ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করতে ব্যাংকিং খাতে ঋণ ও আমানতের সুদ ব্যবধান (স্প্রেড) তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতদিন স্প্রেড ৪ শতাংশ ছিল। এখন থেকে এর কোনো সীমা থাকবে না। ফলে ব্যাংকগুলো ইচ্ছামত আমানতে সুদ দিতে পারবে।
আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতদিন যে নিয়ম ছিল সে অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক আমানতের ওপর যদি ৫ শতাংশ সুদহার দিতো তাহলে ওই ব্যাংক ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ নিতে পারত। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন ঋণ-আমানতের সুদহারের ক্ষেত্রে কোনো সীমা থাকবে না। তিন শতাংশে আমানত নিয়েও ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ আমানতের সুদহার যাই হোক ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে নির্ধারিত মার্জিন যোগ করে ঋণের সুদহার নির্ধারণ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করার লক্ষ্যে ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ (সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) এর সঙ্গে নির্ধারিত মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে। সুদহার নির্ধারণের নতুন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারিত হওয়ায় সুদহারের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে তারল্য পরিস্থিতির বিবেচনায় ঋণের সুদহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমানতের সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমানত ও ঋণের সুদহারের সীমা নির্ধারণ করার প্রয়োজন নেই।
এর আগে ২০১৮ সালের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রকার ঋণের সুদহার ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি করছে। ঋণের সুদহার অযৌক্তিক মাত্রায় বৃদ্ধি করা হচ্ছে যা উদ্বেগজনক।
এ পরিপ্রেক্ষিতে, উৎপাদনশীল খাতসহ বিভিন্ন খাতে ঋণের সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের লক্ষ্যে ক্রেডিট কার্ড ও ভোক্তাঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ এবং আমানতের সুদহারের ব্যবধান ৪ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এরও আগে ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে কার্ড ও ভোক্তাঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ এবং আমানতের গড়ভারিত সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এখন যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, তা হলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ অর্থাৎ সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের অক্টোবরে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে নভেম্বর মাসে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। সেই হিসেবে, চলতি নভেম্বর মাসে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ সুদ নেওয়া যাবে।
এছাড়া প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ও কৃষি ঋণের সুদহার হবে ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ। তবে নভেম্বরে ঠিক করা ঋণের এই সুদহার পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তন করা যাবে না।
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করতে ব্যাংকিং খাতে ঋণ ও আমানতের সুদ ব্যবধান (স্প্রেড) তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতদিন স্প্রেড ৪ শতাংশ ছিল। এখন থেকে এর কোনো সীমা থাকবে না। ফলে ব্যাংকগুলো ইচ্ছামত আমানতে সুদ দিতে পারবে।
আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতদিন যে নিয়ম ছিল সে অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক আমানতের ওপর যদি ৫ শতাংশ সুদহার দিতো তাহলে ওই ব্যাংক ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ নিতে পারত। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন ঋণ-আমানতের সুদহারের ক্ষেত্রে কোনো সীমা থাকবে না। তিন শতাংশে আমানত নিয়েও ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার সুযোগ পাবে। অর্থাৎ আমানতের সুদহার যাই হোক ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে নির্ধারিত মার্জিন যোগ করে ঋণের সুদহার নির্ধারণ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করার লক্ষ্যে ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ (সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) এর সঙ্গে নির্ধারিত মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে। সুদহার নির্ধারণের নতুন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারিত হওয়ায় সুদহারের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে তারল্য পরিস্থিতির বিবেচনায় ঋণের সুদহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমানতের সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমানত ও ঋণের সুদহারের সীমা নির্ধারণ করার প্রয়োজন নেই।
এর আগে ২০১৮ সালের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রকার ঋণের সুদহার ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি করছে। ঋণের সুদহার অযৌক্তিক মাত্রায় বৃদ্ধি করা হচ্ছে যা উদ্বেগজনক।
এ পরিপ্রেক্ষিতে, উৎপাদনশীল খাতসহ বিভিন্ন খাতে ঋণের সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের লক্ষ্যে ক্রেডিট কার্ড ও ভোক্তাঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ এবং আমানতের সুদহারের ব্যবধান ৪ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এরও আগে ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে কার্ড ও ভোক্তাঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ এবং আমানতের গড়ভারিত সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এখন যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, তা হলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ অর্থাৎ সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের অক্টোবরে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে নভেম্বর মাসে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। সেই হিসেবে, চলতি নভেম্বর মাসে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ সুদ নেওয়া যাবে।
এছাড়া প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ও কৃষি ঋণের সুদহার হবে ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ। তবে নভেম্বরে ঠিক করা ঋণের এই সুদহার পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তন করা যাবে না।