চলমান সংকটময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নতুন আয়কর আইন বাস্তবায়ন, এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের দাবির মুখে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় আরও এক মাস বৃদ্ধির কথা ভাবছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, নীতিগতভাবে একমত হওয়ার পর সময় বাড়ানোর অনুমতি চেয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে সার-সংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। সেখানে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধির সুপারিশ রয়েছে। অনুমোদন পেলে ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই আদেশ জারি করা হবে।
তবে এ বিষয়ে এনবিআরের দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তা কথা বলতে চাননি। তারা বলছেন, সময় বাড়ানো হবে এমন খবর প্রচার হলে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা কমে যাবে। একটা রিল্যাক্স ভাব চলে আসবে। তবে এখনও আশানুরূপ রিটার্ন দাখিল পড়ছে না কর অঞ্চলগুলোতে।
সাধারণত ২০ নভেম্বর পর থেকে কর অঞ্চলগুলোতে আয়কর দাতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়, তবে গত মঙ্গলবার সেগুনবাগিচার কর অঞ্চল-৪, কর অঞ্চল-১ ও কর অঞ্চল-২, কর অঞ্চল-৮ ও কর অঞ্চল -১১ তে করদাতাদের উপস্থিতি ছিল বেশ কম।
আগামী ৩০ নভেম্বর একই দিনে রিটার্ন দাখিল ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার শেষ দিন হওয়ায়, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে তফসিল পেছানোর দাবি জানান বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
অন্যদিকে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় আরও এক মাস বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও ঢাকা ট্যাক্সবারসহ কয়েকটি মহল থেকে এনবিআরে আবেদন করেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো চিঠিতে রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবিতে গত ২১ নভেম্বর চিঠি দেয় এফবিসিসিআই।
এর কারণ হিসেবে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন আয়কর আইন ২০২৩ প্রতিপালন ও আয়কর পরিপত্র বিলম্বে প্রকাশের কারণে এবার কারদাতারা প্রস্তুতি নেয়ার তেমন সময় পাননি। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে অনেক করদাতার পক্ষেই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশনও সময় বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে এনবিআরে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, বর্তমান রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে চলমান হরতাল-অবরোধ, আয়কর আইন ২০২৩ সম্পর্কে করদাতা ও আইনজীবীদের পরিপূর্ণ জ্ঞানের অভাব, ২০২৩-২৪ করবর্ষের পরিপত্র বিলম্বে প্রাপ্তি এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ২০২৩-২৪ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময় বাড়ানো প্রয়োজন।
নতুন আয়কর আইনে কর দিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা আছে। কর রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময় ৩০ নভেম্বর। দেশে বর্তমানে ৯৪ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) করদাতা রয়েছে। গত অর্থ বছরে ৩৫ লাখ ২৯ হাজার রিটার্ন দাখিল করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা থাকলেও শেষ সময়ে যে ভিড় থাকার কথা, সেরকম অবস্থা নেই কর অঞ্চলগুলোতে। অঞ্চলগুলোতে এ সময়ে অন্তত অর্ধেক পরিমাণ রিটার্ন জমা হওয়ার কথা। তবে সেই তুলনায় রিটার্ন জমা পড়েছে এক-তৃতীংশের কিছু কম বা বেশি। রিটার্নের সময় বাড়বে এমন গুঞ্জন রয়েছে তাই করদাতার উপস্থিতি কম। কর অঞ্চলের সামনেই কর মেলার আদলে সীমিত পরিসরে করসেবা দেয়া হচ্ছে। টিআইএন খোলা ও রিটার্ন দাখিলের জন্য আলাদা আলাদা বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
কর কর্মকর্তারা জানান, অর্ধেকের কম করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছে। আগামী ২ দিনে বাকি করদাতারা জমা দেবে বলেও মনে হচ্ছে না। রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়তে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
চলমান সংকটময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নতুন আয়কর আইন বাস্তবায়ন, এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের দাবির মুখে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় আরও এক মাস বৃদ্ধির কথা ভাবছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, নীতিগতভাবে একমত হওয়ার পর সময় বাড়ানোর অনুমতি চেয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে সার-সংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। সেখানে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধির সুপারিশ রয়েছে। অনুমোদন পেলে ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই আদেশ জারি করা হবে।
তবে এ বিষয়ে এনবিআরের দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তা কথা বলতে চাননি। তারা বলছেন, সময় বাড়ানো হবে এমন খবর প্রচার হলে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা কমে যাবে। একটা রিল্যাক্স ভাব চলে আসবে। তবে এখনও আশানুরূপ রিটার্ন দাখিল পড়ছে না কর অঞ্চলগুলোতে।
সাধারণত ২০ নভেম্বর পর থেকে কর অঞ্চলগুলোতে আয়কর দাতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়, তবে গত মঙ্গলবার সেগুনবাগিচার কর অঞ্চল-৪, কর অঞ্চল-১ ও কর অঞ্চল-২, কর অঞ্চল-৮ ও কর অঞ্চল -১১ তে করদাতাদের উপস্থিতি ছিল বেশ কম।
আগামী ৩০ নভেম্বর একই দিনে রিটার্ন দাখিল ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার শেষ দিন হওয়ায়, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে তফসিল পেছানোর দাবি জানান বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
অন্যদিকে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় আরও এক মাস বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও ঢাকা ট্যাক্সবারসহ কয়েকটি মহল থেকে এনবিআরে আবেদন করেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো চিঠিতে রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর দাবিতে গত ২১ নভেম্বর চিঠি দেয় এফবিসিসিআই।
এর কারণ হিসেবে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন আয়কর আইন ২০২৩ প্রতিপালন ও আয়কর পরিপত্র বিলম্বে প্রকাশের কারণে এবার কারদাতারা প্রস্তুতি নেয়ার তেমন সময় পাননি। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে অনেক করদাতার পক্ষেই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশনও সময় বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে এনবিআরে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, বর্তমান রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে চলমান হরতাল-অবরোধ, আয়কর আইন ২০২৩ সম্পর্কে করদাতা ও আইনজীবীদের পরিপূর্ণ জ্ঞানের অভাব, ২০২৩-২৪ করবর্ষের পরিপত্র বিলম্বে প্রাপ্তি এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ২০২৩-২৪ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময় বাড়ানো প্রয়োজন।
নতুন আয়কর আইনে কর দিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা আছে। কর রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময় ৩০ নভেম্বর। দেশে বর্তমানে ৯৪ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) করদাতা রয়েছে। গত অর্থ বছরে ৩৫ লাখ ২৯ হাজার রিটার্ন দাখিল করা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা থাকলেও শেষ সময়ে যে ভিড় থাকার কথা, সেরকম অবস্থা নেই কর অঞ্চলগুলোতে। অঞ্চলগুলোতে এ সময়ে অন্তত অর্ধেক পরিমাণ রিটার্ন জমা হওয়ার কথা। তবে সেই তুলনায় রিটার্ন জমা পড়েছে এক-তৃতীংশের কিছু কম বা বেশি। রিটার্নের সময় বাড়বে এমন গুঞ্জন রয়েছে তাই করদাতার উপস্থিতি কম। কর অঞ্চলের সামনেই কর মেলার আদলে সীমিত পরিসরে করসেবা দেয়া হচ্ছে। টিআইএন খোলা ও রিটার্ন দাখিলের জন্য আলাদা আলাদা বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
কর কর্মকর্তারা জানান, অর্ধেকের কম করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছে। আগামী ২ দিনে বাকি করদাতারা জমা দেবে বলেও মনে হচ্ছে না। রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়তে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।