alt

অর্থ-বাণিজ্য

যেভাবে নিবন্ধন করবেন সর্বজনীন পেনশনে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩

কিস্তির টাকা জমা দিয়েই সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। আবেদনের জন্য উপযুক্ত নন এমন নাগরিক নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় তথ্য গোপন করলে বা ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করলে পরবর্তীতে তা বাতিল হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে টাকাও ফেরত পাওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ‘ইউপেনশন ডটগভ ডটবিডি’ ওয়েবসাইট উদ্বোধনের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন। এরপর থেকেই বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে পেনশন স্কিমে যুক্ত হওয়ার সুযোগ উন্মোচিত হয়।

বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া যেকোন বাংলাদেশি নাগরিক টানা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত নির্ধারিত হারে চাঁদা দিলে বাকি জীবনে তাকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে পেনশন সুবিধা দেবে সরকার। এই স্কিম অনুযায়ী যত বেশি বছর টাকা জমা দেয়া যাবে, তত বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।

যেমন প্রবাসীরা মাসে ১০ হাজার টাকা করে টানা ৪২ বছর চাঁদা দিতে পারলে তিনি পেনশন পাবেন তিন লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৫ টাকা। কিন্তু একই পরিমাণ টাকা ৩৫ বছর জমা করলেই পেনশন কমে হয়ে যাবে ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৭০ টাকা। ২৫ বছর জমা করলে পেনশন আরও কমে হবে ৮৯ হাজার ৫৪৮ টাকা।

একইভাবে মাসে সর্বনিম্ন যে এক হাজার টাকা করে জমানোর সুযোগ আছে, সেটি ৪২ বছর জমা করতে পারলে মাসে পেনশন হবে ৩৪ হাজার ৫৬৪ টাকা। একই হারে টাকা ২৫ বছর জমালে পেনশন হবে ৭ হাজার ৯৫৫ টাকা। মাসে সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা করে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিতে পারলে মাসে ১ হাজার ৫৩০ টাকা করে পেনশন পাওয়া যাবে।

পেনশন পাবেন পেনশনার যতদিন বেঁচে থাকবেন। তবে তিনি ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকার বয়স ৭৫ বছর পূর্ণ হতে যত মাস বাকি থাকে ততমাস পেনশন সুবিধা পাবেন।

প্রাথমিকভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি কর্মজীবীদের জন্য প্রগতি স্কিম, অপ্রাতিষ্ঠানিক বা স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা এবং স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য ৫০ শতাংশ সরকারি অনুদানে সমতা স্কিম নামের চারটি সেবা চালু করা হয়েছে।

নিবন্ধনের জন্য পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে (www.upension.gov.bd) গিয়ে উপরে ডান দিকে রয়েছে নিবন্ধনের ট্যাব। সেখানে ক্লিক করলেই একটি প্রত্যয়ন পাতা আসবে। যেখানে লেখা থাকবে-‘এই মর্মে প্রত্যয়ন করছি যে, আমি সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রায়ত্ত কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নই। সর্বজনীন পেনশন স্কিমবহির্ভূত কোন ধরনের সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা গ্রহণ করি না। আমি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোন ধরনের ভাতা গ্রহণ করি না।’

এসব স্বীকারোক্তির পর লাল কালিতে লেখা আছে- ‘উল্লেখ্য, ভুল তথ্য প্রদান করলে আবেদন বাতিল হবে এবং জমাকৃত অর্থ ফেরতযোগ্য হবে না।’ এর নিচেই ‘আমি সম্মত আছি’ অংশে ক্লিক করলে দ্বিতীয় পাতায় যেতে হবে।

সেখানে লেখা আছে ‘রেজিস্ট্রেশন করুন।’

প্যাকেজসমূহ নির্বাচন করুণ অংশ থেকে আবেদনকারীকে প্রবাস, সমতা, সুরক্ষা বা প্রগতি-এই চার স্কিমের মধ্য থেকে প্রযোজ্য স্কিম বাছাই করতে হবে। পরের লাইনে এনআইডি নম্বর, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল আইডি লিখতে হবে। এরপর নিচের দিকে আঁকাবাঁকা ও ইংরেজি বর্ণ ও সংখ্যাগুলো ধারাবাহিকভাবে হুবহু লিখতে হবে খালি ঘরে। এবার ক্লিক করে পরবর্তী পেইজে যাওয়া যাবে।

পরবর্তী পাতায় যাওয়ার জন্য ক্লিক করতেই আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর ও ই-মেইলে একটি ওটিপি বা একবার ব্যবহারযোগ্য গোপন নম্বর আসবে, যা ফরমে পূরণ করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পরের ধাপে আসবে ব্যক্তিগত তথ্যের পাতা। সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য সংরক্ষিত তথ্যভান্ডার থেকে তথ্য চলে আসবে। আবেদনকারী চাইলে সেই তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন।

তবে এখানে আবেদনকারীর বার্ষিক আয় লিখতে হবে এবং পেশা, নিজ বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম নির্বাচন করতে হবে। সব লেখা সম্পন্ন হলে পরের ‘স্কিম তথ্য’ এর পাতায় যেতে হবে।

স্কিম তথ্যের পাতা এলে সেখান থেকে মাসিক চাঁদার পরিমাণ ও চাঁদা পরিশোধের ধরন বাছাই করতে হবে। চাঁদা পরিশোধের ধরনের মধ্যে মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক এ তিন অপশন রয়েছে। এরপর ব্যাংক তথ্যের ধাপে যেতে হবে।

ব্যাংক তথ্যের পাতায় আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবের নাম ও নম্বর, হিসাবের ধরন (সঞ্চয়ী অথবা চলতি), রাউটিং নম্বর, ব্যাংকের নাম (বাংলায়) ও ব্যাংকের শাখার নাম (ইংরেজিতে) লিখতে হবে। এরপর পরবর্তী নমিনি তথ্যের পাতায় যেতে হবে।

নমিনি তথ্যের পাতায় গিয়ে নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নমিনিকে যুক্ত করতে হবে। এখানে একাধিক নমিনিও যুক্ত করা যাবে। এ সময় নমিনির মোবাইল নম্বর, নমিনির সঙ্গে সম্পর্ক, নমিনির প্রাপ্যতার হারের (একাধিক নমিনি হলে) তথ্য দিয়ে সর্বশেষ ‘সম্পূর্ণ ফরম’ ধাপে যেতে হবে।

এটিই নিবন্ধনের শেষ ধাপ। এ ধাপে আগে পূরণ করা ব্যক্তিগত তথ্য, স্কিম তথ্য, ব্যাংক তথ্য ও নমিনি তথ্য দেখানো হবে। সেখানে কোন ভুল থাকলে আবার শুরুতে গিয়ে তথ্যের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। আর সব তথ্য ঠিক থাকলে তাতে সম্মতি দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এ সময় চাইলে সম্পূর্ণ আবেদনটি ডাউনলোডও করতে পারবেন আবেদনকারী।

একটা স্কিম নির্বাচন করে নিবন্ধন সম্পন্ন করলে সেটি সংশোধন করা জটিল বিষয়। সেই হিসাবে আগে পিছে চিন্তা করে টাকা জমা দেয়ার অপশন সম্পন্ন করতে হবে। সোনালী ব্যাংক, ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা জমা দেয়া যাবে। ভিসা, মাস্টারকার্ড, নেক্সাস ও এমেক্স কার্ড থেকে টাকা জমা দেয়া যাবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মধ্যে রকেট, বিকাশ, নগদ, উপায়, ট্যাপ ও ওকেওয়ালেট থেকে টাকা জমা দেয়া যাবে।

বিবিএস-এর সাময়িক হিসাব: মাথাপিছু আয় ৮২ ডলার বেড়ে নতুন রেকর্ড

ছবি

গত ৯ মাসে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে: বিডা

ছবি

সমস্যাগ্রস্ত ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ

ছবি

২০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে: গভর্নর

ছবি

ব্র্যাক ব্যাংক ছাড়লেন সেলিম আর এফ হোসেন

মাতারবাড়ীর জন্য বিদেশি বিনিয়োগ ‘অত্যন্ত জরুরি’: ইউনূস

এলসি খোলার ‘সুযোগ পাচ্ছে’ বেক্সিমকোর সচল কোম্পানি

ছবি

অনারের ঈদ অফার

ছবি

ঈদে বিকাশে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স গ্রহণ করে প্রতিদিন ফ্রিজ-টিভি জেতার সুযোগ

ছবি

বাজারে আইটেল সিটি সিরিজের নতুন স্মার্টফোন সিটি ১০০

ছবি

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগ হবে এনবিআর

ছবি

জুনে বাংলাদেশে আসছে ১০০ চীনা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, হবে দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন

ছবি

বাংলাদেশকে ২৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

ছবি

অনলাইন জুয়া: বন্ধ হচ্ছে হাজারের বেশি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট

ছবি

প্রকল্পে বিনিয়োগের তুলনায় রিটার্ন নিয়ে প্রশ্ন আছে: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

২৪ দিনে এলো সোয়া ২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স

ছবি

রিয়েলমির ঈদ ক্যাম্পেইনে থাকছে লাখ টাকা ক্যাশসহ নিশ্চিত পুরস্কার

ছবি

দেশের বাজারে স্যামসাংয়ের নতুন স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এ৫৬ ফাইভজি

ছবি

ঈদে নকিয়ার ক্রেজি সামার অফার

কর্মবিরতি প্রত্যাহার, এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি বহাল

ছবি

‘রাজস্ব সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর আন্দোলন আরও জোরালো, সোমবার থেকে পূর্ণ কর্মবিরতি

ছবি

আন্তর্জাতিক সনদের অভাবে চামড়া শিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না: ডিসিসিআই

ছবি

১০ মাসে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি সাড়ে ৭১ হাজার কোটি টাকা

ছবি

প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৫, খাসির ২ টাকা বাড়লো

ছবি

দেশের শেয়ারবাজার এখন ‘ডাকাতদের আড্ডা’: প্রেস সচিব

ছবি

কর্মবিরতির প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৪ হাজার কনটেইনার নিয়ে সাগরে ভাসছে ১৭ জাহাজ

চামড়া সংরক্ষণে নির্দেশনা, ঢাকায় ১০ দিনের আগে ঢুকবে না কাঁচা চামড়া

ঈদের আগেই আসছে নতুন নোট, ছবিতে মসজিদ-মন্দির-প্রকৃতি

শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ ও বকেয়া পরিশোধসহ ১০ দফা দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির মানববন্ধন

এলডিসির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমদানি-রপ্তানি নীতিমালার পুনঃমূল্যায়ন জরুরি: ঢাকা চেম্বার

ছবি

শেয়ারবাজার থেকে পাচার হয় ১৫ হাজার কোটি টাকা: দেবপ্রিয়

ছবি

লন্ডনে বাংলাদেশিদের ৯ কোটি পাউন্ডের সম্পদ জব্দ, অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে

ছবি

ঈদের আগেই বাজারে আসছে নতুন নোট, থাকছে মসজিদ-মন্দির ও প্রকৃতির ছবি

এনবিআর বিলুপ্তির প্রতিবাদে দেশজুড়ে কর্মবিরতি

ভারতকে দেওয়া জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ বাতিল করলো বাংলাদেশ

ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের সমাধান কূটনৈতিকভাবে চায় বিকেএমইএ

tab

অর্থ-বাণিজ্য

যেভাবে নিবন্ধন করবেন সর্বজনীন পেনশনে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩

কিস্তির টাকা জমা দিয়েই সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। আবেদনের জন্য উপযুক্ত নন এমন নাগরিক নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় তথ্য গোপন করলে বা ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করলে পরবর্তীতে তা বাতিল হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে টাকাও ফেরত পাওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ‘ইউপেনশন ডটগভ ডটবিডি’ ওয়েবসাইট উদ্বোধনের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন। এরপর থেকেই বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে পেনশন স্কিমে যুক্ত হওয়ার সুযোগ উন্মোচিত হয়।

বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া যেকোন বাংলাদেশি নাগরিক টানা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত নির্ধারিত হারে চাঁদা দিলে বাকি জীবনে তাকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে পেনশন সুবিধা দেবে সরকার। এই স্কিম অনুযায়ী যত বেশি বছর টাকা জমা দেয়া যাবে, তত বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে।

যেমন প্রবাসীরা মাসে ১০ হাজার টাকা করে টানা ৪২ বছর চাঁদা দিতে পারলে তিনি পেনশন পাবেন তিন লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৫ টাকা। কিন্তু একই পরিমাণ টাকা ৩৫ বছর জমা করলেই পেনশন কমে হয়ে যাবে ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৭০ টাকা। ২৫ বছর জমা করলে পেনশন আরও কমে হবে ৮৯ হাজার ৫৪৮ টাকা।

একইভাবে মাসে সর্বনিম্ন যে এক হাজার টাকা করে জমানোর সুযোগ আছে, সেটি ৪২ বছর জমা করতে পারলে মাসে পেনশন হবে ৩৪ হাজার ৫৬৪ টাকা। একই হারে টাকা ২৫ বছর জমালে পেনশন হবে ৭ হাজার ৯৫৫ টাকা। মাসে সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা করে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিতে পারলে মাসে ১ হাজার ৫৩০ টাকা করে পেনশন পাওয়া যাবে।

পেনশন পাবেন পেনশনার যতদিন বেঁচে থাকবেন। তবে তিনি ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মারা গেলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকার বয়স ৭৫ বছর পূর্ণ হতে যত মাস বাকি থাকে ততমাস পেনশন সুবিধা পাবেন।

প্রাথমিকভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি কর্মজীবীদের জন্য প্রগতি স্কিম, অপ্রাতিষ্ঠানিক বা স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা এবং স্বল্প আয়ের নাগরিকদের জন্য ৫০ শতাংশ সরকারি অনুদানে সমতা স্কিম নামের চারটি সেবা চালু করা হয়েছে।

নিবন্ধনের জন্য পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে (www.upension.gov.bd) গিয়ে উপরে ডান দিকে রয়েছে নিবন্ধনের ট্যাব। সেখানে ক্লিক করলেই একটি প্রত্যয়ন পাতা আসবে। যেখানে লেখা থাকবে-‘এই মর্মে প্রত্যয়ন করছি যে, আমি সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রায়ত্ত কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নই। সর্বজনীন পেনশন স্কিমবহির্ভূত কোন ধরনের সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা গ্রহণ করি না। আমি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোন ধরনের ভাতা গ্রহণ করি না।’

এসব স্বীকারোক্তির পর লাল কালিতে লেখা আছে- ‘উল্লেখ্য, ভুল তথ্য প্রদান করলে আবেদন বাতিল হবে এবং জমাকৃত অর্থ ফেরতযোগ্য হবে না।’ এর নিচেই ‘আমি সম্মত আছি’ অংশে ক্লিক করলে দ্বিতীয় পাতায় যেতে হবে।

সেখানে লেখা আছে ‘রেজিস্ট্রেশন করুন।’

প্যাকেজসমূহ নির্বাচন করুণ অংশ থেকে আবেদনকারীকে প্রবাস, সমতা, সুরক্ষা বা প্রগতি-এই চার স্কিমের মধ্য থেকে প্রযোজ্য স্কিম বাছাই করতে হবে। পরের লাইনে এনআইডি নম্বর, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল আইডি লিখতে হবে। এরপর নিচের দিকে আঁকাবাঁকা ও ইংরেজি বর্ণ ও সংখ্যাগুলো ধারাবাহিকভাবে হুবহু লিখতে হবে খালি ঘরে। এবার ক্লিক করে পরবর্তী পেইজে যাওয়া যাবে।

পরবর্তী পাতায় যাওয়ার জন্য ক্লিক করতেই আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর ও ই-মেইলে একটি ওটিপি বা একবার ব্যবহারযোগ্য গোপন নম্বর আসবে, যা ফরমে পূরণ করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পরের ধাপে আসবে ব্যক্তিগত তথ্যের পাতা। সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য সংরক্ষিত তথ্যভান্ডার থেকে তথ্য চলে আসবে। আবেদনকারী চাইলে সেই তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন।

তবে এখানে আবেদনকারীর বার্ষিক আয় লিখতে হবে এবং পেশা, নিজ বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম নির্বাচন করতে হবে। সব লেখা সম্পন্ন হলে পরের ‘স্কিম তথ্য’ এর পাতায় যেতে হবে।

স্কিম তথ্যের পাতা এলে সেখান থেকে মাসিক চাঁদার পরিমাণ ও চাঁদা পরিশোধের ধরন বাছাই করতে হবে। চাঁদা পরিশোধের ধরনের মধ্যে মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক এ তিন অপশন রয়েছে। এরপর ব্যাংক তথ্যের ধাপে যেতে হবে।

ব্যাংক তথ্যের পাতায় আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবের নাম ও নম্বর, হিসাবের ধরন (সঞ্চয়ী অথবা চলতি), রাউটিং নম্বর, ব্যাংকের নাম (বাংলায়) ও ব্যাংকের শাখার নাম (ইংরেজিতে) লিখতে হবে। এরপর পরবর্তী নমিনি তথ্যের পাতায় যেতে হবে।

নমিনি তথ্যের পাতায় গিয়ে নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নমিনিকে যুক্ত করতে হবে। এখানে একাধিক নমিনিও যুক্ত করা যাবে। এ সময় নমিনির মোবাইল নম্বর, নমিনির সঙ্গে সম্পর্ক, নমিনির প্রাপ্যতার হারের (একাধিক নমিনি হলে) তথ্য দিয়ে সর্বশেষ ‘সম্পূর্ণ ফরম’ ধাপে যেতে হবে।

এটিই নিবন্ধনের শেষ ধাপ। এ ধাপে আগে পূরণ করা ব্যক্তিগত তথ্য, স্কিম তথ্য, ব্যাংক তথ্য ও নমিনি তথ্য দেখানো হবে। সেখানে কোন ভুল থাকলে আবার শুরুতে গিয়ে তথ্যের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। আর সব তথ্য ঠিক থাকলে তাতে সম্মতি দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এ সময় চাইলে সম্পূর্ণ আবেদনটি ডাউনলোডও করতে পারবেন আবেদনকারী।

একটা স্কিম নির্বাচন করে নিবন্ধন সম্পন্ন করলে সেটি সংশোধন করা জটিল বিষয়। সেই হিসাবে আগে পিছে চিন্তা করে টাকা জমা দেয়ার অপশন সম্পন্ন করতে হবে। সোনালী ব্যাংক, ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা জমা দেয়া যাবে। ভিসা, মাস্টারকার্ড, নেক্সাস ও এমেক্স কার্ড থেকে টাকা জমা দেয়া যাবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মধ্যে রকেট, বিকাশ, নগদ, উপায়, ট্যাপ ও ওকেওয়ালেট থেকে টাকা জমা দেয়া যাবে।

back to top