২০২৩-২৪ মৌসুমে দানাদার খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৮১ কোটি ৫০ লাখ টনে, যা ২০২০-২১ মৌসুমে হওয়া রেকর্ড উৎপাদনের সমান।
এ মৌসুমে ভুট্টা উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১২১ কোটি ৫০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোয় উৎপাদন কমলেও তাতে ভারসাম্য আনবে ইউক্রেন ও ব্রাজিল। এ দুই দেশে শস্যটির উৎপাদন ব্যাপক বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা বৈশ্বিক উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
অন্যদিকে, আগের বিপণন মৌসুমের তুলনায় গম উৎপাদন ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৮ কোটি ১১ লাখ টনে। এরপরও এটি হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় রেকর্ড সর্বোচ্চ উৎপাদন।
এফএও জানায়, এল নিনোর প্রভাবে প্রধান গম উৎপাদক দেশগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। বিশেষ করে কানাডা ও ইউরোপের দেশগুলোয় উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ কারণেই শস্যটির বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। অন্যদিকে, অতিবৃষ্টির কারণে চীনেও উৎপাদন কমার পূর্বাভাস দিয়েছে এফএও। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ইউক্রেনে শস্যটির উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জুলাই থেকেই চালের বৈশ্বিক উৎপাদন কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে আসছিল এফএও। তবে চলতি মাসে তা বাড়ানো হয়েছে। সংস্থাটির দেয়া তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে বৈশ্বিক চাল উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৫২ কোটি ৩২ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে।
এ মৌসুমে চালের বৈশ্বিক মজুদ ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। মজুদের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১৯ কোটি ৮১ লাখ টনে। এক্ষেত্রে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে ভারত ও চীন। এ সময় বৈশ্বিক মজুদের তিন-চতুর্থাংশই থাকবে এ দুই দেশে। তবে বাকি দেশগুলোয় মজুদ কমে ৫ কোটি ১৪ লাখ টনে নামতে পারে, যা চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ভারত বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক। দেশটি নন-বাসমতি সাদা চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই শস্যটির বৈশ্বিক বাজার অস্থিতিশীল। ১৫ বছরের সর্বোচ্চে অবস্থান করছে দাম। সরবরাহ সংকটের আশঙ্কায় দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২৩-২৪ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক ব্যবহার দাঁড়াতে পারে ২৮০ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এ সময় বৈশ্বিক মজুদ দাঁড়াতে পারে ৮৭ কোটি ৮০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক মজুদ ও ব্যবহারের অনুপাত দাঁড়াবে ৩০ দশমিক ৫ শতাংশে।
২০২৩-২৪ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য পূর্বাভাস কমিয়েছে এফএও। বাণিজ্যের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি ৬০ লাখ টন, যা এর আগের মৌসুমের তুলনায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ কম। বহুমুখী কারণে গম ও ভুট্টা বাণিজ্য কমতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ। ফলে কৃষ্ণ সাগরীয় সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।
শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
২০২৩-২৪ মৌসুমে দানাদার খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৮১ কোটি ৫০ লাখ টনে, যা ২০২০-২১ মৌসুমে হওয়া রেকর্ড উৎপাদনের সমান।
এ মৌসুমে ভুট্টা উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১২১ কোটি ৫০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোয় উৎপাদন কমলেও তাতে ভারসাম্য আনবে ইউক্রেন ও ব্রাজিল। এ দুই দেশে শস্যটির উৎপাদন ব্যাপক বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা বৈশ্বিক উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
অন্যদিকে, আগের বিপণন মৌসুমের তুলনায় গম উৎপাদন ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৮ কোটি ১১ লাখ টনে। এরপরও এটি হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় রেকর্ড সর্বোচ্চ উৎপাদন।
এফএও জানায়, এল নিনোর প্রভাবে প্রধান গম উৎপাদক দেশগুলো চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। বিশেষ করে কানাডা ও ইউরোপের দেশগুলোয় উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ কারণেই শস্যটির বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। অন্যদিকে, অতিবৃষ্টির কারণে চীনেও উৎপাদন কমার পূর্বাভাস দিয়েছে এফএও। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ইউক্রেনে শস্যটির উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জুলাই থেকেই চালের বৈশ্বিক উৎপাদন কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে আসছিল এফএও। তবে চলতি মাসে তা বাড়ানো হয়েছে। সংস্থাটির দেয়া তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে বৈশ্বিক চাল উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৫২ কোটি ৩২ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে।
এ মৌসুমে চালের বৈশ্বিক মজুদ ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। মজুদের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১৯ কোটি ৮১ লাখ টনে। এক্ষেত্রে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে ভারত ও চীন। এ সময় বৈশ্বিক মজুদের তিন-চতুর্থাংশই থাকবে এ দুই দেশে। তবে বাকি দেশগুলোয় মজুদ কমে ৫ কোটি ১৪ লাখ টনে নামতে পারে, যা চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ভারত বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক। দেশটি নন-বাসমতি সাদা চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই শস্যটির বৈশ্বিক বাজার অস্থিতিশীল। ১৫ বছরের সর্বোচ্চে অবস্থান করছে দাম। সরবরাহ সংকটের আশঙ্কায় দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২৩-২৪ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক ব্যবহার দাঁড়াতে পারে ২৮০ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এ সময় বৈশ্বিক মজুদ দাঁড়াতে পারে ৮৭ কোটি ৮০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক মজুদ ও ব্যবহারের অনুপাত দাঁড়াবে ৩০ দশমিক ৫ শতাংশে।
২০২৩-২৪ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য পূর্বাভাস কমিয়েছে এফএও। বাণিজ্যের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি ৬০ লাখ টন, যা এর আগের মৌসুমের তুলনায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ কম। বহুমুখী কারণে গম ও ভুট্টা বাণিজ্য কমতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ। ফলে কৃষ্ণ সাগরীয় সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।