alt

অর্থ-বাণিজ্য

বায়ুদূষণ, ডেঙ্গু সংক্রমণ ও আদালতের তিরস্কার

: বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরে পরিণত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। মহানগরীর বায়ুর মান প্রায় প্রতিদিনই থাকে অস্বাস্থ্যকর। কোনো নগর দূষিত হলে নগরবাসীর ভালো থাকবার কথা নয়। বায়ুদূষণের কারণে রাজধানীবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। প্রশ্ন হচ্ছে- বায়ুদূষণ কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না। বায়ুদূষণ রোধের দায়িত্ব কাদের আর তারা কী করছেন?

বারবার নির্দেশনা সত্ত্বেও রাজধানী ও আশপাশের এলাকার বায়ুদূষণ রোধে ব্যর্থতার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে তিরস্কার করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ডেঙ্গু সংক্রমণ রোধে ব্যর্থতার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশনকেও তিরস্কার করা হয়েছে। গত সোমবার একটি রিট আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর হাইকোর্ট বেঞ্চ তিরস্কার করেন। ২০১৯ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট আবেদন করেছিল।

আদালত বলেছেন- ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাই অবৈধ ইটভাটা পরিচালনার অনুমতি দেয়। মালিকরা তাদের ম্যানেজ করে ফেলে। এ কারণেই বায়ুদূষণ হয়। কর্মকর্তাদের বিশুদ্ধ বাতাসের প্রয়োজন নেই। তাদের বেশিরভাগের সন্তানরাও বিদেশে থাকে, সেখানেই তারা বিশুদ্ধ বাতাস পায়।’

আদালত আরও বলেন, ‘অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মারা গেলেও ঢাকা সিটি করপোরেশন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তারা দৃশ্যত এর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে না।’

যথাযথ পরিকল্পনা থাকলে আর সমন্বিতভাবে তা বাস্তবায়ন করা গেলে বায়ুদূষণের হার অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি; কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন কাজই বায়ুদূষণ রোধে যথেষ্ট বলে প্রমাণিত হয়নি। অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করা, নির্বিচারে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করা, আনফিট গাড়ির চলাচল বন্ধ করা প্রভৃতি কাজে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা থাকতে হবে। নগরের সবুজায়ন ও জলাশয় রক্ষা করা জরুরি।

দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। মৃত্যুও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় দেশে এবার ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ ১০ গুণ এবং মৃত্যু প্রায় তিন গুণ বেড়েছে।

ডেঙ্গু এখন রাজধানী ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। দেশের সব জেলায় এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অনেকে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে নানান অভিযোগ। এ রোগ প্রতিরোধের প্রশ্নে অন্যতম প্রধান একটি কাজ হচ্ছে এডিস মশা মারা। এ কাজ যাদের করবার কথা তারা সেটা ঠিকমতো করছেন কিনা- সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। মশা নিধনের কার্যক্রমে তদারকি ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এর আগে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছিল। নির্দেশিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী করেছে সেটা আমরা জানতে চাইব।

নাগরিকদের সমস্যা-সংকট দূর করতে সরকার একেকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে কাজ করলে বায়ুদূষণ বা ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো বলে আমরা বিশ্বাস করি। আদালতের তিরস্কারের পর সংশ্লিষ্টদের টনক নড়ে কিনা- সেটাই দেখার বিষয়।

ছবি

স্থানীয় শিল্পে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান টেক্সটাইল মালিকরা

বাজার মূলধনে যোগ হলো সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

বিকাশ, রকেট, নগদসহ এমএফএসের মাধ্যমে শুল্ক-কর জমা দেয়া যাবে

ছবি

ব্রাদার পার্টনার ডে ২০২৫ অনুষ্ঠিত

ছবি

বিকাশ-রকেট-নগদে কাস্টমস শুল্ক পরিশোধ সুবিধা চালু, ঘরে বসেই পণ্য খালাসের পথ খুলল

ছবি

তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার চান ব্যবসায়ীরা

ছবি

কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে মাশুল বাড়বে না

সেমিকন্ডাক্টর খাতে ১০ বছরের কর অব্যাহতি ও শুল্ক ছাড়ের সুপারিশ

ছবি

প্রথম প্রান্তিকে বিমাদাবি নিষ্পত্তিতে গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্সের ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’

৮৫ ব্রোকারেজ হাউসকে আগস্টের মধ্যে চালু করতে হবে ব্যাক অফিস সফটওয়্যার

ছবি

প্রসাধনী পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি

ছবি

স্বর্ণের দাম আবার বাড়লো

ছবি

৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

এফবিসিসিআই নির্বাচন: সময় বাড়লো ৪৫ দিন

ছবি

পাট খাতের উন্নয়নে ‘সাসটেইনেবল মার্কেট এক্সেস বুটক্যাম্প’ কর্মসূচি শুরু

এক বছরে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন নেমেছে এক-তৃতীয়াংশে

৫ দিন বন্ধ থাকবে রূপালী ও এনসিসি ব্যাংকের সব কার্যক্রম

ছবি

ডলারের বিপরীতে টাকায় ঋণ নেয়ার সুযোগ

গত অর্থবছরে রফতানি আয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার

নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার

ছবি

ব্যাগেজ রুলসে মোবাইল ও স্বর্ণ আনায় বড় ছাড়

ছবি

এনবিআরের আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের কথা জানালো দুদক

ছবি

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, রপ্তানিতে বড় প্রবৃদ্ধি

ছবি

দেশের ৩২ বীমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

ছবি

বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ৭ শতাংশেরও কম

ছবি

ডিএসইর নতুন সিওও মোহাম্মদ আসাদুর রহমান

ছবি

অর্থবছরের প্রথম দিন ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

ছবি

ইলিশের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার

ছবি

এনবিআরে আন্দোলন: এবার চার কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠালো সরকার

ছবি

৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মায়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাসের পথে বাংলাদেশের মেয়েরা

বিইআরসি ঘোষণা করল বেসরকারি এলপিজির নতুন দাম, ১২ কেজিতে ৩৯ টাকা কমতি

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানি আসছে, অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে নৌবাহিনী

ছবি

নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে এফবিসিসিআই নির্বাচন পিছিয়ে গেল

ছবি

রেকর্ড রেমিটেন্সে শেষ হলো অর্থবছর, প্রথমবারের মতো আয় ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার

ছবি

‘শাটডাউন’ কর্মসূচিতে অংশ: চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার বরখাস্ত

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বায়ুদূষণ, ডেঙ্গু সংক্রমণ ও আদালতের তিরস্কার

বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরে পরিণত হয়েছে রাজধানী ঢাকা। মহানগরীর বায়ুর মান প্রায় প্রতিদিনই থাকে অস্বাস্থ্যকর। কোনো নগর দূষিত হলে নগরবাসীর ভালো থাকবার কথা নয়। বায়ুদূষণের কারণে রাজধানীবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। প্রশ্ন হচ্ছে- বায়ুদূষণ কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না। বায়ুদূষণ রোধের দায়িত্ব কাদের আর তারা কী করছেন?

বারবার নির্দেশনা সত্ত্বেও রাজধানী ও আশপাশের এলাকার বায়ুদূষণ রোধে ব্যর্থতার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে তিরস্কার করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ডেঙ্গু সংক্রমণ রোধে ব্যর্থতার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশনকেও তিরস্কার করা হয়েছে। গত সোমবার একটি রিট আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর হাইকোর্ট বেঞ্চ তিরস্কার করেন। ২০১৯ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট আবেদন করেছিল।

আদালত বলেছেন- ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাই অবৈধ ইটভাটা পরিচালনার অনুমতি দেয়। মালিকরা তাদের ম্যানেজ করে ফেলে। এ কারণেই বায়ুদূষণ হয়। কর্মকর্তাদের বিশুদ্ধ বাতাসের প্রয়োজন নেই। তাদের বেশিরভাগের সন্তানরাও বিদেশে থাকে, সেখানেই তারা বিশুদ্ধ বাতাস পায়।’

আদালত আরও বলেন, ‘অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মারা গেলেও ঢাকা সিটি করপোরেশন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তারা দৃশ্যত এর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে না।’

যথাযথ পরিকল্পনা থাকলে আর সমন্বিতভাবে তা বাস্তবায়ন করা গেলে বায়ুদূষণের হার অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি; কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন কাজই বায়ুদূষণ রোধে যথেষ্ট বলে প্রমাণিত হয়নি। অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করা, নির্বিচারে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করা, আনফিট গাড়ির চলাচল বন্ধ করা প্রভৃতি কাজে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা থাকতে হবে। নগরের সবুজায়ন ও জলাশয় রক্ষা করা জরুরি।

দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। মৃত্যুও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় দেশে এবার ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ ১০ গুণ এবং মৃত্যু প্রায় তিন গুণ বেড়েছে।

ডেঙ্গু এখন রাজধানী ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। দেশের সব জেলায় এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অনেকে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে নানান অভিযোগ। এ রোগ প্রতিরোধের প্রশ্নে অন্যতম প্রধান একটি কাজ হচ্ছে এডিস মশা মারা। এ কাজ যাদের করবার কথা তারা সেটা ঠিকমতো করছেন কিনা- সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। মশা নিধনের কার্যক্রমে তদারকি ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এর আগে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছিল। নির্দেশিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী করেছে সেটা আমরা জানতে চাইব।

নাগরিকদের সমস্যা-সংকট দূর করতে সরকার একেকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে কাজ করলে বায়ুদূষণ বা ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো বলে আমরা বিশ্বাস করি। আদালতের তিরস্কারের পর সংশ্লিষ্টদের টনক নড়ে কিনা- সেটাই দেখার বিষয়।

back to top