alt

অর্থ-বাণিজ্য

ব্যাংক খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ব্যাংক খাতে নারী কর্মী বাড়ছে। বেসরকারি ও বিশেষায়িত ব্যাংকে নারীদের কর্মসংস্থান উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মকর্তার সংখ্যা গত ছয় মাসে ১৬ দশমিক ৫২ থেকে কমে ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের জুন শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট কর্মী ছিলেন প্রায় দুই লাখ। তাদের মধ্যে ৩২ হাজার ৫৬৭ বা ১৬ দশমিক ৩২ নারী। এই অঙ্ক গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে মোট জনবল দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৯ জন। নারী কর্মী ৩২ হাজার ৫৬৭ জন। অর্থাৎ ব্যাংক খাতে যত লোক কাজ করেন, তার ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ নারী। ২০২২ সালের জুনের শেষে দেশের ব্যাংক খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৫৪৮ জন। শতকরা হিসাবে যা ছিল ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে নারীর কর্মসংস্থান বেড়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ব্যাংকে নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তা হিসেবেও নারীদের দেখা যাচ্ছে। যেমন বর্তমানে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হুমায়রা আজম।

তবে বিপরীত চিত্রও আছে। সেটি হলো ক্যারিয়ারের মাঝামাঝি সময়ে পুরুষের তুলনায় নারীদের ব্যাংকের চাকরি ছাড়ার হার বেশি। নারী ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পারিবারিক ও সামাজিক নানা চাপের কারণে তারা ব্যাংক ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সব ব্যাংকে নারী কর্মকর্তার সংখ্যা সমানভাবে বাড়েনি। বিদেশি ব্যাংকগুলো এক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে, যেখানে মোট কর্মশক্তির ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ নারী। ডিসেম্বরের শেষে এ খাতে নারী কর্মকর্তা ছিল ২৩ দশমিক ৯০ শতাংশ।

এছাড়া বেসরকারি ও বিশেষায়িত ব্যাংকে নারীদের কর্মসংস্থান উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তবে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মকর্তার সংখ্যা গত ছয় মাসে ১৬ দশমিক ৫২ থেকে কমে ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশ হয়েছে। জানুয়ারি-জুন মাসে দেশের ব্যাংকগুলোতে মোট ৩,৪০৪ জন নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬২৮ জন বা ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ নারী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত চলতি জানুয়ারি-জুন সময়ের পরিসংখ্যান বলছে, ব্যাংকে যারা ক্যারিয়ার শুরু করছেন, তাদের মধ্যে ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ নারী। ব্যবস্থাপনার মধ্যম স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ১৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের মধ্যে ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ নারী।

২০২২ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ নারী। ব্যবস্থাপনার মধ্যম স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল ১৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ে নারীর অবস্থান ছিল ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সেই হিসাবে এক বছরে ব্যাংক খাতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। কিন্তু নেতৃত্ব পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ কমেছে।

২০২২ সালের জুন নাগাদ দেশের ব্যাংক খাতে বোর্ড সদস্য বা পরিচালক হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে চলতি জুন শেষে সেটা বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।

রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগসংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের এক-তৃতীয়াংশই থাকবেন নারী। এছাড়া সরকারের শেয়ার রয়েছে, এমন বেসরকারি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

সরকারি ব্যাংকগুলোয় নীতিনির্ধারণের জন্য পরিচালক নিয়োগ দেয় সরকার। নারী উদ্যোক্তা, সাবেক নারী ব্যাংকার, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় মালিকদের স্ত্রী, কন্যা, পুত্রবধূ ও ঘনিষ্ঠজনদের পরিচালক হিসেবে দেখা যায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি নারী কর্মীর সংখ্যা বেসরকারি ব্যাংকে। ৯টি বিদেশি ব্যাংকে ৯৭০ জন নারী কর্মকর্তা কাজ করেন। এই সংখ্যা অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে কম হলেও শতাংশ হিসাবে সবচেয়ে বেশি ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ। ৪৩টি বেসরকারি ব্যাংকে নারী কর্মী ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। ছয়টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।

এছাড়া তিনটি বিশেষায়িত ব্যাংকে ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ নারী কর্মী রয়েছেন।

ছবি

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২১ মে থেকে

ছবি

এপ্রিল মাসে অর্থনীতির গতি কমেছে, পিএমআই সূচক নামলো ৮ দশমিক ৮ পয়েন্টে

অনিবন্ধিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

বাংলাদেশ জুড়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের টেকসই নানা উদ্যোগ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করলেন এডিবি প্রেসিডেন্ট

মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

ছবি

কর প্রশাসন আধুনিকায়নে এডিবির সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ উপদেষ্টার

বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ২ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ

ছবি

২০৩০ সালে চালু হবে বে টার্মিনাল, কর্মসংস্থান লাখ মানুষের

ছবি

চলতি অর্থবছরের সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় এপ্রিলে

ছবি

গ্লাস শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০৩০ সাল পর্যন্ত মওকুফ

বিজিএমইএ নির্বাচন: সম্মিলিত পরিষদের ৩৫ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা

ছবি

মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মুনাফা ৩৩০০ কোটি টাকা, যা ব্র্যাক, সিটি ও পূবালী ব্যাংকের চেয়েও বেশি

দ্বিতীয় দিনেও আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি

ছবি

ডেনিম এক্সপো শুরু হচ্ছে ১২ মে

যুদ্ধের প্রভাবে সূচক পড়েছে ভারতের শেয়ারবাজারে, রুপিরও দরপতন

একনেকে ৩৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

রাজশাহীতে দেড় হাজার কোটি টাকার আম বিক্রির লক্ষ্য

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ঢাকার শেয়ারবাজারে বড় ধস

ছবি

পুঁজিবাজার নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার হবে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা

ছবি

ফের পতন শেয়ারবাজারে, সূচকের অবস্থান ৪ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে

চার খাতে এডিবির কাছে সহযোগিতা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

বাংলাদেশকে প্রায় ৪০ কোটি ইউরো ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে ইআইবি এবং ইইউ

ছবি

এপ্রিলে তৈরি পোশাকে রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার

ছবি

চট করে আইএমএফের শর্ত মেনে নিয়ে কিছুই করব না: অর্থ উপদেষ্টা

বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন শেয়ারবাজারে

ছবি

বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হলো সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডিকে

বিনিয়োগ নিয়ে কাজ করা ছয় সংস্থা একীভূত করার উদ্যোগে কমিটি গঠন

ছবি

মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ২০ ব্যাংকের

রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংকে অভিন্ন পদোন্নতি নীতিমালা

ছবি

আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন ডিএসইতে, সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্ট

ছবি

ঋণের দুই কিস্তি ছাড়ে ফের আলোচনায় বসছে আইএমএফ

ছবি

আইএমএফ ঋণ নিয়ে এডিবির জিজ্ঞাসা, আশ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ

ছবি

উদ্যোক্তাদের সুবিধায় বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে এলো জাতিক ক্যাপিটাল

tab

অর্থ-বাণিজ্য

ব্যাংক খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ব্যাংক খাতে নারী কর্মী বাড়ছে। বেসরকারি ও বিশেষায়িত ব্যাংকে নারীদের কর্মসংস্থান উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মকর্তার সংখ্যা গত ছয় মাসে ১৬ দশমিক ৫২ থেকে কমে ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের জুন শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট কর্মী ছিলেন প্রায় দুই লাখ। তাদের মধ্যে ৩২ হাজার ৫৬৭ বা ১৬ দশমিক ৩২ নারী। এই অঙ্ক গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে মোট জনবল দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৯ জন। নারী কর্মী ৩২ হাজার ৫৬৭ জন। অর্থাৎ ব্যাংক খাতে যত লোক কাজ করেন, তার ১৬ দশমিক ৩২ শতাংশ নারী। ২০২২ সালের জুনের শেষে দেশের ব্যাংক খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৫৪৮ জন। শতকরা হিসাবে যা ছিল ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে নারীর কর্মসংস্থান বেড়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ব্যাংকে নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তা হিসেবেও নারীদের দেখা যাচ্ছে। যেমন বর্তমানে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হুমায়রা আজম।

তবে বিপরীত চিত্রও আছে। সেটি হলো ক্যারিয়ারের মাঝামাঝি সময়ে পুরুষের তুলনায় নারীদের ব্যাংকের চাকরি ছাড়ার হার বেশি। নারী ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পারিবারিক ও সামাজিক নানা চাপের কারণে তারা ব্যাংক ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সব ব্যাংকে নারী কর্মকর্তার সংখ্যা সমানভাবে বাড়েনি। বিদেশি ব্যাংকগুলো এক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে, যেখানে মোট কর্মশক্তির ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ নারী। ডিসেম্বরের শেষে এ খাতে নারী কর্মকর্তা ছিল ২৩ দশমিক ৯০ শতাংশ।

এছাড়া বেসরকারি ও বিশেষায়িত ব্যাংকে নারীদের কর্মসংস্থান উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তবে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে নারী কর্মকর্তার সংখ্যা গত ছয় মাসে ১৬ দশমিক ৫২ থেকে কমে ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশ হয়েছে। জানুয়ারি-জুন মাসে দেশের ব্যাংকগুলোতে মোট ৩,৪০৪ জন নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬২৮ জন বা ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ নারী।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত চলতি জানুয়ারি-জুন সময়ের পরিসংখ্যান বলছে, ব্যাংকে যারা ক্যারিয়ার শুরু করছেন, তাদের মধ্যে ১৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ নারী। ব্যবস্থাপনার মধ্যম স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ১৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের মধ্যে ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ নারী।

২০২২ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ নারী। ব্যবস্থাপনার মধ্যম স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল ১৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ে নারীর অবস্থান ছিল ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সেই হিসাবে এক বছরে ব্যাংক খাতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। কিন্তু নেতৃত্ব পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ কমেছে।

২০২২ সালের জুন নাগাদ দেশের ব্যাংক খাতে বোর্ড সদস্য বা পরিচালক হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে চলতি জুন শেষে সেটা বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।

রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগসংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের এক-তৃতীয়াংশই থাকবেন নারী। এছাড়া সরকারের শেয়ার রয়েছে, এমন বেসরকারি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এ নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

সরকারি ব্যাংকগুলোয় নীতিনির্ধারণের জন্য পরিচালক নিয়োগ দেয় সরকার। নারী উদ্যোক্তা, সাবেক নারী ব্যাংকার, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় মালিকদের স্ত্রী, কন্যা, পুত্রবধূ ও ঘনিষ্ঠজনদের পরিচালক হিসেবে দেখা যায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি নারী কর্মীর সংখ্যা বেসরকারি ব্যাংকে। ৯টি বিদেশি ব্যাংকে ৯৭০ জন নারী কর্মকর্তা কাজ করেন। এই সংখ্যা অন্যান্য ব্যাংকের চেয়ে কম হলেও শতাংশ হিসাবে সবচেয়ে বেশি ২৪ দশমিক ১১ শতাংশ। ৪৩টি বেসরকারি ব্যাংকে নারী কর্মী ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। ছয়টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।

এছাড়া তিনটি বিশেষায়িত ব্যাংকে ১৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ নারী কর্মী রয়েছেন।

back to top