alt

সারাদেশ

বসবাসের অনুপযোগি হওয়ায় দহগ্রামের গুচ্ছগ্রাম ছেড়েছে ৮২ পরিবার

মনিরুজ্জামান সরকার, লালমনিরহাট : শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের আবাসন প্রকল্পের (গুচ্ছগ্রাম) ঘর সংস্কার না করায় সেগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ ঘরের মেঝের মাটি ধসে গেছে। খুলে গেছে দেয়ালের পোলেস্তা । এসব ভোগান্তির কারণে ১৩০টি পরিবারের মধ্যে ৮২টি পরিবার গুচ্ছগ্রাম ছেড়ে চলে গেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরে ২০১৭-১৮ সালে নির্মাণ করা হয় দহগ্রাম-১ গুচ্ছগ্রাম। পরে সরকারের ভুমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ওই ইউনিয়নের তিস্তা নদীর অববাহিকার বড়বাড়ি এলাকায় ২০১৮ সালে গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্লাইমেট ভিকটিমস রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্ট (সিভিআরপি) প্রকল্পের আওতায় ৩ ধাপে ১৩০টি বসতবাড়ি নির্মাণ করা হয়। সেখানে পর্যায়ক্রমে ভ‚মিহীন, গৃহহীন, নদীভাঙনের শিকার দরিদ্র পরিবারগুলোকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

স্থানীয় ও গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই-তিন বছরে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় এই গুচ্ছগ্রামের ঘরের মাটি ও মেঝে ধসে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দেয়ালের পেলেস্তা খুলে পড়ায় বাস অনুপযোগি হয়ে পড়েছে ঘরগুলো । এখানকার বাসিন্দাদের আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় ঘর মেরামত করতে পারেননি। তখন অনেক পরিবার গুচ্ছগ্রাম থেকে চলে যায়। তা ছাড়া গুচ্ছগ্রামে চলাচলের একমাত্র সড়কটি খানাখন্দে ভরা। শুকনা মৌসুমে ধুলাবালু এবং বর্ষায় কাদামাটি ভরা সড়কে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষা মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে এখানকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এবারও বন্যা আসন্ন । কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোন দৃষ্টি না থাকায় বাধ্য হয়ে গুচ্ছগ্রাম ছাড়তে হয়েছে বললেন তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গুচ্ছগ্রামের বেশির ভাগ ঘরের মেঝের মাটি ধসে গেছে। সেখানকার স্যানিটেশন–ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। এ সব সমস্যার কারণে গুচ্ছগ্রামের ১৩০টি পরিবারের মধ্যে ৮২টি পরিবার গুচ্ছগ্রাম ছেড়ে চলে গেছে। বর্তমানে বসবাস করছে ৫২টি পরিবার।

দহগ্রাম গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন (৪৮) বলেন, ‘নদীভাঙনের শিকার হয়ে জমি, বসতভিটা হারিয়ে এ গুচ্ছগ্রামে আসছি। এখানে থাকা কষ্টকর। এখানকার ঘরগুলোর মাটি ধসে যাওয়ায় অনেকে চলে গেছেন। আমিও অন্যত্র চলে যাচ্ছি ।

গুচ্ছগ্রামের ১১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা জুলেখা বেগম (৩০) বলেন, কাজ না করলে তাঁদের ভাত জোটে না। গুচ্ছগ্রাম থেকে যাওয়া-আসার রাস্তার খুব সমস্যা। মাটি সরে যাওয়ায় ঘরে থাকা যায় না। এ জন্য অনেকে চলে গেছেন।

দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, দহগ্রাম গুচ্ছগ্রামের বেহাল অবস্থা নিয়ে বারবার কথা বলছি । কিন্তু কাজ হচ্ছে না । জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করা খুব কষ্টের । তাই অনেকে চলে গেছে ।

পিআইও উত্তম কুমার নন্দি বলেন, নয়-দশ বছর আগে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। একটু তো সমস্যা হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি । আশা করছি শীঘ্রই সংস্কার হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নুরুল ইসলাম বলেন, ঘরগুলো প্রায় দশ বছর হয়েছে,এ ব্যাপারে কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ঘরগুলো সংস্কারের উদ্যেগ শীঘ্রই নেওয়া হবে।

ছবি

মোহাম্মদপুরে অটোরিকশা-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫

ছবি

নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণ, নিহত ১

ছবি

ইবির প্রধান ফটকের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় বাইকার নিহত

ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, তিনজনই ঢাকার বাইরে

ছবি

বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে

কক্সবাজারে সমুদ্র ছুঁয়ে দীর্ঘতম রানওয়ে চালু হচ্ছে নভেম্বরে

ছবি

টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে ৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার

ঢাকায় হোটেল থেকে মাদারীপুরের শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার

হবিগঞ্জে এক মাসে ৩৩ বাড়িতে চুরি : আতঙ্কে গ্রামবাসী

শেরপুরে চেয়ারম্যানের অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

৯৯৯-এ কল দিয়ে প্রাণে বাঁচলেন ২৯ জেলে

ছবি

মির্জাগঞ্জে ৫০ বছরেও কাঁচা রাস্তাটি পাকা হয়নি

দেয়ানগঞ্জে খামারের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

জেলায় শ্রেষ্ঠ পূর্বধলার ইউএনও

বাঁশখালীতে অ্যাডভোকেটস ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন সম্পন্ন

রাউজানে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

ছবি

হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

ভোটের পর পরাজিত ঘোষণা, আড়াই বছর পর আদালতের রায়ে মেয়র নির্বাচিত

ছবি

নির্বাচন আসলেই মানুষকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হয় : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

ছবি

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় গেল ৩ হাজার কেজি ইলিশ

ছবি

বৃক্ষ রোপন করলো ঢাকা মিডটাউন

ছবি

বরিশালে দুই বাসের সংঘর্ষে বৃদ্ধা নিহত, আহত ২৫

ছবি

লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুরে ছাই ১০ দোকান

ছবি

রাইস কুকারের ভেতর দেড় কোটি টাকার স্বর্ণ

ছবি

আগামীকাল দেশে ফিরবেন ওবায়দুল কাদের

ছবি

পাহাড় থেকে ৩০০ ফুট নিচে পড়ে প্রাণ গেল শ্রমিকের

ছবি

ঢাকাসহ ১৮ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

লাগেজে মানুষের হাত-পায়ের আট টুকরা

ছবি

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৬৩ কেজি তামার তারসহ ৩ চোর আটক

ছবি

আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা

ছবি

নারায়ণগঞ্জে সবজি বিক্রেতা খুনে দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

সিলেটে বিএনপির মিছিল থেকে হামলা, একাধিক নাট্যকর্মী আহত

ছবি

প্রতিদিন ৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে মাতারবাড়িতে

ছবি

দেশের পর্যটন স্পটে টাইম শেয়ারিং কার্ড সেবা চালু

ছবি

লালমনিরহাটের বাদামের বস্তায় মাদক পাচারকালে ১১৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক ১

কালীগঞ্জে কীটনাশকের দোকান পুড়ে ছাই

tab

সারাদেশ

বসবাসের অনুপযোগি হওয়ায় দহগ্রামের গুচ্ছগ্রাম ছেড়েছে ৮২ পরিবার

মনিরুজ্জামান সরকার, লালমনিরহাট

শনিবার, ১০ জুন ২০২৩

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম ইউনিয়নের আবাসন প্রকল্পের (গুচ্ছগ্রাম) ঘর সংস্কার না করায় সেগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ ঘরের মেঝের মাটি ধসে গেছে। খুলে গেছে দেয়ালের পোলেস্তা । এসব ভোগান্তির কারণে ১৩০টি পরিবারের মধ্যে ৮২টি পরিবার গুচ্ছগ্রাম ছেড়ে চলে গেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরে ২০১৭-১৮ সালে নির্মাণ করা হয় দহগ্রাম-১ গুচ্ছগ্রাম। পরে সরকারের ভুমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ওই ইউনিয়নের তিস্তা নদীর অববাহিকার বড়বাড়ি এলাকায় ২০১৮ সালে গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্লাইমেট ভিকটিমস রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্ট (সিভিআরপি) প্রকল্পের আওতায় ৩ ধাপে ১৩০টি বসতবাড়ি নির্মাণ করা হয়। সেখানে পর্যায়ক্রমে ভ‚মিহীন, গৃহহীন, নদীভাঙনের শিকার দরিদ্র পরিবারগুলোকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

স্থানীয় ও গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই-তিন বছরে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় এই গুচ্ছগ্রামের ঘরের মাটি ও মেঝে ধসে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দেয়ালের পেলেস্তা খুলে পড়ায় বাস অনুপযোগি হয়ে পড়েছে ঘরগুলো । এখানকার বাসিন্দাদের আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় ঘর মেরামত করতে পারেননি। তখন অনেক পরিবার গুচ্ছগ্রাম থেকে চলে যায়। তা ছাড়া গুচ্ছগ্রামে চলাচলের একমাত্র সড়কটি খানাখন্দে ভরা। শুকনা মৌসুমে ধুলাবালু এবং বর্ষায় কাদামাটি ভরা সড়কে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষা মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে এখানকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। এবারও বন্যা আসন্ন । কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোন দৃষ্টি না থাকায় বাধ্য হয়ে গুচ্ছগ্রাম ছাড়তে হয়েছে বললেন তারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গুচ্ছগ্রামের বেশির ভাগ ঘরের মেঝের মাটি ধসে গেছে। সেখানকার স্যানিটেশন–ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। এ সব সমস্যার কারণে গুচ্ছগ্রামের ১৩০টি পরিবারের মধ্যে ৮২টি পরিবার গুচ্ছগ্রাম ছেড়ে চলে গেছে। বর্তমানে বসবাস করছে ৫২টি পরিবার।

দহগ্রাম গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন (৪৮) বলেন, ‘নদীভাঙনের শিকার হয়ে জমি, বসতভিটা হারিয়ে এ গুচ্ছগ্রামে আসছি। এখানে থাকা কষ্টকর। এখানকার ঘরগুলোর মাটি ধসে যাওয়ায় অনেকে চলে গেছেন। আমিও অন্যত্র চলে যাচ্ছি ।

গুচ্ছগ্রামের ১১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা জুলেখা বেগম (৩০) বলেন, কাজ না করলে তাঁদের ভাত জোটে না। গুচ্ছগ্রাম থেকে যাওয়া-আসার রাস্তার খুব সমস্যা। মাটি সরে যাওয়ায় ঘরে থাকা যায় না। এ জন্য অনেকে চলে গেছেন।

দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, দহগ্রাম গুচ্ছগ্রামের বেহাল অবস্থা নিয়ে বারবার কথা বলছি । কিন্তু কাজ হচ্ছে না । জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করা খুব কষ্টের । তাই অনেকে চলে গেছে ।

পিআইও উত্তম কুমার নন্দি বলেন, নয়-দশ বছর আগে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। একটু তো সমস্যা হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি । আশা করছি শীঘ্রই সংস্কার হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নুরুল ইসলাম বলেন, ঘরগুলো প্রায় দশ বছর হয়েছে,এ ব্যাপারে কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ঘরগুলো সংস্কারের উদ্যেগ শীঘ্রই নেওয়া হবে।

back to top