alt

অর্থ-বাণিজ্য

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নারীদের চেয়ে পুরুষের হিসাব বেশি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সঙ্গে দিনদিন বাড়ছে গ্রাহক সংখ্যা। বর্তমানে ১৩টি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে। আগস্ট মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৫০ লাখ ৪১ হাজার জন। এর মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ৪২ লাখ ৯১ হাজার ৭ ও নারী ৯ কোটি ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭১৫ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৫০ লাখ ৪১ হাজার। এ সময় মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৭১৬টি।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হিসাব খুলতে কোনো টাকা লাগে না। শহর কিংবা গ্রামে নিমেষেই পাঠানো যায় টাকা। কেনাকাটা, বিল পরিশোধ, ঋণ গ্রহণসহ যুক্ত হচ্ছে নতুন নানা পরিষেবা। বিদেশ থেকে আসছে রেমিট্যান্স। এসব কারণে মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) ওপর মানুষের আগ্রহের পাশাপাশি বাড়ছে নির্ভরশীলতা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। গড়ে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ৩ হাজার ৬১২ কোটি টাকা।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া এখন গাড়িচালক, নিরাপত্তাকর্মী ও গৃহপরিচারিকাদের বেতনও এখন দেয়া হচ্ছে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো সেবা মাধ্যম ব্যবহার করে। পোশাকখাতসহ শ্রমজীবীরা এমএফএস সেবার মাধ্যমে গ্রামে টাকা পাঠাচ্ছেন। ফলে দিনে দিনে নগদ টাকার লেনদেন কমে আসছে।

সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ঢুকেছে ৩৪ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা আর উত্তোলন হয়েছে ২৯ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। এ সময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩০ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এ সময় প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ৫২০ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ২ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার দুই হাজার ৯১৬ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ৪ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়।

ঋণ-আমানতের সুদহারে সীমা তুলে নিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বায়ুদূষণ, ডেঙ্গু সংক্রমণ ও আদালতের তিরস্কার

রিটার্ন দাখিলের সময় দুই মাস বাড়লো

ডলারের দাম বাড়ায় চিনির দাম কমছে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

একের পর এক বাতিল হচ্ছে বাণিজ্য সংগঠনের নিবন্ধন

প্রকৃত মজুরি নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরির চেয়ে বেশি : বিজিএমইএ

উত্থানে ফিরেছে শেয়ারবাজার

এমএসএমই খাতে অর্থায়ন ঘাটতি ২৮০ কোটি ডলার

ছবি

ঋণ-আমানতের সুদহারে সীমা তুলে নিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

রিহ্যাবের প্রশাসক হলেন উপসচিব জান্নাতুল ফেরদৌস

ছবি

আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ল ২ মাস

ছবি

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

ছবি

কৃষি ঋণের সুদহার ১০ শতাংশ ছাড়ালো

বৃদ্ধি পেতে পারে রিটার্ন জমা দেয়ার সময়

জাহাজ নির্মাণ শিল্পের ঋণ পুনঃতফসিলের সময় বাড়লো

শেয়ারবাজারে পতন, লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে

তেল উৎপাদন আরও কমানোর চিন্তা করছে ওপেক

উৎপাদক থেকে ভোক্তা সবাইকে ভেজাল রোধে সচেতন হতে হবে : ভোক্তা অধিকার

নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করলো জাইকা

ছবি

বগুড়ায় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন

ছবি

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে আইএমএফ

মাস্টারকার্ড ‘এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেলো ২৭টি প্রতিষ্ঠান

চামড়া শিল্পে দীর্ঘদিনেও অর্জিত হয়নি দূষণমুক্ত ও উন্নত কর্মপরিবেশ

সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন

ছবি

বাড়লো নীতি সুদহার, বাড়বে ব্যাংকের সুদ হার

ছবি

স্মার্ট অথনীতি : ক্ষুদ্র ও মাঝারিদের প্রযুক্তি সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান

চার মাসে কৃষি ঋণ বিতরণ ১১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা

এক বছরের রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার

ভারত থেকে রেলপথে এলো ২,৭০০ টন চিটাগুড়

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম আবারও কমেছে

ছবি

বকেয়া পরিশোধ শুরু, ফিরছে ইন্টারনেটের গতি

ছবি

মন্দা বাজারে ফু-ওয়াং সিরামিকের চমক

ছবি

চার মাসে কৃষি ঋণ বিতরণ ১১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা

ছবি

বাজার মূলধন কমলো আরও ৩ হাজার কোটি টাকা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সুখবর নেই, এবার কমে নামলো ১৯.৫ বিলিয়নে

tab

অর্থ-বাণিজ্য

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নারীদের চেয়ে পুরুষের হিসাব বেশি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সঙ্গে দিনদিন বাড়ছে গ্রাহক সংখ্যা। বর্তমানে ১৩টি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে। আগস্ট মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৫০ লাখ ৪১ হাজার জন। এর মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ৪২ লাখ ৯১ হাজার ৭ ও নারী ৯ কোটি ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭১৫ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৫০ লাখ ৪১ হাজার। এ সময় মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৭১৬টি।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে হিসাব খুলতে কোনো টাকা লাগে না। শহর কিংবা গ্রামে নিমেষেই পাঠানো যায় টাকা। কেনাকাটা, বিল পরিশোধ, ঋণ গ্রহণসহ যুক্ত হচ্ছে নতুন নানা পরিষেবা। বিদেশ থেকে আসছে রেমিট্যান্স। এসব কারণে মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) ওপর মানুষের আগ্রহের পাশাপাশি বাড়ছে নির্ভরশীলতা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। গড়ে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ৩ হাজার ৬১২ কোটি টাকা।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া এখন গাড়িচালক, নিরাপত্তাকর্মী ও গৃহপরিচারিকাদের বেতনও এখন দেয়া হচ্ছে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো সেবা মাধ্যম ব্যবহার করে। পোশাকখাতসহ শ্রমজীবীরা এমএফএস সেবার মাধ্যমে গ্রামে টাকা পাঠাচ্ছেন। ফলে দিনে দিনে নগদ টাকার লেনদেন কমে আসছে।

সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ঢুকেছে ৩৪ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা আর উত্তোলন হয়েছে ২৯ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। এ সময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩০ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এ সময় প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ৫২০ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ২ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার দুই হাজার ৯১৬ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ৪ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়।

back to top