বড় দরপতনে সপ্তাহ শুরু করলো বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। সব মিলিয়ে গত সপ্তাহটা ভালোই গিয়েছিল। দুই বাজারেই মূল্যসূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও বেড়েছিল। বিনিয়োগকারীদের কিছুটা হলেও আশা জেগেছিল। সবাই ভাবছিলেন বাজার বোধ হয় ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি।
বড় দরপতনের মধ্য দিয়েই শুরু হলো নতুন সপ্তাহ। সপ্তাহের প্রথম দিন গত শনিবার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৮ দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৮০ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫৮ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৬ পয়েন্টে।
লেনদেন নেমে এসেছে ৫০০ কোটি টাকায়। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার এই বাজারে ৭৩৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। গত সপ্তাহে লেনদেন প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছিল। সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর মোট লেনদেন বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন ১ হাজার ১৪১ কোটি টাকা বা ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বীমা খাতের লেনদেনের ওপর ভর করেই মূলত গত সপ্তাহে বাজারের সার্বিক লেনদেন বেড়েছিল। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনের বড় অংশই ছিল এই খাতের। ডিএসইতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়ে আবারও ৮০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫৭৩ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বেঁধে দেয়া ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তরে আটকে ছিল। সপ্তাহ শেষে ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়ায় ২১৬টি। লেনদেন হওয়া অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে ৯২টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৭৩টির। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ডিএসইতে ৩১০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ১২টির, কমেছে ১৪৮টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫০টির দর।
অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৮ দশমিক ৭০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৫৯৫ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেনের অঙ্ক ছিল ২৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। লেনদেন হয়েছে ১৪৩টি কোম্পানির শেয়ারের দর। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১৩টির, কমেছে ৮০টির। আর দর বদলায়নি অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের দরেই লেনদেন হয়েছে ৫০টির দর।
রোববার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৮টির বা ৪৭.৭৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি।
আগের কার্যদিবসে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫০.১০ টাকা। রোববার লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৪৪.২০ টাকায়। অর্থাৎ রোববার কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৯০ টাকা বা ১১.৭৭ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স ডিএসইর টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।
এদিন ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- মিরাকলের ৯.৯৬ শতাংশ, ফু-ওয়াং ফুডের ৯.০৬ শতাংশ, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৭.৯২ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৭.৬৯ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ৬.৯৮ শতাংশ, তশরিফার ৬.৭৩ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের ৬.৩৪ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের ৬.০১ শতাংশ এবং জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৫.৬৯ শতাংশ কমেছে।
রোববার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ১২টির বা ৩.৮৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি।
আগের কার্যদিবসে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬৮.৪০ টাকা। রোববার লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৭৫.২০ টাকায়। অর্থাৎ রোববার কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬.৮০ টাকা বা ৯.৯৪ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।
এদিন ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ৫.২৭ শতাংশ, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের ৩.৮৯ শতাংশ, বিডিকমের ৩.৩৬ শতাংশ, নিটল ইন্স্যুরেন্সের ১.৬৩ শতাংশ, বিডি থাইয়ের ০.৭৬ শতাংশ, মুন্নু অ্যাগ্রোর ০.৩৮ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ০.৩২ শতাংশ, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ০.৩২ শতাংশ এবং লাফার্জহোলসিমের শেয়ার দর ০.১৪ শতাংশ বেড়েছে।
রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বড় দরপতনে সপ্তাহ শুরু করলো বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। সব মিলিয়ে গত সপ্তাহটা ভালোই গিয়েছিল। দুই বাজারেই মূল্যসূচকের পাশাপাশি লেনদেনেও বেড়েছিল। বিনিয়োগকারীদের কিছুটা হলেও আশা জেগেছিল। সবাই ভাবছিলেন বাজার বোধ হয় ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি।
বড় দরপতনের মধ্য দিয়েই শুরু হলো নতুন সপ্তাহ। সপ্তাহের প্রথম দিন গত শনিবার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৮ দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৮০ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫৮ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৬ পয়েন্টে।
লেনদেন নেমে এসেছে ৫০০ কোটি টাকায়। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার এই বাজারে ৭৩৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। গত সপ্তাহে লেনদেন প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছিল। সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর মোট লেনদেন বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন ১ হাজার ১৪১ কোটি টাকা বা ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বীমা খাতের লেনদেনের ওপর ভর করেই মূলত গত সপ্তাহে বাজারের সার্বিক লেনদেন বেড়েছিল। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনের বড় অংশই ছিল এই খাতের। ডিএসইতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন বেড়ে আবারও ৮০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫৭৩ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বেঁধে দেয়া ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তরে আটকে ছিল। সপ্তাহ শেষে ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা কোম্পানির সংখ্যা দাঁড়ায় ২১৬টি। লেনদেন হওয়া অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে ৯২টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৭৩টির। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ডিএসইতে ৩১০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ১২টির, কমেছে ১৪৮টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫০টির দর।
অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৮ দশমিক ৭০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৫৯৫ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেনের অঙ্ক ছিল ২৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। লেনদেন হয়েছে ১৪৩টি কোম্পানির শেয়ারের দর। এর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১৩টির, কমেছে ৮০টির। আর দর বদলায়নি অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের দরেই লেনদেন হয়েছে ৫০টির দর।
রোববার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৮টির বা ৪৭.৭৪ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি।
আগের কার্যদিবসে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫০.১০ টাকা। রোববার লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৪৪.২০ টাকায়। অর্থাৎ রোববার কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৯০ টাকা বা ১১.৭৭ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স ডিএসইর টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।
এদিন ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- মিরাকলের ৯.৯৬ শতাংশ, ফু-ওয়াং ফুডের ৯.০৬ শতাংশ, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৭.৯২ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৭.৬৯ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ৬.৯৮ শতাংশ, তশরিফার ৬.৭৩ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের ৬.৩৪ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের ৬.০১ শতাংশ এবং জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৫.৬৯ শতাংশ কমেছে।
রোববার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ১২টির বা ৩.৮৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি।
আগের কার্যদিবসে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬৮.৪০ টাকা। রোববার লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৭৫.২০ টাকায়। অর্থাৎ রোববার কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬.৮০ টাকা বা ৯.৯৪ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।
এদিন ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ৫.২৭ শতাংশ, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের ৩.৮৯ শতাংশ, বিডিকমের ৩.৩৬ শতাংশ, নিটল ইন্স্যুরেন্সের ১.৬৩ শতাংশ, বিডি থাইয়ের ০.৭৬ শতাংশ, মুন্নু অ্যাগ্রোর ০.৩৮ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ০.৩২ শতাংশ, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ০.৩২ শতাংশ এবং লাফার্জহোলসিমের শেয়ার দর ০.১৪ শতাংশ বেড়েছে।