ইউরোপ অঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখনও ঊর্ধ্বমুখী। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বার্ষিক মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্যদ্রব্যের দাম নাগালের বাইরে থাকায় নিম্ন আয়ের পরিবার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইউরোনিউজ।
২০২২ সালের অক্টোবরে ইউরো অঞ্চলের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২৩ সালের একই সময়ে এসে তা কমে ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে এর হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। কিন্তু খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে ভোক্তাপর্যায়ে জীবনযাপন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ জটিল হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের অক্টোবরে ইউরো অঞ্চলে প্রকৃত খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৬ শতংশ, যা নিম্ন আয়ের পরিবারের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) মূল্যস্ফীতির হার চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চে ওঠে। ১৯৯৭-২০২১ সালের মধ্যে অঞ্চলটিতে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। অঞ্চলটিতে খাদ্যদ্রব্য ও অ্যালকোহলবিহীন পানীয়র বার্ষিক মূল্যস্ফীতি হার মার্চে ১৯ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তবে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ও খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতির মধ্যে যে পার্থক্য গত এক বছরে, সেখানে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্যানুযায়ী, ১৯৯৭ সালের পর ইইউ অঞ্চলে খাদ্যদ্রব্যের প্রকৃত মূল্যস্ফীতি কখনই ৩ দশমিক ৫ শতাংশ অতিক্রম করেনি। কিন্তু ২০২২ সালের আগস্টে তা ৩ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয় এবং চলতি বছরের মার্চে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইউরোপের মোট ৩৭টি দেশের মধ্যে ৩৩টিতেই খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি সামগ্রিক হার ছাড়িয়ে গেছে।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে চেক প্রজাতন্ত্রে বার্ষিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি মাইনাস ৫ দশমিক ৭ শতাংশ, বেলজিয়ামে ১০ দশমিক ৯, নেদারল্যান্ডসে ৮ দশমিক ৮, গ্রিসে ৬ দশমিক ৬ ও স্পেনে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। চেক প্রজাতন্ত্রের পর হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ার খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার সবচেয়ে কম। এ হার যথাক্রমে মাইনাস ১ দশমিক ৬ ও মাইনাস শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।
ইইউর সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার চারটি দেশের প্রকৃত খাদ্য মূল্যস্ফীতি অঞ্চলটির গড়ের তুলনায় কম। এদিক থেকে জার্মানির মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ৭, ফ্রান্সের ৩ দশমিক ৫, স্পেনের ৫ দশমিক ৯ ও ইতালির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। ইউরোপের বিভিন্ন অংশে যে মূল্যস্ফীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন ছিল তাও নয়। ইইউতে খাদ্য ও পানীয়ের মূল্যস্ফীতি হার লাখ করলে দেখা যায় ডেনমার্কে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ হলেও গ্রিসে তা ১০ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে ইইউতে গড় ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২২ সালের মে মাসের পর প্রথমবারের মতো মূল্যস্ফীতির হার এক অঙ্কে এসেছে। অন্যদিকে ইইউর ১৪টি সদস্য দেশে বার্ষিক খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাড়ে ৭ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে গ্রিস, বেলজিয়াম, স্পেন ও ফ্রান্সও রয়েছে।
ইইউর পার্লামেন্টের তথ্যানুযায়ী, জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। ফলে কৃষি খাত থেকে শুরু করে পুরো খাদ্যোৎপাদন ও সরবরাহ খাতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এছাড়া সার থেকে শুরু করে পশুখাদ্যের সরবরাহ কমে যাওয়ায় শস্য উৎপাদনে কৃষক পর্যায়ে ব্যয় বেড়েছে। ৯ নভেম্বর খাদ্য নিরাপত্তা সূচকের আপডেট ভার্সন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। সেখানকার তথ্যানুযায়ী ইউরোপিয়ান দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় রয়েছে।
শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
ইউরোপ অঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি এখনও ঊর্ধ্বমুখী। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর বার্ষিক মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্যদ্রব্যের দাম নাগালের বাইরে থাকায় নিম্ন আয়ের পরিবার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইউরোনিউজ।
২০২২ সালের অক্টোবরে ইউরো অঞ্চলের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২৩ সালের একই সময়ে এসে তা কমে ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে এর হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। কিন্তু খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে ভোক্তাপর্যায়ে জীবনযাপন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ জটিল হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের অক্টোবরে ইউরো অঞ্চলে প্রকৃত খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৬ শতংশ, যা নিম্ন আয়ের পরিবারের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) মূল্যস্ফীতির হার চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চে ওঠে। ১৯৯৭-২০২১ সালের মধ্যে অঞ্চলটিতে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। অঞ্চলটিতে খাদ্যদ্রব্য ও অ্যালকোহলবিহীন পানীয়র বার্ষিক মূল্যস্ফীতি হার মার্চে ১৯ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তবে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ও খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতির মধ্যে যে পার্থক্য গত এক বছরে, সেখানে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্যানুযায়ী, ১৯৯৭ সালের পর ইইউ অঞ্চলে খাদ্যদ্রব্যের প্রকৃত মূল্যস্ফীতি কখনই ৩ দশমিক ৫ শতাংশ অতিক্রম করেনি। কিন্তু ২০২২ সালের আগস্টে তা ৩ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয় এবং চলতি বছরের মার্চে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইউরোপের মোট ৩৭টি দেশের মধ্যে ৩৩টিতেই খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি সামগ্রিক হার ছাড়িয়ে গেছে।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে চেক প্রজাতন্ত্রে বার্ষিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি মাইনাস ৫ দশমিক ৭ শতাংশ, বেলজিয়ামে ১০ দশমিক ৯, নেদারল্যান্ডসে ৮ দশমিক ৮, গ্রিসে ৬ দশমিক ৬ ও স্পেনে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। চেক প্রজাতন্ত্রের পর হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ার খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার সবচেয়ে কম। এ হার যথাক্রমে মাইনাস ১ দশমিক ৬ ও মাইনাস শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।
ইইউর সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার চারটি দেশের প্রকৃত খাদ্য মূল্যস্ফীতি অঞ্চলটির গড়ের তুলনায় কম। এদিক থেকে জার্মানির মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ৭, ফ্রান্সের ৩ দশমিক ৫, স্পেনের ৫ দশমিক ৯ ও ইতালির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। ইউরোপের বিভিন্ন অংশে যে মূল্যস্ফীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন ছিল তাও নয়। ইইউতে খাদ্য ও পানীয়ের মূল্যস্ফীতি হার লাখ করলে দেখা যায় ডেনমার্কে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ হলেও গ্রিসে তা ১০ দশমিক ৪ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে ইইউতে গড় ছিল ৭ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২২ সালের মে মাসের পর প্রথমবারের মতো মূল্যস্ফীতির হার এক অঙ্কে এসেছে। অন্যদিকে ইইউর ১৪টি সদস্য দেশে বার্ষিক খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাড়ে ৭ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে গ্রিস, বেলজিয়াম, স্পেন ও ফ্রান্সও রয়েছে।
ইইউর পার্লামেন্টের তথ্যানুযায়ী, জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। ফলে কৃষি খাত থেকে শুরু করে পুরো খাদ্যোৎপাদন ও সরবরাহ খাতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এছাড়া সার থেকে শুরু করে পশুখাদ্যের সরবরাহ কমে যাওয়ায় শস্য উৎপাদনে কৃষক পর্যায়ে ব্যয় বেড়েছে। ৯ নভেম্বর খাদ্য নিরাপত্তা সূচকের আপডেট ভার্সন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক। সেখানকার তথ্যানুযায়ী ইউরোপিয়ান দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় রয়েছে।