রচুর খরচ বেড়ে যায় এবং শ্রমিক থাকে না। বর্তমানে কাপড় ব্যবসায়ীরা লোকসানে রয়েছে। এর পর শ্রমিক সংকট রয়েছে। শ্রমিকের অভাবে কাপড় উৎপাদন করা যাচ্ছে না।

বেলকুচি উপজেলার তামাই গ্রামের শ্রমিক শাহ আলম বলেন,বর্তমানে তাঁত শিল্পের অবস্থা ভালো না। ঈদের আগ থেকেই মহাজনের কেনাবেচা ভালো না । মহাজন কাপড় বেচতে পারে না এ জন্য কারখানার শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। আগে সারা দিনে ৭০০-৮০০ টাকা কাজ হয়েছে। এখন সারা দিনে ৩০০-৪০০ টাকা হয় না। বিল চাইলে কয় কাপড় বেচতে পারি নাই।

বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সিরাজগঞ্জের বেলকুচিচৌহালী উপজেলার লিয়াজোঁ অফিসার তন্বী বলেন, ‘আমরা তাঁতিদের স্বাবলম্বী করতে তাদের লোন দিয়ে থাকি। আগে আমাদের লোন ছিল ১৩ হাজার টাকা। এখন আমরা সেই লোন বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দিচ্ছি। ১৯টি তাঁত যাদের আছে তারা প্রান্তিক তাঁতি। তাদের জন্য আমরা লোনের ব্যবস্থা করেছি। তাঁতিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। দুর্যোগ সময়ে তাদের সহযোগিতা করে থাকি।

বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সিরাজগঞ্জের লিয়াজো অফিসার (অতিঃ ) মিঠুন কুমার বসাক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত মালিকদের ঋণ দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান , সিরাজগঞ্জ বেসিক সেন্টারের আওতায় আর্থসামাজিক ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই ৭ শ প্রান্তিক তাঁত মালিককে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা করে ঋণ দেয়া হয়েছে ।

বেলকুচি উপজেলা পাওয়ার লুম এ্যাসোসিয়েসনের সাধারণ সম্পাদক বৈদ্যনাথ রায় জানান , তাঁত প্য বেচা কেনা নেই বললেই চলে । কাপড় বিক্রী করতে নাপেরে অনেকেই তাদের তাঁত কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে । জেলায় লাখ খানেক প্রান্তিক তাঁত মালিক তাদের কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে । পুঁজি সংকটে আরো অনেক তাঁত বন্ধের পথে । এ অবস্থায় সরকারের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন সরকার যদি তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে চায় তাহলে তাঁত মালিকদের জন্য একটি তাঁত ব্যাংক করা প্রয়োজন।এই ব্যাংকের মাধ্যমে তাঁতিদের স্বল্প সুদে যদি তাঁত লোন দেওয়া হয় তাহলে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।

back to top