এক বছরের ব্যবধানে আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৪ দশমিক ১৫ শতাংশ
ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যবসায়ী
ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার একপর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে দেয়। সেই দাম কার্যকর করতে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার। জরিমানাও করা হয় ব্যবসায়ীদের। এতেও কাজ না হওয়ায় দেয়া হয় আমদানির অনুমতি। সরকারের এসব কোন পদক্ষেপই কাজে আসেনি। কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই আগের দামেই এসব পণ্য বিক্রি করে চলেছে ব্যবসায়ীরা।
এক সপ্তাহ পার হলেও সরকারের বেঁধে দেয়া ডিম-আলু-পেঁয়াজের দাম খুচরা থেকে পাইকারি পর্যন্ত কোথাও কার্যকর হয়নি। নির্ধারিত দামে বিক্রি নিশ্চিতে ভোক্তা অধিকার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করলেও বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। ফলে আগের বাড়তি দামেই ক্রেতাকে কিনতে হচ্ছে এগুলো।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, সিন্ডিকেট চলতে থাকলে আলু আমদানির সুপারিশ করা হবে। বাজার স্থিতিশীল করতে সরকার ইতোমধ্যে দুই দফায় দশ কোটি ডিম আমদনির অনুমতি দেয়।
পাশাপাশি বাজরে চাল-চিনি-আটা-ময়দা-ডাল-মসলা-মাছ-মাংসসহ প্রায় সব নিত্যপণ্য আগের মতোই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ও মুদি দোকান ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্রই পাওয়া গেছে।
ডিমের বাজার স্থিতিশীল করতে গত বৃহস্পতিবার আবারও ৬ কোটি পিস ডিম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে এসব ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর চার প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দেন। তাতে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। গতবছর দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাফিয়ে বাড়ে পণ্যের দাম। দেশে মূল্যস্ফীতি এখন ১০ শতাংশের কাছাকাছি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ১০ সেপ্টেম্বর জানায়, গত আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) শুক্রবারের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফার্মের মুরগির লাল ডিমের হালি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আর আলুর কেজি ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দেখানো হয়েছে।
টিসিবির প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। দেশি পেঁয়াজ ৮০ দশমিক ৭২ শতাংশ। দেশি রসুন ১৫০ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর জিরা মসলা ১৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজধানীর কারওরান বাজারে কথা হয় গার্মেন্টকর্মী সম্পা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘৩০-৩৫ টাকার পেঁয়াজ ৮০ টাকায় কিনলাম, বিশ-পঁচিশ টাকার আলু ৫০ টাকায়। কেমন আছি, বোঝেন এবার! আগে ৮ হাজার টাকা বেতন পেতাম, ভালোই চলতো, এখন দশ হাজার টাকা বেতন দিয়েও ঠিকমতো খাইতে পারি না। কোনমতে বেঁচে আছি।’
‘সরকার যদি বিবেক না দেখায়, আমাদের মতো গরিব মানুষের কী করার আছে,’ উল্টো প্রশ্ন সম্পার।
সেখানে দেখা যায়, প্রতি কেজি খুচরায় আলু ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে এক পালা (৫ কেজি) ২২০ টাকায়। পাশাপাশি মানভেদে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। পাইকারি আলু বিক্রেতা মিন্টু মোল্লা সংবাদকে জানান, ‘স্টোরে যাদের হাতে মালটা আছে, তারা যদি সরকারের দামে না ছাড়ে তাহলে বেশি দামে কিনে কমে ছাড়ি কী করে।’
‘আমরা শুনছি, দু-এক দিনের মধ্যে আলুর দাম কমতে পারে,’ জানান মিন্টু মোল্লা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সূত্রে ২০২২- ২০২৩ অর্থবছরে দেশে আলুর উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ ২৪ হাজার ৭০০ টন। দেশে আলুর চাহিদা ৯১ লাখ ২৪ হাজার ৭০০ টন।
ওই বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে।
দেশি পেঁয়াজের দরদাম ও সরকারের বেঁধে দেয়া দামের বিষয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা শাহ আলী সংবাদকে বলেন, ‘আজ দেশি পেঁয়াজ একটা বিক্রি করছি ছিয়াত্তর টাকা আর আরেকটা বিক্রি করছি ৮০ টাকায়। কৃষকে যদি কম দামে মাল না ছাড়ে, হাঁটে না নিয়ে আসে; আমনের মাল যদি আমনে না বেঁচেন, ক্ষমতা আছে আমার নেয়ার?’
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সূত্রে, ২০২২- ২০২৩ অর্থবছরে দেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ মেট্র্রিক টন। আর দেশে চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। তবে প্রতিবছরই গড়ে প্রায় ৩০ শতাংশ পেঁয়াজ নানা কারণে নষ্ট হয়।
ওই বাজারেই ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস ৭৫০ টাকা আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। কারওয়ান বাজার থেকে অন্যান্য বাজারের কিছু কিছু পণ্যের দামের তারতম্য কিছুটা তফাৎ থাকে।
ডিমের দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর তেজগাঁও মেসার্স শাহ আলী ট্রেডাসের বিক্রয়কর্মী ফাহিম বলেন, ‘এক হালি ফার্মের মুরগির লাল ডিম বিক্রি করছি ৫০ টাকায়। আর ১ ডজন ১৫০ টাকায়।’
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে সরকারের বেঁধে দেয়া দাম কার্যকর করা সম্ভব হবে। অন্যথায় বাজারে সংকট বাড়তে পারে। কারণ, উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় অনেক ব্যবসায়ীই বেশি মুনাফা করতে চান।
এক বছরের ব্যবধানে আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৪ দশমিক ১৫ শতাংশ
ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যবসায়ী
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার একপর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে দেয়। সেই দাম কার্যকর করতে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার। জরিমানাও করা হয় ব্যবসায়ীদের। এতেও কাজ না হওয়ায় দেয়া হয় আমদানির অনুমতি। সরকারের এসব কোন পদক্ষেপই কাজে আসেনি। কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই আগের দামেই এসব পণ্য বিক্রি করে চলেছে ব্যবসায়ীরা।
এক সপ্তাহ পার হলেও সরকারের বেঁধে দেয়া ডিম-আলু-পেঁয়াজের দাম খুচরা থেকে পাইকারি পর্যন্ত কোথাও কার্যকর হয়নি। নির্ধারিত দামে বিক্রি নিশ্চিতে ভোক্তা অধিকার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করলেও বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। ফলে আগের বাড়তি দামেই ক্রেতাকে কিনতে হচ্ছে এগুলো।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিকার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, সিন্ডিকেট চলতে থাকলে আলু আমদানির সুপারিশ করা হবে। বাজার স্থিতিশীল করতে সরকার ইতোমধ্যে দুই দফায় দশ কোটি ডিম আমদনির অনুমতি দেয়।
পাশাপাশি বাজরে চাল-চিনি-আটা-ময়দা-ডাল-মসলা-মাছ-মাংসসহ প্রায় সব নিত্যপণ্য আগের মতোই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ও মুদি দোকান ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্রই পাওয়া গেছে।
ডিমের বাজার স্থিতিশীল করতে গত বৃহস্পতিবার আবারও ৬ কোটি পিস ডিম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে এসব ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর চার প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দেন। তাতে খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। গতবছর দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাফিয়ে বাড়ে পণ্যের দাম। দেশে মূল্যস্ফীতি এখন ১০ শতাংশের কাছাকাছি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ১০ সেপ্টেম্বর জানায়, গত আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) শুক্রবারের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফার্মের মুরগির লাল ডিমের হালি ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আর আলুর কেজি ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দেখানো হয়েছে।
টিসিবির প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৬৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। দেশি পেঁয়াজ ৮০ দশমিক ৭২ শতাংশ। দেশি রসুন ১৫০ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর জিরা মসলা ১৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজধানীর কারওরান বাজারে কথা হয় গার্মেন্টকর্মী সম্পা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘৩০-৩৫ টাকার পেঁয়াজ ৮০ টাকায় কিনলাম, বিশ-পঁচিশ টাকার আলু ৫০ টাকায়। কেমন আছি, বোঝেন এবার! আগে ৮ হাজার টাকা বেতন পেতাম, ভালোই চলতো, এখন দশ হাজার টাকা বেতন দিয়েও ঠিকমতো খাইতে পারি না। কোনমতে বেঁচে আছি।’
‘সরকার যদি বিবেক না দেখায়, আমাদের মতো গরিব মানুষের কী করার আছে,’ উল্টো প্রশ্ন সম্পার।
সেখানে দেখা যায়, প্রতি কেজি খুচরায় আলু ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে এক পালা (৫ কেজি) ২২০ টাকায়। পাশাপাশি মানভেদে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। পাইকারি আলু বিক্রেতা মিন্টু মোল্লা সংবাদকে জানান, ‘স্টোরে যাদের হাতে মালটা আছে, তারা যদি সরকারের দামে না ছাড়ে তাহলে বেশি দামে কিনে কমে ছাড়ি কী করে।’
‘আমরা শুনছি, দু-এক দিনের মধ্যে আলুর দাম কমতে পারে,’ জানান মিন্টু মোল্লা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সূত্রে ২০২২- ২০২৩ অর্থবছরে দেশে আলুর উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ ২৪ হাজার ৭০০ টন। দেশে আলুর চাহিদা ৯১ লাখ ২৪ হাজার ৭০০ টন।
ওই বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে।
দেশি পেঁয়াজের দরদাম ও সরকারের বেঁধে দেয়া দামের বিষয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা শাহ আলী সংবাদকে বলেন, ‘আজ দেশি পেঁয়াজ একটা বিক্রি করছি ছিয়াত্তর টাকা আর আরেকটা বিক্রি করছি ৮০ টাকায়। কৃষকে যদি কম দামে মাল না ছাড়ে, হাঁটে না নিয়ে আসে; আমনের মাল যদি আমনে না বেঁচেন, ক্ষমতা আছে আমার নেয়ার?’
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সূত্রে, ২০২২- ২০২৩ অর্থবছরে দেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ মেট্র্রিক টন। আর দেশে চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। তবে প্রতিবছরই গড়ে প্রায় ৩০ শতাংশ পেঁয়াজ নানা কারণে নষ্ট হয়।
ওই বাজারেই ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস ৭৫০ টাকা আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। কারওয়ান বাজার থেকে অন্যান্য বাজারের কিছু কিছু পণ্যের দামের তারতম্য কিছুটা তফাৎ থাকে।
ডিমের দরদামের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর তেজগাঁও মেসার্স শাহ আলী ট্রেডাসের বিক্রয়কর্মী ফাহিম বলেন, ‘এক হালি ফার্মের মুরগির লাল ডিম বিক্রি করছি ৫০ টাকায়। আর ১ ডজন ১৫০ টাকায়।’
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে সরকারের বেঁধে দেয়া দাম কার্যকর করা সম্ভব হবে। অন্যথায় বাজারে সংকট বাড়তে পারে। কারণ, উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় অনেক ব্যবসায়ীই বেশি মুনাফা করতে চান।