বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের উন্নয়নে খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনা, নন-পারফর্মিং লোন ম্যানেজমেন্ট, এবং লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কের উন্নয়নে তিনটি টাস্কফোর্স গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এর চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ রহমান।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সেলিম আর এফ রহমান এই বিষয়টি তুলে ধরেন। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
টাস্কফোর্স গঠনে কত সময় লাগবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি জানিয়ে সেলিম বলেন, “এসব টাস্কফোর্সে দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই টাস্কফোর্স আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে, যেখানে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বা আইএমএফ থেকেও বিশেষজ্ঞরা আসতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, গভর্নর বাজারভিত্তিক সুদের হার নির্ধারণে বিশ্বাসী এবং এর মাধ্যমে বাজারকে প্রভাবমুক্ত রেখে ডিমান্ড ও সাপ্লাইয়ের ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারণ করা হবে, যা বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে।
গভর্নর সম্প্রতি ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতিতে ডলারের দর নির্ধারণ করেছেন, যার ফলে ডলারের দাম ১২০ টাকার মধ্যে স্থিতিশীল রয়েছে। এবিবি চেয়ারম্যান জানান, এই দামেই সব ব্যাংককে ব্যবসা পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, এলসি খোলার ক্ষেত্রে বর্তমানে কোনো সমস্যা নেই এবং ডলারের অভাবও নেই বলে সেলিম উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "আমাদের সরকারি চারটি ব্যাংকে দেড় থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের পেমেন্ট আটকে আছে, যা আগামী ছয় মাসের মধ্যে সমাধান হবে বলে আশা করছি।"
সেলিম আর এফ রহমান আরও জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক পলিসি রেট বাড়িয়ে যাবে এবং আগামী দুই-এক মাসের মধ্যে এটি ১০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
বৃহস্পতিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের উন্নয়নে খেলাপি ঋণ ব্যবস্থাপনা, নন-পারফর্মিং লোন ম্যানেজমেন্ট, এবং লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কের উন্নয়নে তিনটি টাস্কফোর্স গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এর চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ রহমান।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সেলিম আর এফ রহমান এই বিষয়টি তুলে ধরেন। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
টাস্কফোর্স গঠনে কত সময় লাগবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি জানিয়ে সেলিম বলেন, “এসব টাস্কফোর্সে দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই টাস্কফোর্স আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে, যেখানে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বা আইএমএফ থেকেও বিশেষজ্ঞরা আসতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, গভর্নর বাজারভিত্তিক সুদের হার নির্ধারণে বিশ্বাসী এবং এর মাধ্যমে বাজারকে প্রভাবমুক্ত রেখে ডিমান্ড ও সাপ্লাইয়ের ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারণ করা হবে, যা বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে।
গভর্নর সম্প্রতি ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতিতে ডলারের দর নির্ধারণ করেছেন, যার ফলে ডলারের দাম ১২০ টাকার মধ্যে স্থিতিশীল রয়েছে। এবিবি চেয়ারম্যান জানান, এই দামেই সব ব্যাংককে ব্যবসা পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, এলসি খোলার ক্ষেত্রে বর্তমানে কোনো সমস্যা নেই এবং ডলারের অভাবও নেই বলে সেলিম উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "আমাদের সরকারি চারটি ব্যাংকে দেড় থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের পেমেন্ট আটকে আছে, যা আগামী ছয় মাসের মধ্যে সমাধান হবে বলে আশা করছি।"
সেলিম আর এফ রহমান আরও জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক পলিসি রেট বাড়িয়ে যাবে এবং আগামী দুই-এক মাসের মধ্যে এটি ১০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।