পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে পানিতে ডুবে এক প্রতিবন্ধী শিশুসহ তিন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ তিন শিশুর মৃত্যুর খবরে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিশুদের মরদেহ এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য পুরুষ, নারী-শিশুরা শোকাহত বাড়ীতে ছুটে আসে। পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে গলাচিপা ইউনিয়ন লোন্দা গ্রামের প্রতিবন্ধী শিশু তামিম মাদবর (১০), গজালিয়া ইউনিয়নের হরিদেবপুর গ্রামের জুবায়ের মৃধা (৪) ও গোলখালী ইউনিয়নের ছোট গাবুয়া গ্রামের মাহিদুল ইসলাম (৩) রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
গত সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে এসব শিশু পানিতে পড়ে তাদের মৃত্যু ঘটেছে বলে তাদের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়। তাদের থেকে আরো জানা যায়, শিশু জুবায়ের মৃধার বাবা-মা নিজ বাড়ীতে সাংসারিক কাজ নিয়ে ব্যস্ততায় ছিল। এ সময় তাদের শিশু পুত্রটি অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলাধুলা করছিল। এরই মাঝে সকলের অগোচরে ঘরের পাশে থাকা পুকুরে পড়ে ডুবে মারা গেলে তা পরিবারের সদস্যরা টের পায়নি। হঠাৎ মা তার শিশু পুত্রকে না দেখে অনেক খোঁজাখুজি করে অবশেষে বাড়ীর পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় জুবায়েরের মরদেহ উদ্ধার করে। শিশু জুবায়ের হরিদেবপুর গ্রামের জলিল মৃধার পুত্র। এদিকে গলাচিপা ইউনিয়ন লোন্দা গ্রামের প্রতিবন্ধী শিশু তামিম মাদবরকে ঘরে রেখে বাবা অন্যত্র কাজের সন্ধানে ও মা গরু চড়াতে মাঠে চলে যায়। এ সময়ে সবার অলক্ষে বাড়ীর পাশের খালে পড়ে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে তামিমের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। অপর দিকে শিশু মাহিদুল ইসলামকে নিয়ে তার বাবা মো. জাফর হাওলাদার ও মা মেরী বেগম একই এলাকার গোলখালী ইউনিয়নের ছোট গাবুয়া গ্রামের নানা বাড়ী বেড়াতে যায় এবং সেখানে শিশু মাইদুল ও মাকে নানা বাড়ী রেখে বাবা আমখোলার চারআনী বাউড়িয়া গ্রামের চলে যায় নানা বাড়ী আসায় সকলে ঘরের মধ্যে আলাপ আলোচনায় ব্যস্ত থাকার এক পর্যায়ে শিশু মাইদুল সবার অলক্ষে ঘরের পাশের পুকুর পাড়ে চলে গেলে পুকুরের পানিতে পড়ে গিয়ে মারা যায়। এসব শিশুদের উদ্ধারের পর অচেতন অবস্থায় গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরতঃ চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এদিকে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গায়েন আজ মঙ্গলবার গলাচিপায় একই দিনে পানিতে পড়ে তিনটি শিশুর মৃত্যুর খবর সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩
পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে পানিতে ডুবে এক প্রতিবন্ধী শিশুসহ তিন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ তিন শিশুর মৃত্যুর খবরে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিশুদের মরদেহ এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য পুরুষ, নারী-শিশুরা শোকাহত বাড়ীতে ছুটে আসে। পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশুদের মধ্যে গলাচিপা ইউনিয়ন লোন্দা গ্রামের প্রতিবন্ধী শিশু তামিম মাদবর (১০), গজালিয়া ইউনিয়নের হরিদেবপুর গ্রামের জুবায়ের মৃধা (৪) ও গোলখালী ইউনিয়নের ছোট গাবুয়া গ্রামের মাহিদুল ইসলাম (৩) রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
গত সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে এসব শিশু পানিতে পড়ে তাদের মৃত্যু ঘটেছে বলে তাদের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়। তাদের থেকে আরো জানা যায়, শিশু জুবায়ের মৃধার বাবা-মা নিজ বাড়ীতে সাংসারিক কাজ নিয়ে ব্যস্ততায় ছিল। এ সময় তাদের শিশু পুত্রটি অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলাধুলা করছিল। এরই মাঝে সকলের অগোচরে ঘরের পাশে থাকা পুকুরে পড়ে ডুবে মারা গেলে তা পরিবারের সদস্যরা টের পায়নি। হঠাৎ মা তার শিশু পুত্রকে না দেখে অনেক খোঁজাখুজি করে অবশেষে বাড়ীর পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় জুবায়েরের মরদেহ উদ্ধার করে। শিশু জুবায়ের হরিদেবপুর গ্রামের জলিল মৃধার পুত্র। এদিকে গলাচিপা ইউনিয়ন লোন্দা গ্রামের প্রতিবন্ধী শিশু তামিম মাদবরকে ঘরে রেখে বাবা অন্যত্র কাজের সন্ধানে ও মা গরু চড়াতে মাঠে চলে যায়। এ সময়ে সবার অলক্ষে বাড়ীর পাশের খালে পড়ে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে তামিমের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। অপর দিকে শিশু মাহিদুল ইসলামকে নিয়ে তার বাবা মো. জাফর হাওলাদার ও মা মেরী বেগম একই এলাকার গোলখালী ইউনিয়নের ছোট গাবুয়া গ্রামের নানা বাড়ী বেড়াতে যায় এবং সেখানে শিশু মাইদুল ও মাকে নানা বাড়ী রেখে বাবা আমখোলার চারআনী বাউড়িয়া গ্রামের চলে যায় নানা বাড়ী আসায় সকলে ঘরের মধ্যে আলাপ আলোচনায় ব্যস্ত থাকার এক পর্যায়ে শিশু মাইদুল সবার অলক্ষে ঘরের পাশের পুকুর পাড়ে চলে গেলে পুকুরের পানিতে পড়ে গিয়ে মারা যায়। এসব শিশুদের উদ্ধারের পর অচেতন অবস্থায় গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরতঃ চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এদিকে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গায়েন আজ মঙ্গলবার গলাচিপায় একই দিনে পানিতে পড়ে তিনটি শিশুর মৃত্যুর খবর সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন।