alt

অর্থ-বাণিজ্য

একের পর এক বাতিল হচ্ছে বাণিজ্য সংগঠনের নিবন্ধন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

বিধিবিধান না মানায় গত ১৫ মাসে বিভিন্ন খাতের ১৯টি বাণিজ্য সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। একের পর এক বাণিজ্য সংগঠনের নিবন্ধন এভাবে বাতিল হয়ে যাচ্ছে। মাসে বাতিল হচ্ছে অন্তত একটি সংগঠনের নিবন্ধন। কোনো কোনো মাসে বেশিও বাতিল হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময়ে যেসব সংগঠনকে বাণিজ্য সংগঠন (টিও) হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল। কোনো কার্যক্রম না থাকায় এবং নিয়মকানুন না মানায় সেগুলোকে সুপ্ত বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে।

বাণিজ্য সংগঠন অধ্যাদেশ-১৯৬১ অনুযায়ী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিচালক বাণিজ্য সংগঠন (ডিটিও) দেশের চেম্বার, অ্যাসোসিয়েশন ও মালিক সমিতিগুলোকে লাইসেন্স বা নিবন্ধন দেয়। তবে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনসহ (এফবিসিসিআই) সব ধরনের অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে টিও নিবন্ধন নিতে হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকেই। গত বছর ওই অধ্যাদেশ বাতিল করে সরকার নতুন বাণিজ্য সংগঠন আইন প্রণয়ন করে।

মোটা দাগে তিন ধরনের বাণিজ্য সংগঠন রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, বিদ্যমান ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন অনুযায়ী সীমিত দায়ের কোম্পানি হিসেবে গঠিত প্রতিষ্ঠান, লাইসেন্স নিয়ে ও কোম্পানি আইনে নিবন্ধিত হয়ে বিভিন্ন ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের প্রতিনিধিত্বকারী অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংগঠন এবং আয় বা মুনাফা কোনো সদস্য বা পরিচালনা পর্ষদের কেউ ভাগ করে নিতে পারবেন না এমন প্রতিষ্ঠান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এ ধরনের সংগঠন রয়েছে ৮৭৭টি। এর মধ্যে শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই, ৪৪১টি অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ চেম্বার, ৭টি মেট্রো চেম্বার, ৬৪টি জেলা চেম্বার ও দুটি উপজেলা চেম্বার রয়েছে। আছে ১৯টি উইমেন চেম্বার, ৩৫টি জয়েন্ট চেম্বার, বিভিন্ন খাতের ১৫৩টি গ্রুপ বা সমিতি। এছাড়া কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী রয়েছে ১৫৪টি সংগঠন।

লাইসেন্স নেয়ার ছয় মাসের মধ্যে কার্যালয় স্থাপন না করলে, পরপর দুই বছর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না হলে এবং পরপর দুই বছর নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও রিটার্ন দাখিল না করলে সংগঠনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার কথা বলা আছে আইনে। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে বাণিজ্য সংগঠন মহাপরিচালক ওই সংগঠনকে সুপ্ত বলে ঘোষণা করবেন এবং সংশোধনের সুযোগ দেবেন। তাতেও কোনো অগ্রগতি না হলে ওই সংগঠনের লাইসেন্স বাতিল করতে সরকারের কাছে সুপারিশ করবেন মহাপরিচালক।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং যথেষ্ট সময় দিয়েও কোনো কাজ না হওয়ায় কিছু কিছু সংগঠনের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাতিলের পর কেউ কেউ আবার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে গেছেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বছরে যেসব বাণিজ্য সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেগুলো হচ্ছেÑ বাংলাদেশ টোব্যাকো প্রোডাক্টস পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ উইভার্স প্রোডাক্টস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মোটরসাইকেল ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সাইজিং মিলস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফিল্ম ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কনজুমার প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড মার্কেটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন, প্রাইভেট রেডিও ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জুট এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফোম ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ রেডিমিক্স কংক্রিট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন এজেন্সি মালিক সমিতি, বাংলাদেশ পুরোনো কাপড় আমদানিকারক সমিতি, বাংলাদেশ ম্যাচ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ রডেনটিসাইড, পেস্টিসাইড অ্যান্ড ইনসেক্টিসাইড অ্যাসোসিয়েশন।

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘ঠিকঠাকভাবে পরিচালিত না হলে আরও বাণিজ্য সংগঠনের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা উদাহরণ হিসেবে সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের লাইসেন্স বাতিলের কারণগুলো তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০০১ সালের ২৪ এপ্রিল অ্যাসোসিয়েশনটি টিও লাইসেন্স পেলেও ২০ বছর ধরে কাগজপত্র জমা দেয়নি। সংগঠনটি ২০০১-০২ সালের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) কার্যবিবরণী ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছিল। এরপর আর কিছুই দাখিল করেনি।

এ সংগঠন নির্বাচন করার কাগজপত্রও সর্বশেষ দাখিল করেছিল ২০০৩-০৫ সময়ে। এরপর থেকে এ অ্যাসোসিয়েশন আর কোনো হালনাগাদ কাগজপত্র দাখিল করেনি। এছাড়া সংগঠনটির ঠিকানায় কোনো অফিস নেই, চিঠি পাঠালেও তা ফেরত আসে।

সব ধাপ অনুসরণ করে গত বছরের ২৮ আগস্ট সংগঠনটির টিও লাইসেন্স বাতিল করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সংগঠনগুলোর লাইসেন্স বাতিল হওয়ার কারণ প্রায় একই।

ছবি

বাজারে লেনোভোর আইডিয়াপ্যাড স্লিম ৩ আই সিরিজের নতুন পাঁচটি ল্যাপটপ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন ও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে

তিন কারণে পণ্য রপ্তানিতে আগের মতোই প্রণোদনা পাবেন ব্যবসায়ীরা

ছবি

টানা ৭ মাস বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে

পাল্টা শুল্ক নিয়ে চার উপদেষ্টাকে উদ্বেগ জানালেন ব্যবসায়ীরা

ছবি

ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার উদ্যোগ

আমদানিপণ্য দ্রুত খালাসের আহ্বান এনবিআর চেয়ারম্যানের

ছবি

আবুল বারকাতকে রিমান্ডে চেয়ে দুদকের আবেদন, আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হলো

ছবি

দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি বেড়েছে

ছবি

বাজার সম্প্রসারণে আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে জোর ব্যবসায়ীদের

নথি গায়েব করে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি

অধিকাংশ ব্যাংকের অডিট রিপোর্টে ‘ফিকশন’ পাওয়া গেছে: গভর্নর

ছবি

আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার, কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টার্টআপ তহবিল: বয়সের ঊর্ধ্বসীমা উঠে গেল

হাউজ লোন ও ক্রেডিট কার্ড ঋণের সীমা বাড়ছে

সরকারি দফতরে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফর বন্ধ করা হলো

বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির উদ্যোগ

ছবি

চীনে বিডা’র অফিস খোলার পরিকল্পনা চলছে: আশিক চৌধুরী

দুই বাণিজ্য সংগঠনে প্রশাসক নিয়োগ

ছবি

গত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ

ছবি

আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংক নয়, সরকারের নিজস্ব উদ্যোগে সংস্কার: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

সততা-দক্ষতার সঙ্গে কাজ করলে কোনো ভয় নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান

শেয়ারবাজারে বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন

জুলাইয়ের ৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৮১২৫ কোটি টাকা

ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

জুলাই হতাহতদের সহায়তায় ২৫ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

বাণিজ্য রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ

ছবি

বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ

ছবি

আকু দায় মিটিয়ে রিজার্ভ ২৪ বিলিয়নের ঘরে

ছবি

ডিএসইতে লেনদেন ৬০০ কোটি টাকা ছাড়ালো

৬ মাসের কম সময়ে আইপিও প্রক্রিয়া শেষ করা হবে: ডিএসই চেয়ারম্যান

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভিশন সংরক্ষণে নতুন নির্দেশনা

জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ

ছবি

ফুডির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলো স্কিটো

ছবি

বাজারে আসছে নতুন স্মার্টফোন ওয়ানপ্লাস নর্ড ৫ সিরিজ

ছবি

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে নতুন শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’ আলোচনার দরজা খোলা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

একের পর এক বাতিল হচ্ছে বাণিজ্য সংগঠনের নিবন্ধন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

বিধিবিধান না মানায় গত ১৫ মাসে বিভিন্ন খাতের ১৯টি বাণিজ্য সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। একের পর এক বাণিজ্য সংগঠনের নিবন্ধন এভাবে বাতিল হয়ে যাচ্ছে। মাসে বাতিল হচ্ছে অন্তত একটি সংগঠনের নিবন্ধন। কোনো কোনো মাসে বেশিও বাতিল হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময়ে যেসব সংগঠনকে বাণিজ্য সংগঠন (টিও) হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল। কোনো কার্যক্রম না থাকায় এবং নিয়মকানুন না মানায় সেগুলোকে সুপ্ত বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে।

বাণিজ্য সংগঠন অধ্যাদেশ-১৯৬১ অনুযায়ী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিচালক বাণিজ্য সংগঠন (ডিটিও) দেশের চেম্বার, অ্যাসোসিয়েশন ও মালিক সমিতিগুলোকে লাইসেন্স বা নিবন্ধন দেয়। তবে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনসহ (এফবিসিসিআই) সব ধরনের অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে টিও নিবন্ধন নিতে হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকেই। গত বছর ওই অধ্যাদেশ বাতিল করে সরকার নতুন বাণিজ্য সংগঠন আইন প্রণয়ন করে।

মোটা দাগে তিন ধরনের বাণিজ্য সংগঠন রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, বিদ্যমান ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন অনুযায়ী সীমিত দায়ের কোম্পানি হিসেবে গঠিত প্রতিষ্ঠান, লাইসেন্স নিয়ে ও কোম্পানি আইনে নিবন্ধিত হয়ে বিভিন্ন ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের প্রতিনিধিত্বকারী অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংগঠন এবং আয় বা মুনাফা কোনো সদস্য বা পরিচালনা পর্ষদের কেউ ভাগ করে নিতে পারবেন না এমন প্রতিষ্ঠান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এ ধরনের সংগঠন রয়েছে ৮৭৭টি। এর মধ্যে শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই, ৪৪১টি অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ চেম্বার, ৭টি মেট্রো চেম্বার, ৬৪টি জেলা চেম্বার ও দুটি উপজেলা চেম্বার রয়েছে। আছে ১৯টি উইমেন চেম্বার, ৩৫টি জয়েন্ট চেম্বার, বিভিন্ন খাতের ১৫৩টি গ্রুপ বা সমিতি। এছাড়া কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী রয়েছে ১৫৪টি সংগঠন।

লাইসেন্স নেয়ার ছয় মাসের মধ্যে কার্যালয় স্থাপন না করলে, পরপর দুই বছর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না হলে এবং পরপর দুই বছর নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও রিটার্ন দাখিল না করলে সংগঠনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার কথা বলা আছে আইনে। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে বাণিজ্য সংগঠন মহাপরিচালক ওই সংগঠনকে সুপ্ত বলে ঘোষণা করবেন এবং সংশোধনের সুযোগ দেবেন। তাতেও কোনো অগ্রগতি না হলে ওই সংগঠনের লাইসেন্স বাতিল করতে সরকারের কাছে সুপারিশ করবেন মহাপরিচালক।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং যথেষ্ট সময় দিয়েও কোনো কাজ না হওয়ায় কিছু কিছু সংগঠনের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাতিলের পর কেউ কেউ আবার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে গেছেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বছরে যেসব বাণিজ্য সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করেছে, সেগুলো হচ্ছেÑ বাংলাদেশ টোব্যাকো প্রোডাক্টস পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ উইভার্স প্রোডাক্টস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মোটরসাইকেল ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সাইজিং মিলস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফিল্ম ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কনজুমার প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড মার্কেটার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন, প্রাইভেট রেডিও ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জুট এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফোম ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ রেডিমিক্স কংক্রিট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন এজেন্সি মালিক সমিতি, বাংলাদেশ পুরোনো কাপড় আমদানিকারক সমিতি, বাংলাদেশ ম্যাচ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ রডেনটিসাইড, পেস্টিসাইড অ্যান্ড ইনসেক্টিসাইড অ্যাসোসিয়েশন।

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘ঠিকঠাকভাবে পরিচালিত না হলে আরও বাণিজ্য সংগঠনের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা উদাহরণ হিসেবে সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের লাইসেন্স বাতিলের কারণগুলো তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০০১ সালের ২৪ এপ্রিল অ্যাসোসিয়েশনটি টিও লাইসেন্স পেলেও ২০ বছর ধরে কাগজপত্র জমা দেয়নি। সংগঠনটি ২০০১-০২ সালের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) কার্যবিবরণী ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছিল। এরপর আর কিছুই দাখিল করেনি।

এ সংগঠন নির্বাচন করার কাগজপত্রও সর্বশেষ দাখিল করেছিল ২০০৩-০৫ সময়ে। এরপর থেকে এ অ্যাসোসিয়েশন আর কোনো হালনাগাদ কাগজপত্র দাখিল করেনি। এছাড়া সংগঠনটির ঠিকানায় কোনো অফিস নেই, চিঠি পাঠালেও তা ফেরত আসে।

সব ধাপ অনুসরণ করে গত বছরের ২৮ আগস্ট সংগঠনটির টিও লাইসেন্স বাতিল করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সংগঠনগুলোর লাইসেন্স বাতিল হওয়ার কারণ প্রায় একই।

back to top