শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম আবার কমেছে। মূলত ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে বাজারে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় তেলের দাম কমেছে। রয়টার্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শনিবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের প্রতি ব্যারেলের দাম ৬ সেন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ কমে ৮১ দশমিক ৩৬ ডলারে নেমে এসেছে, আগের অধিবেশনে এই তেলের দাম কমেছিল শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।
সেইসঙ্গে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সেস ইন্টারমিডিয়েট বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের প্রতি ব্যারেলের দাম ৬৬ সেন্ট বা ০.৮৬ শতাংশ কমে ৭৬.৪৪ ডলারে নেমে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ছুটি থাকায় তেল কেনাবেচা হয়নি, এই তুলনা গত বুধবারের সঙ্গে শনিবার সকালের।
ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর বৈঠক চার দিন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। মূলত তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো উৎপাদনের বিষয়ে ঐকমত্যে আসতে না পারার কারণে বৈঠক পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। বৈঠক শুরু হবে ৩০ নভেম্বর। এ ঘোষণায় বাজার কিছুটা বিস্মিত হয়েছে।
সিডনিভিত্তিক বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা আইজির টনি সিকামোর এক নোটে বলেছেন, খুব সম্ভবত এখন যে উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত কার্যকর আছে, তারই সম্প্রসারণ হবে, এর বেশি কিছু নয়।
ওপেক হঠাৎ বৈঠক পিছিয়ে দেয়ার কারণে গত বুধবার ব্রেন্ট ফিউচারের দাম ৪ শতাংশ ও ডব্লিউটিআই ফিউচারের দাম ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকস গিভিংয়ের ছুটি থাকায় শনিবার তেল কেনাবেচা কিছুটা কমেছে।
এদিকে চীনের অর্থনীতি নিয়ে বাজারে একধরনের ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। বাজারবিশ্লেষকেরা বলছেন, সম্প্রতি চীনের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান এবং দেশটির ঋণগ্রস্ত আবাসন কোম্পানিগুলোকে সরকারের নতুন করে সহায়তা দেয়ার বিষয়টি তেলের বাজারের জন্য ইতিবাচক রয়েছে।
এদিকে চীন সরকার আবাসন খাতে আরও প্রণোদনা দেবে, এই আশাবাদ থেকে শনিবার চীনের স্টক মার্কেট ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের মজুত বেড়ে যাওয়া এবং পরিশোধনের মুনাফা কমে যাওয়ায় বাজারে তার প্রভাব তেমন একটা পড়বে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে চীনের অর্থনীতি নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না বিশ্লেষকেরা। চীনের আবাসন খাতে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, তার কারণে ডিজেলের ব্যবহার কমে যেতে পারে। ওপেক বহির্ভূত তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে নানামুখী ব্যবস্থা নিচ্ছে। এতে বাজারে তেলের সরবরাহ বেড়ে যাবে।
শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম আবার কমেছে। মূলত ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে বাজারে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় তেলের দাম কমেছে। রয়টার্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শনিবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের প্রতি ব্যারেলের দাম ৬ সেন্ট বা শূন্য দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ কমে ৮১ দশমিক ৩৬ ডলারে নেমে এসেছে, আগের অধিবেশনে এই তেলের দাম কমেছিল শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।
সেইসঙ্গে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সেস ইন্টারমিডিয়েট বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের প্রতি ব্যারেলের দাম ৬৬ সেন্ট বা ০.৮৬ শতাংশ কমে ৭৬.৪৪ ডলারে নেমে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ছুটি থাকায় তেল কেনাবেচা হয়নি, এই তুলনা গত বুধবারের সঙ্গে শনিবার সকালের।
ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর বৈঠক চার দিন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। মূলত তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো উৎপাদনের বিষয়ে ঐকমত্যে আসতে না পারার কারণে বৈঠক পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। বৈঠক শুরু হবে ৩০ নভেম্বর। এ ঘোষণায় বাজার কিছুটা বিস্মিত হয়েছে।
সিডনিভিত্তিক বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা আইজির টনি সিকামোর এক নোটে বলেছেন, খুব সম্ভবত এখন যে উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত কার্যকর আছে, তারই সম্প্রসারণ হবে, এর বেশি কিছু নয়।
ওপেক হঠাৎ বৈঠক পিছিয়ে দেয়ার কারণে গত বুধবার ব্রেন্ট ফিউচারের দাম ৪ শতাংশ ও ডব্লিউটিআই ফিউচারের দাম ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকস গিভিংয়ের ছুটি থাকায় শনিবার তেল কেনাবেচা কিছুটা কমেছে।
এদিকে চীনের অর্থনীতি নিয়ে বাজারে একধরনের ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। বাজারবিশ্লেষকেরা বলছেন, সম্প্রতি চীনের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান এবং দেশটির ঋণগ্রস্ত আবাসন কোম্পানিগুলোকে সরকারের নতুন করে সহায়তা দেয়ার বিষয়টি তেলের বাজারের জন্য ইতিবাচক রয়েছে।
এদিকে চীন সরকার আবাসন খাতে আরও প্রণোদনা দেবে, এই আশাবাদ থেকে শনিবার চীনের স্টক মার্কেট ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের মজুত বেড়ে যাওয়া এবং পরিশোধনের মুনাফা কমে যাওয়ায় বাজারে তার প্রভাব তেমন একটা পড়বে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে চীনের অর্থনীতি নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না বিশ্লেষকেরা। চীনের আবাসন খাতে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, তার কারণে ডিজেলের ব্যবহার কমে যেতে পারে। ওপেক বহির্ভূত তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে নানামুখী ব্যবস্থা নিচ্ছে। এতে বাজারে তেলের সরবরাহ বেড়ে যাবে।