বিভিন্নস্থানে আ’লীগের পাল্টা কর্মসূচী
সারাদেশে ‘অসহনীয় লোডশেডিং’, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নজিরবিহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে বিএনপির দেয়া রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানের কর্মসূচিগুলো পুলিশের বাধার মুখে পড়ে এবং অনেক জায়গায় কর্মসূচিগুলো ভন্ডুল হয়ে যায়। কয়েকটি জায়গায় আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি দেয়। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
ঢাকা : ‘অসহনীয় লোডশেডিংয়ের’ প্রতিবাদে ঢাকায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের সামনে ‘অবস্থান ও স্মারকলিপি’ দেয়ার কর্মসূচি পালন করতে যাওয়ার পথে বিএনপির মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর রাজধানীর পল্টন চায়না টাওয়ারের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু করে ঢাকা জেলা বিএনপি। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে মিছিলটি আরামবাগ মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে বিএনপির মিছিল আটকে দেয় পুলিশ।
পুলিশের বাধার মুখে বিএনপির নেতাকর্মীরা আরামবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকসহ দলটির নেতারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্য বলেছিলেন, ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রি হবে। ফেরির বিদ্যুৎ এখন কোথায়? এই সরকার জনগণের অধিকারকে কারাবন্দী করেছে। গোটা দেশকে বন্দীশালা করেছে। এই পরিস্থিতির অবসানের জন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ।
দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ হয়। পরে আরামবাগ মোড় থেকে বিএনপির কয়েকজন নেতা মতিঝিলের ওয়াপদা ভবনের দিকে রওনা দেন।
ফরিদপুরে পুলিশি বাধা, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগের
ফরিদপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে বেলা ১১টার সময় মিছিল নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে যাওয়ার পথে শহরের কাঠপট্টি তিন রাস্তার মোড়ে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। পরে সেখানেই তারা বসে পড়ে প্রতিবাদ জানান। এ সময় সেখানে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদরেস আলী ইছা, সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন প্রমুখ। পরে সেখান থেকে বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে ৫ জন ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি অবস্থিত বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি তুলে দেন অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে।
অন্যদিকে শহর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির প্রতিবাদ সমাবেশের প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করেছে শহর আওয়ামী লীগ। মিছিলটি জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে শুরু হয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। ? এ সময় সেখানে বক্তব্য রাখেন শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
জামালপুর
ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামালপুর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বসাকপাড়ার সিএনবি মোড় থেকে মিছিল নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যাওয়ার সময় পুলিশ সদরঘাট মসজিদ এলাকায় তাদেরকে বাধা দেয়। পরে সেখানেই অবস্থান নিয়ে তারা ১ ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করে। এর আগে বিএনপির ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জামালপুর বিদ্যুৎ অফিসের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মহিবুল আজাদ রুবেলের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান সজিবের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন।
বক্তারা বলেন, সারাদেশে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। এই সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেবে বলে মানুষকে আশার বাণী শোনালেও আজ বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং। সরকার বিদ্যুৎসহ সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছেন। তাই জনগণ আর এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না। আগামী দিনে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
যশোর
অসহনীয় লোডশেডিং, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে যশোর জেলা বিএনপি। যশোর শহরতলী চাঁচড়া ওজোপাডিকোর (বিদ্যুৎ ভবন) সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে যশোরের আট উপজেলার বিভিন্ন স্তরের নেতারা অংশ নেয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, সরকার উৎসবের নামে অপচয় করেছে, দুর্নীতি করেছে তার খেসারত দিচ্ছে জনগণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে। আর দিশেহারা এ সরকার ও তার মন্ত্রীরা আবোল তাবোল বকছেন। কী উন্নয়ন হয়েছে তা জনগণ এখন দেখছে। বিদ্যুৎ দিতে না পারায় স্কুল বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অমিত আরও বলেন, দেশের সংকট নিরসনে বিভিন্ন মাধ্যমে সংলাপের প্রস্তাব করা হচ্ছে। তবে সে সংলাপ হবে যখন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার নেতৃত্ব দেবেন। তার নেতৃত্ব ছাড়া কোন সংলাপ হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একই সঙ্গে অবিলম্বে অবর্ণনীয় লোডশেডিং বন্ধ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানান।
অবস্থান কর্মসূচিতে অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। পরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে বিএনপি নেতারা বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে ওজোপাডিকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
নোয়াখালী
দেশব্যাপী লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি শেষে স্মারকলিপি দিয়েছে নোয়াখালী জেলা বিএনপি।
দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালী জেলা বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। এরপর দুপুর ১টা পর্যন্ত নোয়াখালী বিদুৎ অফিসের সামনে অবস্থানের পর বিএনপির নেতারা নোয়াখালী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান। আরও বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সলিম উল্যা বাহার হিরন, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন, নোয়াখালী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু প্রমুখ।
বক্তারা প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে দেশে ভয়াবহ লোডশেডিং ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতি চলছে বলে দাবি করেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, বিএনপির কর্মসূচি চলবে, কর্মসূচি থেমে থাকবে না। এই কর্মসূচির লক্ষ্য দুঃশাসনের অবসান করা, কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা সরকারের অবসান করা।
বিভিন্নস্থানে আ’লীগের পাল্টা কর্মসূচী
বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩
সারাদেশে ‘অসহনীয় লোডশেডিং’, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, নজিরবিহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে বিএনপির দেয়া রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানের কর্মসূচিগুলো পুলিশের বাধার মুখে পড়ে এবং অনেক জায়গায় কর্মসূচিগুলো ভন্ডুল হয়ে যায়। কয়েকটি জায়গায় আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি দেয়। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
ঢাকা : ‘অসহনীয় লোডশেডিংয়ের’ প্রতিবাদে ঢাকায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের সামনে ‘অবস্থান ও স্মারকলিপি’ দেয়ার কর্মসূচি পালন করতে যাওয়ার পথে বিএনপির মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর রাজধানীর পল্টন চায়না টাওয়ারের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু করে ঢাকা জেলা বিএনপি। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে মিছিলটি আরামবাগ মোড়ে পৌঁছায়। সেখানে বিএনপির মিছিল আটকে দেয় পুলিশ।
পুলিশের বাধার মুখে বিএনপির নেতাকর্মীরা আরামবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকসহ দলটির নেতারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্য বলেছিলেন, ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রি হবে। ফেরির বিদ্যুৎ এখন কোথায়? এই সরকার জনগণের অধিকারকে কারাবন্দী করেছে। গোটা দেশকে বন্দীশালা করেছে। এই পরিস্থিতির অবসানের জন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ।
দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ হয়। পরে আরামবাগ মোড় থেকে বিএনপির কয়েকজন নেতা মতিঝিলের ওয়াপদা ভবনের দিকে রওনা দেন।
ফরিদপুরে পুলিশি বাধা, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগের
ফরিদপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে বেলা ১১টার সময় মিছিল নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে যাওয়ার পথে শহরের কাঠপট্টি তিন রাস্তার মোড়ে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। পরে সেখানেই তারা বসে পড়ে প্রতিবাদ জানান। এ সময় সেখানে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদরেস আলী ইছা, সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন প্রমুখ। পরে সেখান থেকে বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে ৫ জন ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি অবস্থিত বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি তুলে দেন অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে।
অন্যদিকে শহর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির প্রতিবাদ সমাবেশের প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করেছে শহর আওয়ামী লীগ। মিছিলটি জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে শুরু হয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। ? এ সময় সেখানে বক্তব্য রাখেন শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
জামালপুর
ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামালপুর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বসাকপাড়ার সিএনবি মোড় থেকে মিছিল নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যাওয়ার সময় পুলিশ সদরঘাট মসজিদ এলাকায় তাদেরকে বাধা দেয়। পরে সেখানেই অবস্থান নিয়ে তারা ১ ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করে। এর আগে বিএনপির ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জামালপুর বিদ্যুৎ অফিসের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মহিবুল আজাদ রুবেলের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান সজিবের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন।
বক্তারা বলেন, সারাদেশে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। এই সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেবে বলে মানুষকে আশার বাণী শোনালেও আজ বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং। সরকার বিদ্যুৎসহ সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছেন। তাই জনগণ আর এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না। আগামী দিনে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
যশোর
অসহনীয় লোডশেডিং, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে যশোর জেলা বিএনপি। যশোর শহরতলী চাঁচড়া ওজোপাডিকোর (বিদ্যুৎ ভবন) সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে যশোরের আট উপজেলার বিভিন্ন স্তরের নেতারা অংশ নেয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, সরকার উৎসবের নামে অপচয় করেছে, দুর্নীতি করেছে তার খেসারত দিচ্ছে জনগণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে। আর দিশেহারা এ সরকার ও তার মন্ত্রীরা আবোল তাবোল বকছেন। কী উন্নয়ন হয়েছে তা জনগণ এখন দেখছে। বিদ্যুৎ দিতে না পারায় স্কুল বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অমিত আরও বলেন, দেশের সংকট নিরসনে বিভিন্ন মাধ্যমে সংলাপের প্রস্তাব করা হচ্ছে। তবে সে সংলাপ হবে যখন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার নেতৃত্ব দেবেন। তার নেতৃত্ব ছাড়া কোন সংলাপ হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একই সঙ্গে অবিলম্বে অবর্ণনীয় লোডশেডিং বন্ধ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানান।
অবস্থান কর্মসূচিতে অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। পরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে বিএনপি নেতারা বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে ওজোপাডিকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
নোয়াখালী
দেশব্যাপী লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি শেষে স্মারকলিপি দিয়েছে নোয়াখালী জেলা বিএনপি।
দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালী জেলা বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। এরপর দুপুর ১টা পর্যন্ত নোয়াখালী বিদুৎ অফিসের সামনে অবস্থানের পর বিএনপির নেতারা নোয়াখালী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান। আরও বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সলিম উল্যা বাহার হিরন, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন, নোয়াখালী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু প্রমুখ।
বক্তারা প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে দেশে ভয়াবহ লোডশেডিং ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতি চলছে বলে দাবি করেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, বিএনপির কর্মসূচি চলবে, কর্মসূচি থেমে থাকবে না। এই কর্মসূচির লক্ষ্য দুঃশাসনের অবসান করা, কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা সরকারের অবসান করা।