alt

অর্থ-বাণিজ্য

অভিযানেও কমছে না খুলনার ‘অসাধু’ ব্যবসায়ীদের কারসাজি

খুলনা বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

একের পর এক অভিযানেও খুলনায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোগ্যপণ্য। গুদামগুলোয় মিলছে অবৈধ মজুদ। অভিযানে অবৈধ মজুদ রাখা, বেশি মুনাফার আশায় অযৌক্তিক দামে বিক্রি ও লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করাসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের নানা অপরাধের তথ্য বের হয়ে আসছে। সরকার একটি ডিম ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে এসব পণ্য সেই দামে মিলছে না। এতে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। মহানগরীর বড় বাজার, সান্ধ্য বাজার, গল্লামারীসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যে ভোগ্যপণ্য কেনাই যাচ্ছে না। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে পণ্য কিনে কমে বিক্রি করা সম্ভব না।

গল্লামারী বাজারের ক্রেতা নিয়ামুল বলেন, বাজারে অগ্নিমূল্য। সরকারের নির্ধারিত দামে আলু, ডিম ও পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। একই সুরে এম রহমান নামে অন্য এক ক্রেতা বলেন, সরকার আলুর প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু বাজার থেকে কিনলাম ৫০ টাকা কেজি।

তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। তেল থেকে শুরু করে সবজির দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অচিরেই অনেককেই অনাহারে বা অর্ধাহারে দিন কাটাতে হতে পারে।

ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের ক্রেতা অ্যাডভোকেট হেলাল হোসেন বলেন, সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বাজারে কোন পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকরা যেমন ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না, তেমনি ভোক্তারাও ন্যায্যমূল্যে কোন পণ্য কিনতে পারছেন না। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের চরম ব্যর্থতার বলি হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতা। এর মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানির খবর মাছের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। আমরা আমজনতা বাজারে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।

নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ছাড়াও সুন্দরবনের খাঁটি মধুর নাম দিয়ে ভেজাল, রাসায়নিকযুক্ত উপাদান বিক্রি করা হচ্ছে। গত সোমবার ও মঙ্গলবার পৃথক ২ অভিযানে খুলনায় ৭০৫ কেজি ভেজাল মধুসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এরপরও গোপনে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল মধু তৈরি করে বিক্রি করছেন।

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ায়ের অধীনে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় প্রতিনিয়ত খুলনার বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। অভিযানের পর আবারও অধিক মূল্য হাকান ব্যবসায়ীরা।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অনেক বেপরোয়া। আমরা যতক্ষণ থাকি ততক্ষণ কোন সমস্যা হয় না। আমরা চলে যাওয়ার পর আবার একই অবস্থা হয়ে যায়। আমাদের সাধ্যের মধ্যে যতটুকু আছে আমরা চেষ্টা করছি বাজার ঠিক করার।

খুলনা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করাতে আমরা চেষ্টা করছি। প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। কোল্ড স্টোরেও আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। সেখানে মালিকের কোন আলু নেই। মালিক শুধু কোল্ড স্টোর যারা ভাড়া নিয়েছে তাদের কাছ থেকে চার্জটা রাখে। বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা বেশি দামে কিনে আনছে। সরকারের নির্ধারিত দামের আলু এখনও না পাওয়া গেলেও পেঁয়াজের দাম কাছাকাছি এসে গেছে। পেঁয়াজ ছিল ৮৫-৯০ টাকা, যা এখন কমে হয়েছে ৭০ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ এখন ৬৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, খুলনা জেলা প্রশাসনের তিনটা মোবাইল কোর্ট অথবা ভোক্তা অধিকারের লোক নিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭ দিন অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন অভিযান করেছে ৩ দিন। শহরের মধ্যে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয় যার কারণে বেশি দাম রাখতে পারেন না ব্যবসায়ীরা। তবে শহর থেকে দূরে বেশি দামে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

ছবি

ডিএসইর পরিদর্শন: বন্ধ আছে পাঁচ কোম্পানির উৎপাদন

ছবি

সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

এলপি গ্যাস : পাঁচ মাসে ৫ দফা দাম বাড়লো

পোশাক শিল্প : এক বছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রায় ২০ শতাংশ

চার মাসে রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ

একদিনে ১৭ হাজার কোটি টাকা ধার দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

পরপর তিন দিন শেয়ারবাজারে উত্থান

সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পাওয়া শীর্ষ ২০টির মধ্যে ১৮টিই বাংলাদেশের

ছবি

১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ২৩ টাকা

ছবি

রিহ্যাবে প্রশাসক হিসেবে উপসচিব জান্নাতুল ফেরদৌসের যোগদান

ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিবেদন বাংলাদেশের জন্য ‘সতর্কবার্তা’

পতনে নিমজ্জিত শেয়ারবাজার, বাজার মূলধন আরও কমলো

আগামী বছর এশিয়ায় চাল উৎপাদন কমার আশঙ্কা

ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড এখন ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি

ভ্যাট ১০ লাখ টাকা হলেই ই-পেমেন্ট করতে হবে

ইউরোপীয় কমিশনের মূল্যায়ন প্রতিবেদন : বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা হুমকির মুখে

বেড়েছে ডলারের দাম, কমেছে রিজার্ভ

নির্বাচনের প্রার্থীদের ঋণখেলাপির তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

জেলাপর্যায়ে সেরা ভ্যাটদাতা ১৩৮ প্রতিষ্ঠান

যুক্তরাষ্ট্রের লিড স্বীকৃতি পেলো আরেক পোশাক কারখানা

নতুন আয়কর আইনেও ত্রুটি আছে : এনবিআর চেয়ারম্যান

কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক বাড়ছে জিকিউ বলপেনের দর

আন্তর্জাতিক বাজার : ডলারের দরপতন সবচেয়ে বেশি নভেম্বরে

উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে চীনা অর্থের সরবরাহ কমেছে

১৬তম জাতীয় আয়কর দিবস পালিত

এমসিসিআই নতুন সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান

করযোগ্য আয় করেন ৬৫-৭০ লাখ, রিটার্ন আসে অর্ধেক : এনবিআর

ছবি

৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদে নিয়োগ ৩১৪০

ঋণ-আমানতের সুদহারে সীমা তুলে নিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বায়ুদূষণ, ডেঙ্গু সংক্রমণ ও আদালতের তিরস্কার

রিটার্ন দাখিলের সময় দুই মাস বাড়লো

ডলারের দাম বাড়ায় চিনির দাম কমছে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

একের পর এক বাতিল হচ্ছে বাণিজ্য সংগঠনের নিবন্ধন

প্রকৃত মজুরি নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরির চেয়ে বেশি : বিজিএমইএ

উত্থানে ফিরেছে শেয়ারবাজার

এমএসএমই খাতে অর্থায়ন ঘাটতি ২৮০ কোটি ডলার

tab

অর্থ-বাণিজ্য

অভিযানেও কমছে না খুলনার ‘অসাধু’ ব্যবসায়ীদের কারসাজি

খুলনা বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

একের পর এক অভিযানেও খুলনায় বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোগ্যপণ্য। গুদামগুলোয় মিলছে অবৈধ মজুদ। অভিযানে অবৈধ মজুদ রাখা, বেশি মুনাফার আশায় অযৌক্তিক দামে বিক্রি ও লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করাসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের নানা অপরাধের তথ্য বের হয়ে আসছে। সরকার একটি ডিম ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে এসব পণ্য সেই দামে মিলছে না। এতে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। মহানগরীর বড় বাজার, সান্ধ্য বাজার, গল্লামারীসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যে ভোগ্যপণ্য কেনাই যাচ্ছে না। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে পণ্য কিনে কমে বিক্রি করা সম্ভব না।

গল্লামারী বাজারের ক্রেতা নিয়ামুল বলেন, বাজারে অগ্নিমূল্য। সরকারের নির্ধারিত দামে আলু, ডিম ও পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। একই সুরে এম রহমান নামে অন্য এক ক্রেতা বলেন, সরকার আলুর প্রতি কেজি ৩৫-৩৬ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু বাজার থেকে কিনলাম ৫০ টাকা কেজি।

তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। তেল থেকে শুরু করে সবজির দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অচিরেই অনেককেই অনাহারে বা অর্ধাহারে দিন কাটাতে হতে পারে।

ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের ক্রেতা অ্যাডভোকেট হেলাল হোসেন বলেন, সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বাজারে কোন পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষকরা যেমন ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না, তেমনি ভোক্তারাও ন্যায্যমূল্যে কোন পণ্য কিনতে পারছেন না। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের চরম ব্যর্থতার বলি হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতা। এর মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানির খবর মাছের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। আমরা আমজনতা বাজারে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।

নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ছাড়াও সুন্দরবনের খাঁটি মধুর নাম দিয়ে ভেজাল, রাসায়নিকযুক্ত উপাদান বিক্রি করা হচ্ছে। গত সোমবার ও মঙ্গলবার পৃথক ২ অভিযানে খুলনায় ৭০৫ কেজি ভেজাল মধুসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এরপরও গোপনে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল মধু তৈরি করে বিক্রি করছেন।

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ায়ের অধীনে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় প্রতিনিয়ত খুলনার বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। অভিযানের পর আবারও অধিক মূল্য হাকান ব্যবসায়ীরা।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অনেক বেপরোয়া। আমরা যতক্ষণ থাকি ততক্ষণ কোন সমস্যা হয় না। আমরা চলে যাওয়ার পর আবার একই অবস্থা হয়ে যায়। আমাদের সাধ্যের মধ্যে যতটুকু আছে আমরা চেষ্টা করছি বাজার ঠিক করার।

খুলনা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহরিয়ার আকুঞ্জি বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ করাতে আমরা চেষ্টা করছি। প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। কোল্ড স্টোরেও আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। সেখানে মালিকের কোন আলু নেই। মালিক শুধু কোল্ড স্টোর যারা ভাড়া নিয়েছে তাদের কাছ থেকে চার্জটা রাখে। বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা বেশি দামে কিনে আনছে। সরকারের নির্ধারিত দামের আলু এখনও না পাওয়া গেলেও পেঁয়াজের দাম কাছাকাছি এসে গেছে। পেঁয়াজ ছিল ৮৫-৯০ টাকা, যা এখন কমে হয়েছে ৭০ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ এখন ৬৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, খুলনা জেলা প্রশাসনের তিনটা মোবাইল কোর্ট অথবা ভোক্তা অধিকারের লোক নিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭ দিন অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন অভিযান করেছে ৩ দিন। শহরের মধ্যে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয় যার কারণে বেশি দাম রাখতে পারেন না ব্যবসায়ীরা। তবে শহর থেকে দূরে বেশি দামে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

back to top