alt

অর্থ-বাণিজ্য

ব্যাংকের ৪৩ শতাংশ আমানত কোটি টাকার হিসাবধারীদের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আর্থিক সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যেও ব্যাংকে বড় অঙ্কের জমার হিসাব সংখ্যা বেড়েছে। গত জুন শেষে ব্যাংকে কোটিপতি আমানতকারী গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার এবং এসব হিসাবে আমানতের পরিমাণ মোট আমানতের ৪৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার ১৯২টি। যেখানে জমা ছিল ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি আমানত থাকা হিসাবের সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টি। কোটি টাকার উপরে এসব হিসাবে জমা ছিল ৭ লাখ ৩১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা।

এর আগে চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংক খাতে আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৬টি। জমা ছিল ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি আমানতের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ১৯২টি। এ হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৩ হাজার ৩৬২টি। এছাড়া এক বছরের ব্যবধানে এ ধরনের হিসাব বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭টি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৭৭২টি। যেখানে জমা ছিল এক লাখ ৮৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। পাঁচ কোটি থেকে ১০ কোটির ১২ হাজার ২৪৫টি হিসাবে জমার পরিমাণ ৮৬ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা।

এছাড়া ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা রয়েছে চার হাজার ৮১টি, ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটির মধ্যে এক হাজার ৮৬৫টি, ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটির মধ্যে এক হাজার ২৭৬টি, ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৯০৯টি আমানতকারীর হিসাব। আর ৩০ কোটি থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৫০৭টি এবং ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৩৫৩টি, ৪০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ৭২২টি। তাছাড়া ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হিসাবের সংখ্যা এক হাজার ৮২৪টি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল ৫ জন, ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে কোটিপতিদের হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৯৮টি। এরপর ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে ২ হাজার ৫৯৪ জন, ২০০১ সালে ৫ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে ৮ হাজার ৮৮৭টি এবং ২০০৮ সালে ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি।

এরপরে ২০২০ সাল শেষে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০টি। ২০২১ সালের ডিসেম্বর বেড়ে তা দাঁড়ায় ১ লাখ ১৯৭৬টিতে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি।

উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে চীনা অর্থের সরবরাহ কমেছে

১৬তম জাতীয় আয়কর দিবস পালিত

এমসিসিআই নতুন সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান

করযোগ্য আয় করেন ৬৫-৭০ লাখ, রিটার্ন আসে অর্ধেক : এনবিআর

ছবি

৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদে নিয়োগ ৩১৪০

ঋণ-আমানতের সুদহারে সীমা তুলে নিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বায়ুদূষণ, ডেঙ্গু সংক্রমণ ও আদালতের তিরস্কার

রিটার্ন দাখিলের সময় দুই মাস বাড়লো

ডলারের দাম বাড়ায় চিনির দাম কমছে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

একের পর এক বাতিল হচ্ছে বাণিজ্য সংগঠনের নিবন্ধন

প্রকৃত মজুরি নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরির চেয়ে বেশি : বিজিএমইএ

উত্থানে ফিরেছে শেয়ারবাজার

এমএসএমই খাতে অর্থায়ন ঘাটতি ২৮০ কোটি ডলার

ছবি

ঋণ-আমানতের সুদহারে সীমা তুলে নিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

রিহ্যাবের প্রশাসক হলেন উপসচিব জান্নাতুল ফেরদৌস

ছবি

আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ল ২ মাস

ছবি

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

ছবি

কৃষি ঋণের সুদহার ১০ শতাংশ ছাড়ালো

বৃদ্ধি পেতে পারে রিটার্ন জমা দেয়ার সময়

জাহাজ নির্মাণ শিল্পের ঋণ পুনঃতফসিলের সময় বাড়লো

শেয়ারবাজারে পতন, লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে

তেল উৎপাদন আরও কমানোর চিন্তা করছে ওপেক

উৎপাদক থেকে ভোক্তা সবাইকে ভেজাল রোধে সচেতন হতে হবে : ভোক্তা অধিকার

নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করলো জাইকা

ছবি

বগুড়ায় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন

ছবি

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে আইএমএফ

মাস্টারকার্ড ‘এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেলো ২৭টি প্রতিষ্ঠান

চামড়া শিল্পে দীর্ঘদিনেও অর্জিত হয়নি দূষণমুক্ত ও উন্নত কর্মপরিবেশ

সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন

ছবি

বাড়লো নীতি সুদহার, বাড়বে ব্যাংকের সুদ হার

ছবি

স্মার্ট অথনীতি : ক্ষুদ্র ও মাঝারিদের প্রযুক্তি সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান

চার মাসে কৃষি ঋণ বিতরণ ১১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা

এক বছরের রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার

ভারত থেকে রেলপথে এলো ২,৭০০ টন চিটাগুড়

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আবারও কমেছে

tab

অর্থ-বাণিজ্য

ব্যাংকের ৪৩ শতাংশ আমানত কোটি টাকার হিসাবধারীদের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আর্থিক সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতির চাপের মধ্যেও ব্যাংকে বড় অঙ্কের জমার হিসাব সংখ্যা বেড়েছে। গত জুন শেষে ব্যাংকে কোটিপতি আমানতকারী গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার এবং এসব হিসাবে আমানতের পরিমাণ মোট আমানতের ৪৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার ১৯২টি। যেখানে জমা ছিল ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি আমানত থাকা হিসাবের সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টি। কোটি টাকার উপরে এসব হিসাবে জমা ছিল ৭ লাখ ৩১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা।

এর আগে চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংক খাতে আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৬টি। জমা ছিল ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি আমানতের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ১৯২টি। এ হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৩ হাজার ৩৬২টি। এছাড়া এক বছরের ব্যবধানে এ ধরনের হিসাব বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭টি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৭৭২টি। যেখানে জমা ছিল এক লাখ ৮৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। পাঁচ কোটি থেকে ১০ কোটির ১২ হাজার ২৪৫টি হিসাবে জমার পরিমাণ ৮৬ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা।

এছাড়া ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা রয়েছে চার হাজার ৮১টি, ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটির মধ্যে এক হাজার ৮৬৫টি, ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটির মধ্যে এক হাজার ২৭৬টি, ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৯০৯টি আমানতকারীর হিসাব। আর ৩০ কোটি থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৫০৭টি এবং ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৩৫৩টি, ৪০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ৭২২টি। তাছাড়া ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হিসাবের সংখ্যা এক হাজার ৮২৪টি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল ৫ জন, ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে কোটিপতিদের হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৯৮টি। এরপর ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে ২ হাজার ৫৯৪ জন, ২০০১ সালে ৫ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে ৮ হাজার ৮৮৭টি এবং ২০০৮ সালে ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি।

এরপরে ২০২০ সাল শেষে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০টি। ২০২১ সালের ডিসেম্বর বেড়ে তা দাঁড়ায় ১ লাখ ১৯৭৬টিতে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি।

back to top