alt

অর্থ-বাণিজ্য

বেশি দামে ডলার বেচায় ১০ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে ১০ ব্যাংকের ডলার কেনাবেচার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যে কারণে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা অমান্য করায় এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ‘কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না’ তা জানতে চেয়ে ব্যাংকগুলোকে গত মঙ্গলবার চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।

তিনি বলেছেন, ‘তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।’ তবে তিনি ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ করেননি।

এ তালিকায় দেশি-বিদেশি ও রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক রয়েছে। এর আগে গত জুলাইতে ১৩টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ডলার দর নিয়ে কারসাজির অভিযোগ পেয়ে অধিকতর তদন্তে নেমেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেগুলোর মধ্যে ১০টির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

ওই সময় ডলারের দর বেশি রাখা হচ্ছে এমন অভিযোগের পর তা ঠেকাতে শক্ত অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। এরপর তদন্তে নামেন একাধিক কর্মকর্তা।

একই অভিযোগে ২০২২ সালের অগাস্টে অতিরিক্ত দরে ডলার কেনাবেচায় দেশি বিদেশি ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে অপসরাণ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই সময়ে ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের নাম এসেছিল সংবাদ মাধ্যমে।

সেই সময় ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে কৈফিয়ত চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে এক মাস পরে ট্রেজারি প্রধানদের পুনর্বহালের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

তখন ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত দরে ডলার বিক্রি থেকে প্রাপ্ত মুনাফার অর্ধেক সিএসআর তহবিলে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কারণ ছাড়া ডলারের দর না বাড়াতে লিখিতও নেয়া হয়।

আন্তর্জাতিক ?মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর পরামর্শে একাধিক দরের বদলে প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের বিনিময় হার একক দরে নামিয়ে আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এজন্য গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে পরামর্শ করে ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন (এবিবি) ডলারের দর নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিচ্ছে। সদস্য ব্যাংকগুলোকে প্রতিদিন সকালে এ দর জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ দরেই কেনাবেচার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, কোন ব্যাংক কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ করতে পারবে, তার একটি সীমাও (এনওপি-নেট ওপেন পজিশন) নির্ধারণ করে দেয়া আছে। আগে ব্যাংকের রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ করার সুযোগ ছিল। ডলার বাজারের অস্থিরতা কমাতে ২০২২ সালের ১৫ জুলাই তা কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ সীমার বেশি ডলার হাতে থাকলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অন্য কোন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ব্যাংকগুলোর। তবে তদন্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা দেখেছেন, ডলারের সরবরাহ সংকট শুরু হলে অনেক ব্যাংক ব্যাংক সীমার অতিরিক্ত মুদ্রা জমিয়ে তা বেশি দামে বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফা শুরু করে। সুযোগ থাকলেও তা বাজারে না ছেড়ে কৃত্রিমভাবে দর বাড়ানো হয়। আবার কয়েকটি ব্যাংক ডলার সংরক্ষণের তথ্যও গোপন করেছিল আগেরবার। আর এই ১০ ব্যাংক বাফেদা ও এবিবির র্নিধারণ করে দেয়া দরের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা করেছে।

ছবি

সরকার পতনের পরও রিজার্ভ সংকট কাটেনি, এখনও ২০ বিলিয়নের নিচে

ছবি

আইএটিএ সদস্যপদ পেল এয়ার এ্যাস্ট্রা 

ছবি

কমওয়ার্ড ২০২৪ এ ১৬টি পুরস্কার জিতেছে বিকাশ

ছবি

সুষ্ঠু কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা সাইনোভিয়া ফার্মা কর্তৃপক্ষের

ছবি

সূচকের বড় পতনে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

ছবি

বাজার স্থিতিশীল রাখতে ১২ প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

ছবি

তামাকের ক্ষতিহ্রাস পণ্যের নিয়ন্ত্রণে যুক্তিসংগত নীতিমালা চায় বেন্ডস্টা

ছবি

গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি – সব বিল পেমেন্টে ‘ভরসা বিকাশ’

ছবি

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

ছবি

পেট্রাপোল স্থলবন্দরে অমিত শাহর সফর বাতিল, বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

ছবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপো সুবিধা সীমিত: সপ্তাহে একদিন নিলামের নতুন সিদ্ধান্ত

ছবি

টেকনাফে আরও ২০০ টন পেঁয়াজের কার্গো জাহাজ ভিড়েছে

ছবি

পেট্রাপোলের টার্মিনাল উদ্বোধনে অমিত শাহ আসছেন না, আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

বন্যা ও মজুদদারির কারসাজিতে চালের দাম বৃদ্ধি, শুল্ক কমিয়ে বাজার স্থিতিশীল করার উদ্যোগ

ছবি

আইসিসি বাংলাদেশের আয়োজনে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা

ছবি

ডিবির সাবেক কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ

ছবি

চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক হ্রাস, এনবিআরের নতুন পদক্ষেপ

ছবি

বিদেশি ঋণ ছাড়ে ৩৪ শতাংশ পতন, ঋণ পরিশোধে শীর্ষে বাংলাদেশ

ছবি

পর্ষদ বাতিল করে বিজিএমইএ-তে প্রশাসক বসাল সরকার

ছবি

ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায় ৯ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি আটাবের

ছবি

শ্রমিক অসন্তোষ: ৪০ কোটি ডলারের উৎপাদন ক্ষতির কথা জানাল বিজিএমইএ

পণ্যের ‘যে দাম! না খেয়ে মরণ লাগবো’

ছবি

তেজগাঁওয়ে ডিম বিক্রি শুরু, ব্যবসায়ীদের লোকসানের অভিযোগ

ছবি

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

তিন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের, চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াতে পারে ৪ শতাংশে : বিশ্বব্যাংক

ছবি

ডিমের দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

ছবি

বাংলাদেশের এমএসএমই সেক্টরকে এগিয়ে নিচ্ছে প্রিয়শপ

ছবি

রিয়েলমি ১২ এর প্রি-অর্ডার ক্যাম্পেইন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

ছবি

বাজারে আসুস আরওজি সিরিজের নতুন গেমিং মনিটর

ছবি

ব্যাংক আমানত কমেছে ১০ হাজার কোটি টাকা, গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ

মাত্র দুই মাস সময় দিয়েই সরকারকে ব্যর্থ বলা যায় কিনা, প্রশ্ন বাণিজ্য উপদেষ্টার

ছবি

ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত

ছবি

মেট্রোরেলের একক টিকিট ফেরত না দেওয়ায় সঙ্কট: যাত্রীদের ফেরত দেওয়ার অনুরোধ

ছবি

পাঠাও ফেস্টে গোল্ড জিতে নেয়ার সুযোগ

ছবি

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি: আগামীকাল থেকে ওএমএসে সবজি বিক্রি করবে কৃষি বিপনণ অধিদপ্তর

৩৫৮ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বেশি দামে ডলার বেচায় ১০ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে ১০ ব্যাংকের ডলার কেনাবেচার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যে কারণে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা অমান্য করায় এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ‘কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না’ তা জানতে চেয়ে ব্যাংকগুলোকে গত মঙ্গলবার চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।

তিনি বলেছেন, ‘তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।’ তবে তিনি ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ করেননি।

এ তালিকায় দেশি-বিদেশি ও রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক রয়েছে। এর আগে গত জুলাইতে ১৩টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ডলার দর নিয়ে কারসাজির অভিযোগ পেয়ে অধিকতর তদন্তে নেমেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেগুলোর মধ্যে ১০টির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

ওই সময় ডলারের দর বেশি রাখা হচ্ছে এমন অভিযোগের পর তা ঠেকাতে শক্ত অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। এরপর তদন্তে নামেন একাধিক কর্মকর্তা।

একই অভিযোগে ২০২২ সালের অগাস্টে অতিরিক্ত দরে ডলার কেনাবেচায় দেশি বিদেশি ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে অপসরাণ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই সময়ে ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের নাম এসেছিল সংবাদ মাধ্যমে।

সেই সময় ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে কৈফিয়ত চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে এক মাস পরে ট্রেজারি প্রধানদের পুনর্বহালের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

তখন ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত দরে ডলার বিক্রি থেকে প্রাপ্ত মুনাফার অর্ধেক সিএসআর তহবিলে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কারণ ছাড়া ডলারের দর না বাড়াতে লিখিতও নেয়া হয়।

আন্তর্জাতিক ?মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর পরামর্শে একাধিক দরের বদলে প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের বিনিময় হার একক দরে নামিয়ে আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এজন্য গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে পরামর্শ করে ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন (এবিবি) ডলারের দর নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিচ্ছে। সদস্য ব্যাংকগুলোকে প্রতিদিন সকালে এ দর জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ দরেই কেনাবেচার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, কোন ব্যাংক কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ করতে পারবে, তার একটি সীমাও (এনওপি-নেট ওপেন পজিশন) নির্ধারণ করে দেয়া আছে। আগে ব্যাংকের রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ করার সুযোগ ছিল। ডলার বাজারের অস্থিরতা কমাতে ২০২২ সালের ১৫ জুলাই তা কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ সীমার বেশি ডলার হাতে থাকলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অন্য কোন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ব্যাংকগুলোর। তবে তদন্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা দেখেছেন, ডলারের সরবরাহ সংকট শুরু হলে অনেক ব্যাংক ব্যাংক সীমার অতিরিক্ত মুদ্রা জমিয়ে তা বেশি দামে বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফা শুরু করে। সুযোগ থাকলেও তা বাজারে না ছেড়ে কৃত্রিমভাবে দর বাড়ানো হয়। আবার কয়েকটি ব্যাংক ডলার সংরক্ষণের তথ্যও গোপন করেছিল আগেরবার। আর এই ১০ ব্যাংক বাফেদা ও এবিবির র্নিধারণ করে দেয়া দরের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা করেছে।

back to top